মহেঞ্জোদাড়োর মানুষগুলো, নতুন বর্ষবরণের শেষে,
ভোররাতে বাড়ি ফিরে এলিয়ে গিয়েছিল বিছানায়।
অনেক ঘুরে ঘুরে, সেলিব্রেশন করেছিল;
টেন-, নাইন-, এইট- , সেভেন-, সিক্স-, ফাইভ-, ফোর-, থ্রি-, টু-, ওয়ান– …।
তারপর এক গগনভেদী চীৎকারে সবাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছিল;
আধুনিক হয়েছিল।
যা ছিল কিনা আগের বছরগুলোরই পুনরাবৃত্তি … ।
হরবছরের মতই এবারও এই মিছিলগুলিতে এসে জুটেছিল,
চাষির ছেলে-নতুন মজুর, বা নতুন ইঞ্জিনিয়ার, বা ওইরকম কিছু একটা ।
সবাই বিকাশ পথের যাত্রী, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়।
নতুন বছরের নতুন দুপুরে, ঘুম থেকে উঠে দেখেছিল,
গতবছরের বাশি খাবার আর খবর,
একই বিরক্তিকর মুখের আস্ফালন, অর্থহীন চীৎকার…।
মহেঞ্জোদাড়োর মানুষ একই অফিসে কাজ করে বছরের পর বছর;
একই মেট্রো, বাসে হররোজ আসে-যায় ,
কেউ কারু বন্ধু হয়না কোনও দিন; পাশের টেবিলে বসা লোকটিও।
মহেঞ্জোদাড়োর সবাই ‘ঠাণ্ডা’, সবাই ‘ভদ্র’।
খবর দেখে, ভুলে যাই, আর নিত্য নতুন ধারনা করে,
সিন্ধুর ওপারে আরেক দলের বাস;
মহেঞ্জোদাড়োতে আলু, কলা, মুলো বেচতে আসে বা রিক্সা চালাতে …
শীতের ভোরে বাবু কম দিয়েননা, কম দিয়েননা…
সেই আকুতি ভেসে বেড়াই মহেঞ্জোদাড়োর দমকা হাওয়াই।
এরা মিছিলের সরবরাহ, তা সে দাঙ্গার বা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক।
মহেঞ্জোদাড়োর রাস্তা ঘাট, বাড়িঘর, ফ্ল্যাট অনেক দামি,
মহেঞ্জোদাড়োর অনেক বিকাশ।
মহেঞ্জোদাড়োর জামানায়
previous post