সোনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই পাশাপাশি বাস, তবে কেন উদাসীন? ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষে মানুষের যে বিভেদের প্রাচীর গড়ে উঠছে, এই মেরুকরণের একেবারে বিপরীতে অবস্থান করে। তাঁর মতে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই রক্ত ঝরিয়েছে l সেখানে উচ্চবর্ণ, নিম্নবর্ণ, দলিত আদিবাসী ইত্যাদির কোন ভেদাভেদ নেই l কিন্তু লেখক লক্ষ্য করছেন যে মূলত ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্রুপ , তাচ্ছিল্য ও ভুল ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।
Latest News
-
-
সকালের রোদ।কড়া নয়, মিঠে। গায়ে লাগলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। বেঁচে থাকা সার্থক মনে হয়।আমার মনে হয় অংশুমানের গল্পগুলির মূল আকর্ষণ লুকিয়ে আছে নিত্যদিনের মরার হাত থেকে জীবনকে ছিনিয়ে নিয়ে এক মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচার প্রয়াসে। লুকিয়ে বা পালিয়ে বাঁচা নয়। হেরেও না হারার দৃঢ়তা নিয়ে বাঁচা।
-
আদি মানব রক্তে লেখা কাম ইন্দ্রিয়ের কবিতা এই ভাষাগুলোকেই লোকে ভালোবাসা বলে, ভালোবাসা নিংড়ানো রসে হাবুডুবু খায় কামগন্ধ ব্যাকরণ,
-
Bunch of Thoughts- এর ভারতে তিন শত্রুদের ‘হিংস্র চিন্তনে’ ধ্বংস করাই লক্ষ্য। নগ্ন ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বড় মাপের গণহত্যা সংঘটিত না করে ছোট ছোট কিন্তু নিয়মিত হিংসা ও হত্যা করে রোজকার সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবায়ণ ঘটানোয় এদের লক্ষ্য। এরা দেশদ্রোহী, টুকরে টুকরে গ্যাং, শহুরে নকশাল, আ্যন্টি-ন্যাশনাল, খান মার্কেট গ্যাং, সেকুলাররিস্ট ইত্যাদি নামে দেগে দিয়ে We or Our Nationhood বইয়ের ভাষায় হিন্দুস্তানে বসবাসকারী সকলকে হিন্দুত্বের সংস্কৃতি ও ভাষাকে গ্রহণ করে হিন্দুত্বের আদর্শকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে নিজেদের ভিন্ন জাতিসত্ত্বাকে ভুলে কোন রকম সুযোগ সুবিধা না চেয়ে, নাগরিকত্বের কোন দাবি না করে, হিন্দুরাষ্ট্রের দ্বারা কোনঠাসা হয়ে এই দেশে থেকে যেতে হবে।
-
তাই বিপথগামী এই যুবকদের মাথায় একাংশ রাজনীতিবিদ ঢুকিয়ে দিচ্ছে-নিম্ন আসাম থেকে উজান আসামে কাজের সন্ধানে যাওয়া, নদী-ভাঙনের শিকার শ্রমিকরা তাদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে,তাই অসমীয়া যুবকেরা কাজ পাচ্ছে না।আসামের আর্থিক দুরাবস্থার জন্যে এরাই দায়ী।তাই এই শ্রমিকদের ওরা তাড়িয়ে দিতে চায় আসাম থেকে, তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চায়।
-
অসময় বলে কিছু নেই,
মায়ের বুকের ঘ্রাণে, প্রেয়সীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখো, দেখবে বিষন্ন ছায়া, অব্যক্ত বিদ্রোহের সুর
গর্জে ওঠে, মিলনের শেষ রাতে মৃত্যুর চেয়ে
ঢের বেশি আলিঙ্গনে বেঁধে নাও বুক, তারপর— একসাথে গর্জে উঠো—
‘গণতন্ত্র নিপাত যাক’ -
ক্লাস সেভেন থেকে ঘটলো ছন্দপতন। যে ছেলের ইংরেজি খাতায় একটা লাল দাগ দিতে পারতেন না জীবনবাবু, সেই ছেলের পড়াশোনায় মন নেই একদম। এত ব্রিলিয়ান্ট একটা ছেলে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে! অনেক বোঝালেন।কোন লাভ হয় নি।ঠাকুমাকে, বাবাকে ডেকেও বলা হলো। বাবা ভ্রুক্ষেপহীন। আর ঠাকুমার চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কী বা করার আছে!
-
এসব কথা ঠিক, কিন্তু এত পঙ্গপালের ভিড়ে প্রকৃত প্রতিভা কি মারা যাচ্ছে না ? কলকাতায় বসবাস না করলে, টাকা না থাকলে, বই ছাপাতে না পারলে, সম্পাদককে শরীর বা টাকা না দিতে পারলে —সেই কবি যে এই সমাজে মানসম্মান পাবেন একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কষ্ট হয় তখনই, যখন রবীন্দ্রসদনে দাঁড়িয়ে সত্তর দশকের বহুল প্রসবা এক কবি আমাকে বললেন, নিজের পত্রিকায় কার লেখা ছাপব, কার ছাপব না সেসব আমার ব্যাপার। নিজের পাঁঠা আগায় কাটব না গোড়ায় কাটব তা আমিই ঠিক করব।
-
বখতিয়ার বিহার ও পরবর্তীতে বাংলায় অভিযান চালিয়েছেন সত্য এবং সেটা তিনি করেছেন বৌদ্ধদের আহবানে। সেটা করতে গিয়ে তাঁর বাহিনীর হাতে উদন্তপুরী ও বিক্রমশীলা মহাবিহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে বহু মানুষও মারা গিয়েছিল। কিন্তু বখতিয়ার ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধবংসের সংগে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। বরং বখতিয়ারের সময় ও পরবর্তী মুসলিম শাসনে নালন্দা সহ অনেক বৌদ্ধ বিহারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্বের মতোই জ্ঞানচর্চা চলেছিল। কিন্তু দেশীয় ও বিদেশীয় রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও মূলত অষ্টম শতকের শেষভাগ থেকে নালন্দার গৌরব-সূর্য ধীরে ধীরে অস্তমিত হতে থাকে, বিশেষ করে ৮১০ সালে বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রতিষ্ঠার পরই।
-
দিন শেষের সমস্ত আলো মুছে গিয়ে সন্ধে নামছে।একটা অস্পষ্টতায় ঢাকতে শুরু করেছে চারিদিক।বনবাবলার মাথার ওপর থেকে কখন উড়ে গেছে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙারা।দিগন্তের রক্তিমাভা ঢেকে যাচ্ছে ঝাঁপসা অস্পষ্টতায়।আমি তাকিয়ে আছি সুপ্রিয়ার দিকে।বারে বারে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে সেইসব দিনগুলোয়।সেই বিকেল।সেই নদীপাড়।সেই সন্ধে নামা।সেই বনবাবলার মাথার উপরে বসে থাকা বক,পানকৌড়ি, আর মাছরাঙা।সেই ঝিঁঝিঁর ডাক।সেই –