হাতের কাস্তে হাতে নিয়েই সাবু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছিল সুফল। তারপর আরও কয়েকটা জায়গায় গেছে। এ বাড়ি ও বাড়িতে কাজের খোঁজ করেছে। কিন্তু সবখানেই তাকে নিরাশ হতে হয়েছে। খালি হাতে ফিরতে ফিরতে ক্লান্ত হয়ে এক সময় ফিরে এসেছে বাড়ি। আর বাড়ি ফিরেই ক্লান্ত শরীরটাকে বাঁশের খুঁটিতে হেলান দিয়ে বসে পড়েছে দাওয়ায়।
অভাব
-
-
বিরাট পাকুড় গাছের তলে বাঁশের মাচা। খালি গায়ে গ্রামের মানুষ, মুনিশ এই মাচায় সুযোগ পেলেই একটু জিরিয়ে নেয়।নগ্ন শরীরের ঘন ঘন আলিঙ্গনে মাচার গা একেবারে তেল তেলে। মাছি বসলে পিছলে পড়ার উপক্রম।বেলা বেশি হয় নি। পাকুড়গাছতলা পাড়ার মরূদ্যান। ক্লান্ত কৃষক এর তলে বসে তার ক্লান্তি ভোলে।
-
মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। কেঁদে কেঁদে বলে, ‘সহ্য কইর্যা লে বাবা, সহ্য কইর্যা লে।আসিফের বাপ তোকে ম্যাইরাছে, একথা কাহোকে কহিস না বাবা। অরা একদিন দশ কেজি চাউল দিয়্যাছিলো হামরাকে।ফেরও হয়তো কুনু দিন দিবে। তোর ম্যাইরের কথা যদি কাহোকে কহ্যা দিস, তেবে আর অরা কুনুদিন কিছু দিবে না। তোর বাপ খাটতে পারে না। হামার বিড়ি বাঁধার কাম নাই। পরের দয়ার উপরে ভরসা কইরাই এখনিকা দিন কাটাইতে হইছে। হাংরে বাড়ি আর দু’দিনের খাবার আছে। তারপর হয়তো তোর আনা রোইজ কচুর শাকই খায়্যা রহইতে হইবে।
-
সতেরো দিনে পাঁজরের হাঁড় বেরিয়েছে শত,
বিবির মুখের দিকে চাওয়া যায় না,
বুভুক্ষ শানিত চোখগুলি খালি ভাতের হাঁড়িতে পেরেক ঠুকছে। -
আজও তিনি এসেছেন। এর আগেও বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। নামাজ শেষে মুসল্লিদের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর আবেদন রাখছেন। যেমনটা আগেও রাখতেন। তিনি…