মদই হোক বা মিছরি, প্রবাদ-প্রবচন হোক বা ভোজন, বাঙালি গ্রাম্যজীবনে তাল-সংস্কৃতির ছাপ খুব গভীর। তালগাছ বাঙালির ফ্যানগাছ। তালপাখার ঠান্ডা বাতাস যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে ফ্যানের আরাম দিয়েছে। প্লাস্টিকের সর্বগ্রাসী ব্যবহার আসার আগে তালপাতার চাটাই, মাদুর, বসার আসন, তালপাখা গ্রামবাংলার মাটির সংসারের স্থায়ী সদস্য ছিল। তালপাতার পুতুল, চরকা ছিল বাংলার শিশুর খেলার সাথী। একসময় শিশুর হাতের-লেখার খাতা ছিল তালপাতা। বহু প্রাচীন তালপাতার পুঁথিও আবিষ্কৃত হয়েছে। তালগাছের কাণ্ড দিয়ে তৈরি ডিঙি, নৌকায় ভাটিয়ালি গানের ঢেউ উঠত বাংলার নদীতে। সিমেন্ট আবিষ্কারের অনেক আগেই তালগাছের লম্বা আর শক্ত কাণ্ড ধনীদের কড়িবরগার দালানকোঠা উপহার দিয়েছিল। আর দরিদ্রের কুটিরে দিয়েছিল তালপাতার ছাউনি।
Tag: