সামসুল হালসানা
মেয়েটি বেরিয়েছিল বাড়ি থেকে
ভাই ফোঁটা দেবে বলে,
তার নিজের তো কোন ভাই নেই, তাই।
হোস্টেল থেকে বাড়ি ফিরে সবুজ শাড়িতে,
ভাইফোটার আমেজ আজ সব বাড়িতে।
সে কাউকে বাইরে দেখতে পেল না।
এদিক ওদিক মরমি চোখে খুঁজতে থাকে
হঠাৎ দেখে একটি ছেলে মনমরা হয়ে বেঞ্চে।
‘এই ছেলেটা ফোঁটা নাউনি তুমি?
যাওনি কেন ভাইফোটার লাঞ্চে ?
তোমার বুঝি কোন বোন নেই!
আমি তোমার ফোটা দিলে নেবে!
“আমি থাকি ঐ উঁচু বাড়িটায় , বলল ছেলেটি,
বাবা বড় চাকরি করে, মা স্কুলে পড়ায়
দিদি আমার ডাক্তার,আমি কলেজ যায়,
হঠাৎ বাড়িতে আবদার করে সকলকে বলি
ঝুপড়িতে থাকা, রাস্তার দুদিকে থাকা,
খোলা আকাশের নিচে থাকা যত ভাই-বোন
সকলকে নিয়ে এসে আজ ভাইফোঁটা আর বোনফোঁটা দেব ,উৎসব করব ওদের নিয়ে।
‘সমাজে মান সম্মান রাখবিনে’, বলল সবাই।
এই বলে সে মন খারাপের কারণ দশাই।
বসে আছি একা একা কোন দিদি বা বোনের খোঁজে।
এসো আমার সঙ্গে দিদি, দালান বাড়ির পিছে, দেখতে পাবে ছেঁড়া কাপড়
জামাতে, পেট ভরা খিদে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে ,ফোঁটা দেবে তাদের আদর করে খিদে নিবারণ করে।
এই দেশেতে জন্মেছে তারা পূর্ন অধিকারে,
কোটিপতি হয়েছে দ্বেষপ্রেমীরা এদের শোষণ করে।
এসো দিদি তুমি আর আমি ভাইফোঁটা আর বোনফোঁটা দিয়ে, এদের জন্য লড়াই শুরু করি।
শুনছো তোমরা ভাই-বোনেরা, যোগ দাও মোদের সাথে,
ওদের লাগি সুখ ছিনিয়ে আনব , যদি তোমরা থাক পাশে।