এক লড়াকু ছাত্রীর কথা

by শান্ত বর্মন

একজন ছাত্রী। গ্রামের। গরিব ঘরের। দুহাতের দশটি আঙ্গুলের মধ্যে তার হাতে একটিও নেই। একটি পায়ের পাতাও উল্টানো। সরকারি ভাবে তাকে ৭০ শতাংশ বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ঘোষনা করা হয়েছে।

তবে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তার কাছে হার মেনেছে সবকিছুই। হাতের আঙ্গুল নেই তাতে কি হয়েছে? দু হাতের তালু দিয়ে দিব্যি কলম চালিয়ে লিখতে পারেন ইংরেজি, বাংলা। স্কুল কলেজের বা দরকারি লেখা সবই তার আয়ত্তে। তার কোন সমস্যাও হয়না।

তালুর সাহায্য নিয়ে উল্টাতে পারেন বইয়ের পাতাও। তবে শুধুই কি পড়াশুনা?

না তার সাথে আর পাঁচটা সুস্থ্য সবল মানুষদের মতোই বাড়ির কাজ, যেমন, চা বানানো, রান্না করা, কাপড় কাচা সবকিছুতেই সে সমান দক্ষ।

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সে উঠে দাঁড়াতে চায় একজন মানুষ হিসেবে। হতে চায় স্বাধীন, স্বনির্ভর। তাই সব বাঁধাকে পেছনে ফেলে রাস্ট্রবিজ্ঞানে সান্মানিক স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন ওই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ছাত্রীটি।

তার বাড়ি জটেশ্বর ১ গ্রামপঞ্চায়েতের কাজলি হল্টে।

You may also like

Vinnokatha
Prothom Khondo
Price: Rs.260/-
www.vinnokatha.in
মেহনতি মানুষের মুক্তি নিশ্চয়ই একদিন আসবে। সব ধরণের শোষণ শেষ হবে একদিন--এ স্বপ্ন আমরা দেখি। শুধু দেখি না, একে বাস্তবে কার্যকর করতে 'ভিন্নকথা' তার সাধ্যমত প্রয়াস চালিয়ে যাবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষের চেতনার লক্ষ্যে, মুক্তির লক্ষ্যে।
মেহনতি মানুষের মুক্তি নিশ্চয়ই একদিন আসবে।সব ধরণের শোষণ শেষ হবে একদিন--এ স্বপ্ন আমরা দেখি। শুধু দেখি না, একে বাস্তবে কার্যকর করতে 'ভিন্নকথা' তার সাধ্যমত প্রয়াস চালিয়ে যাবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষের চেতনার লক্ষ্যে, মুক্তির লক্ষ্যে।
Vinnokatha
Prothom Khondo