শ্রেণীর সঙ্গে বর্ণ অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। তাই শ্রেণী ব্যবস্থাকে আঘাত না করে অর্থাৎ উৎপাদনের বিষয় ও উপকরণের মালিকানা তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষের হাতে হস্তান্তরিত না হলে এবং সাথে সাথে শোষিত নিম্নবর্ণের মানুষ পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রাপ্ত না হলে বর্ণ-ব্যবস্থা নির্মূল করা অসম্ভব বিষয়।
ব্রাহ্মণ্যবাদ
-
-
এই পটভূমি মাথায় রেখেই আলোচিত পুস্তকখানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অংশবিশেষ -“কমিউনিজমের দার্শনিক সমস্যা” এবং কমিউনিস্টদের সামনে এই সময় প্রধান কাজ”। এই দুটি অংশ পাঠক এবং সমালোচকদের কাছে বিশেষ মনোযোগের দাবী রাখে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হলো ভারতবর্ষের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণ্যবাদ-জাতপাত বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্য ও ইতিহাস।
-
অনুরাধা অনেকের কাছেই আদর্শ ছিল। সে কখনো নিজেকে নিপীড়িত জনগণের থেকে আলাদা করে দেখতেন না যেটা সবাই আমরা প্রায়ই করে থাকি আমাদের জাতপাতের কারণে অথবা বস্তুগত অবস্থানের স্থান থেকে।
-
জাত পাতের বিষয়টিকে তিনি শুধু একাডেমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। এর বাস্তবিক অভিঘাতগুলো আমাদের সমাজকে কিভাবে পেছনে টেনে রেখেছে তার ভুরি ভুরি উদাহরণ তথ্য সহকারে দিয়েছেন। খুব ভালো লাগে যখন তিনি সংরক্ষণ নিয়ে নানা আপত্তিগুলোকে যুক্তি নির্ভর “অন্য কথা” দিয়ে একের পর এক সাজিয়েছেন।
-
অরণ্য ও প্রকৃতির সন্তানেরা কলকলমুখর প্রাগসর মানবগোষ্ঠীর চাপে আজ নির্বাক। তাঁরা নীরবে দেখছেন তাঁদের নির্ভরযোগ্য বাসভুমি-বনভূমি-মাতৃভূমি অপরের [পুঁজিবাদীদের] হাতে করায়ত্ত। নিজভূমে পরবাসীর বেদনা তাঁদের নিত্যসঙ্গী। তাঁরা অসহায়। গিরিকুমার অরণ্যসন্তান—সেই বৃহত্তর কৃষ্ণভারতকে বাদ দিয়ে, উপমহাদেশের সাহিত্যচর্চা কেন, কোন চর্চাই পূর্ণাঙ্গ নয়।