ব্রাহ্মণ্য (বর্তমানে হিন্দুধর্ম বলে প্রচার করাহচ্ছে), ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, সারনা প্রভৃতি ধর্মে শ্রমিকশ্রেণী আছে,আছে শোষকশ্রেণী। বাঙালি,বিহারি,ওড়িয়া,তামিল,তেলেগু,মারাঠি, গুজরাটি প্রভৃতি জাতিতে বেশিরভাগ আছে শ্রমিকশ্রেণী, আছে সংখ্যালঘিষ্ঠ শোষকশ্রেণী। বেশিরভাগ ওবিসি, দলিত, আদিবাসী জনগণ শ্রমিক ও দরিদ্র কৃষক।তাঁরা শোষিতশ্রেণী।একই ধর্ম ও জাতির শোষকশ্রেণী কি ঐ ধর্মের ও জাতির শ্রমিক ও কৃষককে শোষণের হাত থেকে ছাড় দেয়? দেয় না। তাই শ্রমজীবী জনগণের প্রথম পরিচয় তাঁরা শ্রমিকশ্রেণী,শোষিতশ্রেণী।এই পরিচয় ও শ্রমজীবীদের ঐক্যটা ভেঙে দিতে পারলে শোষণে বাধা থাকে না শোষকশ্রেণীর।
Tag:
মুক্তি
-
-
আজ যখন ধর্মের রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষ মানুষকে ঘৃণা, হিংসা ও খুন করছে, আজ যখন গরিবদের কথা বললে লোকে হাসাহাসি করছে, আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিধ্বংসকারি ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা মারছে, আজ যখন শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার ও সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই, প্রতি পদে পদে তারা বঞ্চিত, শোষিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে, আজ যখন মালিকদের বেশিরভাগই স্বৈরাচারী এবং তাদের সাথে দেশের রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত –সেখানে দাঁড়িয়ে মে দিবসের প্রসঙ্গ ও এদিনের তাৎপর্য আরও বেশি বেশি উপলব্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে ও পুঁজিবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নতুন করে আমাদের সকলকেই নিতে হবে।