আদি মানব রক্তে লেখা কাম ইন্দ্রিয়ের কবিতা এই ভাষাগুলোকেই লোকে ভালোবাসা বলে, ভালোবাসা নিংড়ানো রসে হাবুডুবু খায় কামগন্ধ ব্যাকরণ,
ভালোবাসা
-
-
দিন শেষের সমস্ত আলো মুছে গিয়ে সন্ধে নামছে।একটা অস্পষ্টতায় ঢাকতে শুরু করেছে চারিদিক।বনবাবলার মাথার ওপর থেকে কখন উড়ে গেছে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙারা।দিগন্তের রক্তিমাভা ঢেকে যাচ্ছে ঝাঁপসা অস্পষ্টতায়।আমি তাকিয়ে আছি সুপ্রিয়ার দিকে।বারে বারে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে সেইসব দিনগুলোয়।সেই বিকেল।সেই নদীপাড়।সেই সন্ধে নামা।সেই বনবাবলার মাথার উপরে বসে থাকা বক,পানকৌড়ি, আর মাছরাঙা।সেই ঝিঁঝিঁর ডাক।সেই –
-
আত্মীয়স্বজন না থাকা মালঞ্চের প্রৌঢ় অধ্যাপক মানুষটির মধ্যে একটা নাড়ির টান অনুভব করে সে। বারবার মনে হয় এই একা মানুষটিকে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। সকালেই গাড়ি নীপার। শেষবারের মতো মালঞ্চে গেল নীপা। প্রণাম করতেই স্যার বললেন– “তোর জন্য একটা পলাশের চারা বনসাই করা আছে। ওটা নিয়ে যা। আমার তো আর ফেরা হলোনা । আমার প্রতিনিধি হয়ে ওটাই ফিরে যাক ও দেশে। হয়ত বুঝতে পারবি একদিন ওর মাঝে কী বিশাল এক বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে।”