এবারের বন্যায় ফেনীতে আট লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনী শহরসহ পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে, সদর উপজেলা, সোনাগাজী ও দাগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকেই রয়েছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় মানুষের দুর্ভোগও কমছে না।
বাংলাদেশ
-
-
কিশোরগঞ্জ এলাকার আরেকজন মানুষ কেউ কেউ শুনেছেন, তিনি হারিয়ে গিয়েছেন, রেবতী মোহন বর্মণ। তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা। তিনি আর এই নীরদ সি চৌধুরী। এরা পাশাপাশি গ্রামের মানুষ, দুজনের বাবা ওকালতি করতেন, দুজনেরই অবস্থান বেশ মধ্যবিত্ত। কিন্তু রেবতী মোহন বর্মণের নাম তো আমরা শুনি না। কারণ, রেবতী মোহন বর্মণকে তো আমরা আধুনিকও বলি না, বলি না এজন্য যে তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন।
-
পুজোআর্চা ব্যাপারটা মানুষের অন্যতম মুখ্য সংস্কার মাত্র। বেদের কোথাও নেই পুজো প্রসঙ্গটি। বেদে ‘সূর্য’ ছাড়া অন্য কোনও দেবদেবীর নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না।এই যে দুর্গাপুজো ইত্যাদি, যা নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা হল, এ-সব সমগ্র বেদের কোনও পৃষ্ঠাতেই নেই। সবটাই পুরাণ মতে। পুরাণই সাধারণ মানুষ মেনে চলছেন, পুজো চলছে বছরভর যথারীতি।
-
আত্মীয়স্বজন না থাকা মালঞ্চের প্রৌঢ় অধ্যাপক মানুষটির মধ্যে একটা নাড়ির টান অনুভব করে সে। বারবার মনে হয় এই একা মানুষটিকে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। সকালেই গাড়ি নীপার। শেষবারের মতো মালঞ্চে গেল নীপা। প্রণাম করতেই স্যার বললেন– “তোর জন্য একটা পলাশের চারা বনসাই করা আছে। ওটা নিয়ে যা। আমার তো আর ফেরা হলোনা । আমার প্রতিনিধি হয়ে ওটাই ফিরে যাক ও দেশে। হয়ত বুঝতে পারবি একদিন ওর মাঝে কী বিশাল এক বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে।”
-
এক বিকেলে নিঃশব্দে দুজনে সাঁকো পেরিয়ে নদীর ওপারে মল্লিকাদির বন্ধুর বাড়ি যাই। পথে আমাদের একবাক্য কথারও চালাচালি হয় না যেমনটা সবসময় হয়। নোমান আলী খানের সাথে সেই দিঘির শাণবাঁধানো-ঘাটে মল্লিকা’দির শেষআলাপ হয়। এবং বিকেল নেমে এলে নিঃশব্দে বাড়িরপথে ফিরতে পা বাড়াই।
সাঁকোর মাঝপথে দাঁড়িয়ে পশ্চিমদিকে দৃষ্টি ফেরালে লাল-টকটকে বিদায়ী সূর্যটায় চোখ আটকে যায়। “সূর্যাস্তে বিষাদের সুর থাকে ঠিক যেমন সূর্যোদয়ে থাকে সুখস্বপ্ন”-মল্লিকাদির কথা। তিনি এমনতরো কতো কথা আমাকে প্রায়ই বলতেন। আমরা প্রায়ই সূর্যাস্ত দেখতে বাঁশের সাঁকোর মধ্যিখানে নীরবে দাঁড়িয়ে যেতাম আজও স্বভাব মতো থমকে দাঁড়াই। পশ্চিম আকাশ, আজকে একটু বাড়াবাড়ি রকমের বিষাদের লাল আভায় মুড়ে আছে। মল্লিকা’দির কান্নাভেজা চোখজোড়ায় বিষাদের রঙের বড়বেশি মাখামাখি টের পাই। আমি আমার বাড়িরপথে পা বাড়াতে উদ্ধত হলে, মল্লিকাদি আমার হাতজোড়া তার হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে রাখে। দিঘিরজলের মতো টলমল অশ্রুফোঁটা আমার হাতে গড়িয়ে পড়ে। আমি আলতোভাবে হাত ছাড়িয়ে বাড়ির পথ ধরি। -
তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তাঁর শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে। তাঁর ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণীর দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তাঁর ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।