জাত পাতের বিষয়টিকে তিনি শুধু একাডেমিক স্তরেই সীমাবদ্ধ রাখেননি। এর বাস্তবিক অভিঘাতগুলো আমাদের সমাজকে কিভাবে পেছনে টেনে রেখেছে তার ভুরি ভুরি উদাহরণ তথ্য সহকারে দিয়েছেন। খুব ভালো লাগে যখন তিনি সংরক্ষণ নিয়ে নানা আপত্তিগুলোকে যুক্তি নির্ভর “অন্য কথা” দিয়ে একের পর এক সাজিয়েছেন।
মনুবাদ
-
-
ডিজিটাল যুগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিভিশন ইন্টারনেট বহুজাতিক কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে গেছে কিন্তু পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য হাসপাতাল। পৌছায়নি বিজ্ঞান চেতনার আলো। ওঝা সম্প্রদায়ের চিকিৎসায় সম্বল। বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা শুভ অশুভ শক্তির অছিলায়। ডাইনি প্রথাকে টিকিয়ে রাখার অর্থ হলো সব ধরনের বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। বৈষম্য থাকলে বাজার বাড়বে। সচেতন বা অসচেতন গ্রাহক তৈরি হবে। মানুষের শুভ চিন্তার বিনাশ ঘটবে।
-
আম্বেদকর হলেন সেই দেবদূত যিনি অপমানিত, অবদমিত শৃঙ্খলিত নারী জীবনের তমসাকে স্বাধীন ভারতে আইনের দ্বারা দূর করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকেই মনুবাদী শাষনব্যবস্থার অচলায়তন পর্বতগুলো ভাঙতে শুরু করেছিলেন। প্রকাশ্যে মনুস্মৃতি পুড়িয়ে পিতৃতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিবাদ করেন( ২৭ডিসেম্বর, ১৯২৭)।
কাস্ট ইন ইন্ডিয়া (১৯১৭) বই প্রকাশ, ‘মূখনায়ক’ পত্রিকা (১৯২০) ও ‘বহিস্কৃত ভারত’ পত্রিকা (১৯২৭) প্রকাশনার মাধ্যমে ‘জাতের নামে বজ্জাতি’-র জগদ্দল পাথরগুলো অপসারণে তাঁর সুচিন্তিত ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারার প্রকাশ করতে থাকেন।নারীর সম্পত্তির উপর অধিকার ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে তাঁর অনলস প্রয়াস ততকালীন বিশ্বের সনামধন্য নারীবাদীদেরও উৎসাহিত করেছিল।