সায়েদা ও শবনম, দুজনে মিলে মেলা ঘুরতে শুরু করলো। তবে এখনকার মেলাকে আর আগের মত মেলা বলা চলেনা। বছর কয়েক আগে ঈদ উপলক্ষে নানান রকমের দোকান পাশার, ছেলে মেয়েদের আনন্দ ফুর্তির জন্য বাঁশের তৈরি চরকি, লটারি খেলা, আরও কত কি যে আসতো! তাছাড়াও আসতো হাতে কৃত্রিম ট্যাটু লাগিয়ে দেওয়ার দোকান। সবাই ত্রিপল কিংবা চট পেতে বসে পড়তো মাটির উপর। মেলায় ঘুরতে ঘুরতে সায়েদার চোখ গিয়ে পড়লো এরকমই একটা দোকানে। একজন ধুতি পাঞ্জাবী পরা লোক অনেক গুলো কাঠের তৈরি ছাঁচ নিয়ে বসে আছে মেলার এক কোনায়। কোন ছাঁচে তাজমহল, কোনটাতে গোলাপফুল, তো কোনটাতে আবার দূরদর্শন চ্যানেলের শক্তিমান একটা অদ্ভুত রকমের ক্যারিকেচার হয়ে দাঁড়িয়ে!
June 2023
-
-
-
সত্য’দা সেই আগের মতই। অমিত, তুহিন, গোপাদের নিয়েই বেঁচে থাকতে চান। অখ্যাত এই গ্রামটি সোনার মেয়ের সাফল্যে অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে আছে।সত্যিকারের স্বাধীনতার স্বাদ পায় আলোর ঝিলিকে। এ তল্লাটের যত আলো এখন সোমাকে ঘিরে। স্বার্থপরের মতো বেঁচে না থেকে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করল সোমা।
-
গঙ্গারিডইরা যে ছিল মূলতঃ পৌন্ড্র জাতি সে বিষয়ে সব ঐতিহাসিকই একমত। এদের ভাষা ছিল পূর্ব-প্রাকৃত থেকে প্রাকৃত-অপভ্রংশ। আর এদের লিপি ছিল ব্রাহ্মী, খরোষ্টী ইত্যাদি লিপি থেকে সৃষ্ট প্রাক-বঙ্গলিপি। অনেকের মতে নিম্নবঙ্গে আরও কিছু লিপি হয়তো প্রচলিত ছিল, কিন্তু সে-সব লিপি এখনও আবিষ্কৃত হয়নি। আর তাই সুন্দরবন অঞ্চলে প্রাপ্ত কয়েকটি সীলমোহরের পাঠোদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি। সাগরকূলের গঙ্গারিডইরা ছিল ব্রাহ্মণ্যপ্রভাবমুক্ত স্বাধীন জনগোষ্ঠী।
-
রায়হান ভর দুপ্পহারে বাগানে একলাই ঘোরাঘুরি কোরছিলো।পিছাদিকে ঘুইরা দ্যাখে ঐ বেটিছ্যালাট্যা খাড়ো হয়্যা আছে। চোখ্খের পলক না ফ্যালা তাকিয়্যা আছে। রায়হানের ভিতরখ্যান কেমন য্যানো শিরশিরিয়্যা উঠলো। কত্ত বেটিছ্যালা দ্যাখেছে এম্নি তো কুনুদিনি হয় নি। খানিক অ্যাগ্গ্যা অ্যাইস্যা কহিলো,”তোর নাম কিরে ? “রায়হান” তো? চল ওই খ্যাড়ের পালাটায় ঢ্যাসা দিয়্যা বোসি ।” শুন্যা তো ঘ্যাবরা গ্যালো রায়হান। ফের কহিলে ,” হাঁমার নাম রাসু।” চোখ ঘুরিয়্যা ঘুরিয়্যা ম্যাল্ল্যাই কথা কোহ্যা গ্যালো। আর রায়হান কথা-গালা গিল্যা গ্যালো।
-
সালটি ১৯৭২, তিনি কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরির মেঝেতে রাশি রাশি লিটল ম্যাগাজিন অনাদরে পড়ে থাকতে দেখে খুবই মনোকষ্ট পেয়েছিলেন। এই ছোট ছোট পত্রিকা করুণ দশা তথা শেষ পরিণতি ফেলে দেওয়ার কথা জানতে পেরে তাঁর মন প্রচণ্ড ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। বিস্তর ধুলোয় লুটোপাটি খাওয়া লিটল ম্যাগাজিনের চরম দুর্দশার ক্ষোভ তার মনে জন্ম নিয়েছিল লিটল ম্যাগাজিন রক্ষণাবেক্ষণ ও সংগ্রহের জেদ। এই জেদের শেষ পরিণতি হয়েছিল তাঁর ট্যামার লেনের পৈতৃক নিবাসে একতলার ছোট ছোট দুটো ঘরে। ৭৫০টি বই নিয়ে ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা করেন লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, যা পরবর্তীতে লিটল ম্যাগাজিনের বিশাল সংগ্রহশালা হয়ে উঠেছিল সমস্ত পাঠকদের কাছে।
-
আত্মিকসংকট থেকে আত্মঅন্বেষণ, দগ্ধচৈতন্যের হাহাকার, মানুষের সামাজিক অবস্থান ও আইডেন্টিটির ক্রাইসিস ফুটে উঠল। মানবিক সম্পর্কের অবক্ষয়ও প্রতিফলিত হল। অর্থনৈতিক শোষণের প্রেক্ষাপট মনন দক্ষতায় রূপ দিলেন। এক একটা ছবিও যেন কবিতার ভাষা পেয়ে গেল। প্রতিটি চিত্রকল্পই নিজস্বতা অর্জন করল।
তাঁর কবিতার কথনভঙ্গিই বলে দেয় বাংলা ভাষায় তা কতটা নতুন স্টাইল। সিনেমা ও কবিতায় তিনি সেই ভাষারই খোঁজ করেছিলেন। প্রথমত তিনি সময়কে নিয়েই বেশি ভেবেছিলেন। অর্থাৎ সময়ের কী চাহিদা ছিল, সময়ের কী স্বর ছিল, কেমন অভিক্ষেপ দরকার তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আবার এই সময়ের উত্তরণও তিনি চেয়েছিলেন সুররিয়ালিজমের মাধ্যমে। সময়ের কাছেই তিনি মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান, মানুষের দেশকাল অর্থনীতির অবস্থাও অনুধাবন করেছিলেন।
-
কালীপদ বাবু কেঁদে কেঁদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে হাত দুখানি উপরে তুলে বিধাতাকে বলছে, এ তোমার কেমন বিচার। স্ত্রী,পুত্র কন্যাকে নিয়ে গেলে।শুধু বাঁচিয়ে রাখলে আমায়।এই যদি তোমার বিচার হয়, কেনো পাঠিয়ে ছিলে আমায় এই পৃথিবীতে!
-
হিন্দুত্ত্ববাদী ইতিহাসচর্চায় প্রাচীন ভারতের হিন্দু সংস্কৃতির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে, তার ভালো দিকগুলো দেখাতে সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক হত্যা, অন্ধবিশ্বাস, জাতিভেদ প্রথা, উচ্চবর্ণ দ্বারা নিম্নবর্ণের মানুষের উপর অত্যাচারের কথা বিন্দুমাত্র দেখানো হয়নি। সুতরাং সংঘ পরিবারের একপ্রকার বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানেই লেখক দেখিয়েছেন, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে সংঘ পরিবারের ইতিহাস পক্ষপাতদুষ্ট। এমন অনেক উদাহরণ লেখক তুলে ধরেছেন, যেটা প্রমাণ করে প্রাচীন সময় থেকেই ভারতের ঐতিহ্য ছিল সমন্বয় ও সম্প্রতির।
-
যেখানেই বাঙালি সেখানেই ভোটে হিংসা, রক্তপাত, সন্ত্রাস। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ভারতের এই দুই রাজ্য ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে নির্বাচনে রক্তপ্রবাহের দৃশ্য সবচেয়ে বেশি। কয়েক বছর আগেও বিহারকে আমরা জঙ্গলরাজ বলতাম। কিন্তু হিংসার আবহে বাংলা এখন কয়েক যোজন এগিয়ে। ভারতের অন্য রাজ্যে যখন রক্তপাতহীন ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তখন বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য বা দেশে নির্বাচনে রক্তপাত অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বাঙালির এ বড় লজ্জা!
- 1
- 2