পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ প্রান্তিক বাঙালি মুসলমানদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক পরিচয়ের অনেক ‘না বলা কথা’ নিজের মতো করে বলার চেষ্টা করেছি।তাদের মানসিক জগৎ এবং তাদের দৈনন্দিন দিন-আনা, দিন-খাওয়া জীবনের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত সামাজিক, ধর্মীয়, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মিডিয়া, ইত্যাদির বিষয় সম্পর্কে প্রায় সব ‘অনালোচিত’, ‘অকথিত’ এবং ‘নিষিদ্ধ’ কথার আলোচনা আমি করেছি।
May 2024
-
-
এই চাকরিহারাদের অসহায়তাকে বিদ্রূপ করে, বেকারদের দুঃখমোচনের মেকি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট রাজনীতির খেলায় জেতার অঙ্ক কষার আগে মানুষের বোধ-বুদ্ধি ও সচেতনতার কাছেও কিন্তু জবাবদিহি করতেই হবে। সচেতন মানুষ এতদিনে নিশ্চয় ভোট রাজনীতির পাটিগণিতের শেষ উত্তরটা জেনে গেছে, নির্বাচন আসলে একটা সুবিধাবাদকে সরাতে গিয়ে আর একটা সুবিধাবাদেরই জন্ম দেওয়া।
-
চোখে চোখ রেখে দৃঢ় কণ্ঠে বলা যায় ইতিহাস আর বর্তমানের নিষ্ঠুরতম সত্য। নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে দাঁড়ানো যায় কালের সমস্ত ভণ্ডামি আর সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে। সকালের স্নিগ্ধতার চেয়ে রাতের আঁধার গ্রাস করতো তাকে। সাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা, বিভীষিকা, তার সাহিত্যের নিষিদ্ধ হওয়া, কোনটিই বাদ যায়নি। তার ওপর আঘাতের পর আঘাত এসেছে। তাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল শাসকেরা। কিন্তু তিনি তো চিরকালের।
-
বাঙ্গালী মুসলিমদের একটা স্বতন্ত্র শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্যের জগৎ সৃষ্টির প্রয়োজনীয়তা তিনি অনুভব করতেন। তিনি ইসলামকে মনে করতেন না পরকাল সর্বস্ব ধর্ম। পার্থিব – পরলৌকিক দুই দিকেই ইসলামে স্বীকৃত বলে তার ধারণা। বাংলাসাহিত্যে মুসলিম সাহিত্যিকরাই প্রথমে পরলৌকিকতার বাইরে এসে সাহিত্য রচনা করেছেন বলে তিনি মত দিয়েছেন। অন্যদিকে অনেক বিখ্যাত হিন্দু সাহিত্যিক নিরপেক্ষ ভাবে সাহিত্য রচনা করতে সক্ষম হয়নি বলে তিনি মনে করেন।
-
এই পটভূমি মাথায় রেখেই আলোচিত পুস্তকখানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অংশবিশেষ -“কমিউনিজমের দার্শনিক সমস্যা” এবং কমিউনিস্টদের সামনে এই সময় প্রধান কাজ”। এই দুটি অংশ পাঠক এবং সমালোচকদের কাছে বিশেষ মনোযোগের দাবী রাখে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হলো ভারতবর্ষের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণ্যবাদ-জাতপাত বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্য ও ইতিহাস।