কিন্তু অপারেশন সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রোগী মারা যায়। স্বামীর মতো একদিন রহিমা বিবিও। মা-বাপের মতো একদিন লাল্টুও। তবে লাল্টুর চলে যাওয়াটা মা-বাপের মতো মুখ দিয়ে রক্ত তুলতে তুলতে নয়। অন্য রকম ভাবে। প্রথমে সে জায়গাটা খুঁড়তে শুরু করে। জিনিস গুলো তখন নীচের দিকে নামতে শুরু করে। যত খুঁড়ে তত নামে। যত খুঁড়ে তত নামে। তবু লাল্টু খোঁড়া বন্ধ করে না। সে বলে—পাতালে গ্যালেও পাতাল থিক্যা তুলে আনবো। কতো নীচে নামতে পারিস নাম না! তারপর আমি দেকছি। লাল্টুর জেদ ধরে যায়। জেদের বশে সে হুক হুক করে খুঁড়ে যায়। খুঁড়তে খুঁড়তে মাথার ওপর খোঁড়া হলে দুই দিকের মাটি এসে ঢেকে যায়। মন্টু এসব দেখে সাহস করে আর ও ঘরে কোনো দিন ঢোকেনি। ঘরটা এখন তালাবন্ধ।
Tag: