আঠারো শতকের দ্বিতীয়ার্ধের এক দুর্যোগময় সময়ে বাংলার ভাগ্যাকাশে আবির্ভূত হন মির্জা শেখ এহতেশামউদ্দীন (১৭৩০-১৮০১) । বাংলায় নবাবি শাসনের অবসান ও…
প্রবন্ধ
-
-
বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ( 12 রবিউল আওয়াল আরবি মাসে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম ও ওফাত দিবস) বিপুল উৎসাহের সাথে ,জাঁকজমক ,ভক্তি ও মর্যাদার সঙ্গে দান ,সাদকা , কুরআন তিলাওয়াত , লঙ্গর ও খানাপিনার মহফিল ,বিভিন্ন রকমের খাবার ও মিষ্টান্ন তৈরি,জনকল্যাণমূলক কর্ম, নাত এ রসূল পাঠ ,কাসীদা, গজল , জলসা মহফিল ,জুলুসের জসনের মাধ্যমে মিলাদ মাহফিল উদযাপন করা হয়। আজও মিলাদুন্নবীর উৎসব পালন হয় সামাজিক ও সংস্কৃতির ঐক্যের জন্য ,ধর্মীয় সংস্কৃতির কারনে৷
-
গান্ধী কেন আজ বেশি করে প্রাসঙ্গিক সেকথা বলতে গিয়ে বলতেই হয় যে, রাজনীতির যে আসল উদ্দেশ্য নিঃস্বার্থ মানব সেবা তা আজ কোথায়? কজন নেতা মন্ত্রীর মধ্যে তা আছে? খুঁজে পেতে দূরবীন লাগবে!!অপেক্ষাকৃত কম দুর্নীতিগ্ৰস্ত,কম ক্ষতিকরকে আমরা ভালো বলে প্রতিষ্ঠা দিতে চাচ্ছি। হায়রে অভাগা জাতি গান্ধীজি কি এই সত্য ও সততার জন্য লড়াই করেছেন?? আমাদের কাছে এখন চরম সত্য হলো আত্মপরতা কায়েম আর উদরপূর্তি ! পুঁজিপতিদের পেটমোটা করে পিছন দিক দিয়ে নিজেদের আখের গোছাও । কখনো তোতা পাখি,কখনো পেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বেঁচে থাকাটাই একমাত্র লক্ষ্য বলে ভাবতে শেখাও। জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষক নির্বাচনে সাদা খাতা আর টাকা জমা দাও।গরিব নিপীড়িত শোষিত বঞ্চিত অসহায় মানুষের জন্য সামান্য কিছু ভিক্ষা মুষ্টি ছুঁড়ে দাও।
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লা্হ্ (১৯২২-১৯৯৭১) বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক বাঙালি মুসলমান এক চিরন্তন কথাশিল্পী বলে অনেক বরেণ্যব্যক্তি মনে করেন। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন একজন ধ্রুপদী, আধুনিক লেখক।চরিত্র, প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন ও জনমানুষকে কেন্দ্র করে গড়ে তুললেও, তার সাহিত্যের অভিমুখ দেশের, জাতির, ও বিশেষ সম্প্রদায়ের বেষ্টনীকে অঙ্গুলিহেলনে অতিক্রম করে ও একইসাথে বিশ্বসাহিত্যের, বিশেষকরে অস্তিত্ববাদী ধারায় মিলিত করে বাংলাসাহিত্যের গতানুগতিকতার বদ্ধগলিতে এনেছন মুক্তাকাশের সূর্যদ্যুতি।এত বড় মাপের সাহিত্যিককে শুধুমাত্র ‘বাঙালি’ ও ‘মুসলমান’-এর ঘেরাটোপে ধরতে চাইলে তাঁর বহুমাত্রিক সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের গহীণদিকগুলি অনালোকিত থেকে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
