সৈয়দ আবুল মকসুদ
মহাত্মা গান্ধী, আচার্য বিনোবা ভাবে এবং সর্বোদয় নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ প্রচলিত অর্থে রাজনৈতিক নেতা বলতে যা বোঝায় তা ছিলেন না, তার ঊর্ধ্বে ছিল তাঁদের অবস্থান, যদিও রাজনীতিই ছিল তাঁদের জীবনের প্রধান কর্মক্ষেত্র। উপমহাদেশের রাজনীতিতে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীও তেমনি একজন ব্যতিক্রমী নেতা। তবে তাঁরও প্রধান ক্ষেত্র রাজনীতিই। যে দুটি দলের তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা, সেই আওয়ামী লীগ বা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সম্পূর্ণ আধুনিক ও সেক্যুলার সংগঠন ছিল।স্বরাজ পার্টি, খিলাফত, কংগ্রেস, মুসলিম লীগ, আওয়ামী লীগ এবং ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ইত্যাদি রাজনৈতিক সংগঠনে অবস্থান করেও ভাসানী মোটের ওপর একজন দলনিরপেক্ষ ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদী নেতা ছিলেন।
চিরকাল তিনি প্রবলের বিরুদ্ধে এবং অবহেলিত-নিপীড়িত-বঞ্চিতের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কোনো দলের অনুপ্রেরণায় নয়, দলীয় কর্মী বা নেতা হিসেবে নয়—জীবনের শুরুতেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদে নির্যাতিতের পক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন শোষক, নিপীড়ক, জমিদার, জোতদারদের বিরুদ্ধে। শেষ দিনগুলোতে কোনো দলের নেতারূপে নয়, ব্যক্তি হিসেবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন ভাসানী।তাই তাঁর সম্পর্কে ভারতের দৈনিক ‘স্টেটসম্যান’ যথার্থই লিখেছিল—Forever the Fighter, চিরকালের যোদ্ধা। ষাট বছরের রাজনৈতিক জীবনে মজলুমের পক্ষ অবলম্বন করে তাঁর যে সংগ্রাম তা কোনো দিন থামেনি।
কী ছিল এই সংগ্রামী নেতার রাজনৈতিক দর্শন? রাজনীতি বলতে তিনি নিজে কী বুঝতেন শুধু তাই নয়, সামগ্রিকভাবে রাজনীতির একটি মোটের ওপর গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা পাওয়া যায় এই বক্তব্য থেকে : ‘… রাজনীতি হইতেছে এমন একটি মহৎ কর্মপ্রয়াস, যাহার লক্ষ্য সমাজ হইতে অন্যায়, অত্যাচার, শোষণ ও নির্যাতনের অবসান ঘটাইয়া জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সমাজের সকল মানুষের সামগ্রিক কল্যাণ ও মঙ্গলের পথ প্রশস্ত করা; সমাজের ন্যায়বিচার, আইনের শাসন, বাক্স্বাধীনতা তথা সামগ্রিক গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করা।’ ধারণা করা যায়, ভাসানী বর্ণিত রাজনীতির এই সংজ্ঞা যদি বাস্তবায়িত হয়, তাহলে একটি জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
কিন্তু তিনি নিজে কেন রাজনীতিতে এলেন? এ প্রশ্নের জবাব তিনি নিজেই মৃত্যুর চার দিন আগে তাঁর জীবনের শেষ ভাষণে দিয়ে গেছেন : ‘অন্যায়ের প্রতি অনীহা আমাকে সারা জীবন বিভিন্নমুখী কর্মতৎপরতার প্রেরণা জুগাইয়াছে। … কিন্তু যে কৃষক-মজুর, কামার-কুমার, জেলে, তাঁতি ও মেথর ইত্যাদি মেহনতি মানুষের মুক্তির স্বপ্ন আমি আবাল্য দেখিয়াছি এবং সে জন্য সংগ্রাম করিয়াছি, তাহা আজও সুদূর পরাহত রহিয়া গিয়াছে। তাই আমার সংগ্রামের শেষ নাই। এই সংগ্রাম আজীবন চলিবে।’
এ জন্যই মওলানার মৃত্যুর পর ভারতীয় কংগ্রেসের সভাপতি দেবকান্ত বড়ুয়া তাঁর বাণীতে তাঁকে সম্বোধন করেছিলেন ‘জনগণের নিবেদিতপ্রাণ সেবক’ বলে।জনগণের একটুখানি সেবা করার উদ্দেশ্যেই রাজনীতিতে তাঁর প্রবেশ; নিজের ও বংশধরদের ভাগ্য গড়ার প্রয়োজনে নয়। এ ক্ষেত্রে তিনি সম্ভবত সম্পূর্ণ সার্থক। যেকোনো মানুষের মতো অভ্রান্ত তিনিও ছিলেন না। সুদীর্ঘ যাঁর কর্মজীবন, তাঁর তো ভুলভ্রান্তি থাকবেই, ব্যর্থতার গ্লানি তাঁকে বইতে হবেই, কিন্তু জনগণের সেবার মনোভাব থেকে এক মুহূর্তের জন্যও তিনি সরে যাননি; তা তাঁর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের যে কেউই স্বীকার করবেন।
একটি-দুটি ঘটনা দিয়ে ভাসানীর সাফল্য ও ব্যর্থতা বিচার করা সম্ভব নয়। তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা-বিবৃতি, বাণী-উপদেশ ইত্যাদি সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করলে তাঁকে পাওয়া যাবে। তিনি জীবনে বহুবার বলেছেন, ‘শোষকের কোনো জাতি নাই, ধর্ম নাই, দেশ নাই, বর্ণ নাই—তার একমাত্র পরিচয় সে শোষক।’ তাঁর এই বক্তব্যের তাৎপর্য গভীর এবং তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। শোষকের অস্তিত্ব তিনি যেখানেই অনুভব করেছেন, প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। সে জন্যই তিনি সংগ্রাম শুরু করেন জোতদার ও জমিদারদের বিরুদ্ধে, সুদখোর মহাজনদের বিরুদ্ধে, আসামের অমানবিক লাইনপ্রথা ও বাঙাল-খেদা আন্দোলনের বিরুদ্ধে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এবং পাকিস্তানি শাসক-শোষকদের বিরুদ্ধে। স্বাধীনতার পরে যখন তিনি লক্ষ করেন সীমাহীন ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা অপরিবর্তিত রয়ে গেছে, তখনো তিনি তাঁর প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন। সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য তাঁকে রাজপথে আন্দোলন করতে হয়।
সারা জীবনই প্রগতিশীলদের নিয়ে তিনি কাজ করেছেন। মাড়োয়ারি ও ভারতের অসাধু ব্যবসায়ীদের তীব্র সমালোচনা করতে গিয়ে তাঁর কিছু বক্তব্যে সাম্প্রদায়িকতার সুর শোনা যায়; যদিও তিনি সাম্প্রদায়িকতায় একেবারেই বিশ্বাস করতেন না। কমিউনিস্ট নেতা আবদুল মতিন ভাসানী সম্পর্কে এক মূল্যায়নে বলেছেন : ‘মওলানা ভাসানী ছিলেন মানবতাবাদী, জাতীয়তাবাদী এবং আন্তর্জাতিকতাবাদী। ধর্ম ও রাষ্ট্র-নির্বিশেষ মওলানা ভাসানী প্রকাশ্যে বাঙালি জাতির ঐক্যের কথা বলতেন। জাতি সম্পর্কে এ রকম চিন্তার অধিকারী কখনো সাম্প্রদায়িক হতে পারেন না। সুভাষ বসু, চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন তাঁর আদর্শস্থানীয় শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। … ভাসানী জামায়াতে ইসলামীদের ইসলামের নামে সাম্রাজ্যবাদ ও সামন্তবাদকে সেবা করার এবং গণতন্ত্র, বাঙালি জাতিসত্তা ও জনগণের বিরোধিতার রাজনীতির মূলে আঘাত করেছিলেন; তিনি তাঁদের সঙ্গে কোনো প্রকার, কোনো ক্ষেত্রে আপস করেননি, তাঁদের কোনো দিন কোনো বিষয়ে প্রশ্রয় দেননি, তবু যাঁরা আজও মওলানা ভাসানী সাম্প্রদায়িক কি না এই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগেন, তাঁরাও দেশের গণতন্ত্র ও জাতিসত্তার ইতিহাস সম্পর্কে বিভ্রান্ত এবং উদাসীন।’
প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা না থাকলেও ভাসানীর ঝোঁক ছিল অগ্রসর চিন্তাচেতনার দিকেই।
সমাজতন্ত্রের অঙ্গীকার থেকে সরে না গিয়েও জীবনের শেষ বছরগুলোয় ভাসানী তাঁর ভাষায় রবুবিয়ত বা পালনবাদের দর্শন প্রচার করেছেন। তাঁর এই সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শনের সঙ্গে সমাজতন্ত্রের বিশেষ দূরত্ব নেই—মার্কসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও। তিনি তাঁর বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন এই ভাষায় : ‘সকল সমস্যার সমাধান হইবে মানবজাতি যদি রবুবিয়তে অর্থাৎ স্রষ্টার পালনবাদের আদর্শে হুকমত কায়েম করিতে পারে। শিক্ষাদীক্ষা, খাওয়া-পরা ইত্যাদির প্রশ্নে স্রষ্টার নিকট যেমন হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইত্যাদি পরিচয়ের কোনো বালাই নাই, মানুষের দৈহিক ও আত্মিক চাহিদার ক্ষেত্রে যেমন ভেদাভেদ নাই, ঠিক তেমনি হুকমতে রাব্বানিয়ায় সাম্য, মৈত্রী ও ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে সকল নাগরিককে সমান সুযোগ ও অধিকার দেওয়া হইবে।’
তাঁর এই পালনবাদী আদর্শে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই, যদিও তাঁর অনেক প্রতিষ্ঠানের আরবি-ফারসি নামকরণে মনে হয় সেগুলো শুধু মুসলমানদের, বিষয়টি তিনি নিজেই ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর নিজের বক্তব্য এ রকম : ‘কেউ কেউ প্রশ্ন করিতে পারেন হুকমতে রাব্বানিয়া কিভাবে অমুসলমানদের আপন করিয়া লইবে? যাঁহারা রবুবিয়তের মর্ম বোঝেন না তাঁদের এই প্রশ্ন করা খুবই স্বাভাবিক। রবুবিয়ত কোনো ধর্মের কথা নহে। উহা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের একটি স্বতঃসিদ্ধ বিধান। তাই হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল মানুষের জন্য হুকমতে রাব্বানিয়া অর্থাৎ যে দেশে রবুবিয়তের আদর্শ রাষ্ট্রীয় ভিত্তিতে কায়েম হইয়াছে, কল্যাণকর বৈ কিছু নয়। মুসলমানের জন্য যিনি রব বা পালনকর্তা, বিবর্তনকারী প্রভু, হিন্দুদের জন্য তিনি একই বিধানে আলো, হাওয়া, ফল, পানি, বস্ত্র, খাদ্য সবই জোগাইতেছেন, একমাত্র রবুবিয়তের আদর্শই মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করিতে পারে।’
বিশ্বশান্তি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও সহযোগিতার ব্যাপারে মওলানার অসামান্য উদ্বেগ ছিল। পাকিস্তানি নেতা হিসেবে সেকালে জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের তিনি ছিলেন একজন অবিচল সমর্থক। জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের অন্যতম প্রবক্তা জওয়াহেরলাল নেহরুর বৈদেশিক নীতির তিনি ছিলেন সমর্থক, যদিও ভারতের অনেক অভ্যন্তরীণ নীতির তিনি সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদঘেঁষা নীতির জন্য সব সরকারের সঙ্গে তাঁর মতবিরোধ ঘটেছে।
অভিন্ন নীতির ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার দারিদ্র্যকবলিত দেশগুলোর মধ্যে সত্যিকারের আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা তিনি গভীরভাবে অনুভব করতেন এবং এ জন্য বড় দেশ হিসেবে ভারত সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি ১৯৭৫ সালের মাঝের দিকে আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে এক ব্যক্তিগত পত্রে ভাসানী লেখেন : ‘আফ্রো-এশীয় দেশসমূহের মধ্যে বর্তমানে ঐক্য স্থাপন সম্ভব না হইলেও অন্তত পাকিস্তান, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সমস্ত ঝগড়া-কলহ আপসে মীমাংসা করিয়া যাহাতে বন্ধুত্ব কায়েম হয় তাহার জন্য আপনাকে প্রধান উদ্যোক্তা হিসেবে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জোর দাবি জানাইতেছি। পরিশেষে আমি আপনার এবং আপনার দেশের প্রতিটি জনসাধারণের সুখ, শান্তি এবং সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল ও উন্নতি কামনা করিতেছি।’
এই চিঠির অল্পকাল পরেই আগস্ট ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে এবং ভারতের রাজনীতিও নতুন দিকে মোড় নেয়। পুরো দক্ষিণ এশিয়াই এক অস্থিতিশীলতার মধ্যে পড়ে। সে জন্য এ ব্যাপারে আর বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। এ ছাড়া তিনি নিজে কোনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন না। তাঁর পক্ষে বেশি দূর অগ্রসর হওয়া সম্ভব ছিল না।
১৯৭৩ সালে জাতীয় অধ্যাপক তৎকালীন পিজি হাসপাতালের পরিচালক ডা. নূরুল ইসলামের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ভাসানী তাঁর জীবনের একটি গভীর দুঃখের প্রসঙ্গে বলেন : ‘যদিও আমাদের দেশে ভারতের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক কম, ভৌগোলিক সীমানা অনেক কম, রিসোর্স অনেক কম, সামন্তবাদী পুঁজিবাদীর সংখ্যাও কম এবং কলকারখানাও অনেক কম—তবু আমরা একটা আদর্শ জাতির পরিচয় বারবার দিয়েছি, ইনশাআল্লাহ যত দিন আমরা জীবিত থাকব, আমরা স্বাধীনতাকে মনেপ্রাণে শুধু বিশ্বাস করাই নয়, রক্ষা করার জন্য যেকোনো ত্যাগের, যেকোনো কোরবানির বিনিময়ে, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব গোত্রের, সব বর্ণের লোক একত্র হয়ে চেষ্টা করব। আমি আশা করি যে আমার এই কষ্ট সবচেয়ে বেশি, যে সাম্প্রদায়িকতাকে আমরা মনেপ্রাণে ঘৃণা করেছি বরাবর, আমরা যাঁরা কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করেছিলাম, খেলাফত আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলাম, তাঁদের মধ্যে আমি এবং আরো কয়েকজন এখনো জীবিত আছে। আমাদের রাজনীতি সম্পূর্ণভাবে অসাম্প্রদায়িক। আমরা মানুষকে, আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালোবাসি, বাসবো যতকাল জীবিত থাকব। তাই আমি মনে করি, এই যে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের শৃঙ্খল ভাঙার জন্য যে চেষ্টা হচ্ছে, সেটা আমার জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক।’
উপমহাদেশের প্রথম সাত দশকের প্রতিটি প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে মওলানা ভাসানী একজন প্রধান নেতার ভূমিকা পালন করেছেন। আসাম প্রাদেশিক আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। ১৯৪৭-৪৮ সালে পূর্ব পাকিস্তান আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন, কিন্তু পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের প্রতিবাদে পদত্যাগ করেন। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রতিষ্ঠা করেন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। বাংলাদেশের বাম রাজনীতির তিনি ছিলেন একজন অভিভাবক। কৃষক ও শ্রমিক আন্দোলনের তিনি ছিলেন পুরোধা। তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারা আজও জাতিকে পথ দেখাতে পারে।
লেখাটি কালের কণ্ঠতে প্রকাশিত