স্ট্যান স্বামী তাঁর বইয়ের (আমি নীরব দর্শক নই ) দশম প্রতিবিম্বে আদিবাসী যুবকদের অভিবাসনের মর্মান্তিক কথা তুলে ধরেছেন তাঁর সৎ ও সাহসী কলমে। আদিবাসী যুবকরা দেশান্তরে যান জীবিকার খোঁজে। আদিবাসী ও দলিত পুরুষ দক্ষিণ ভারতের নানা রাজ্যে যেমন কেরালা, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যান হাজারে হাজারে l কেন তাদেরকে গ্রাম ও নিজের রাজ্য ত্যাগ করতে হয়? আর সেখানে গিয়ে তাদের কপালে কী জোটে? উত্তর পাবেন স্ট্যানের নির্ভীক আত্মত্যাগে।
আদিবাসী অভিবাসনের তিনটি ঢেউ
এই অভিবাসনের তিন ধরনের ঢেউ পরিলক্ষিত হয়। প্রথমটি হল আদিবাসী মহিলাদের মেট্রোপলিটন শহরে পরিযান। তার কারণ হল দেশে তাদের লাভজনক এবং অর্থবহ উপায়ে কিছুই করার থাকছিল না। তাদের ছোট জমির প্লটে একটাই ধান ফলত যা দিয়ে তাদের মাত্র কয়েক মাস চলত। অন্তর তাই বাড়িতে বসে অনাহারে না থেকে বা সময় নষ্ট না করে শহর বা বড় শহরে বাড়ির কাজে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকে কিছু অর্থ নিজের জন্য বা পরিবারের জন্য রোজগার করার কথা ভাবছে l এভাবে তারা দালাল পুরুষ বা মহিলাদের খপ্পরে পড়ে।তারা জানতে পারে না কেমন হবে তাদের নিয়োগ কারীরা? কি ধরনের কাজ করতে হবে? কত মজুরি পাওয়া যাবে? কেমন হবে জীবন যাপনের অবস্থা? তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ফিরে আসে। অনেকেই না পতিতালয়ে বিক্রি হয়ে যায়। অন্য কেউ হয়তো জবরদস্তিভাবে বৃদ্ধদের বিয়ের শিকার হয়। বিশেষ করে উত্তর ভারতের রাজ্যে। এদের মধ্যে অনেকেই পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখে। মাঝে মাঝে টাকা পাঠায় অথবা একসঙ্গে কিছু টাকা জমিয়ে দেশে ফিরে আসে।
দ্বিতীয় ঢেউটি হল গোটা পরিবারের উত্তর ভারতের রাজ্যে দেশান্তরী হওয়া। সাধারণত জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ষার সময কৃষি ঋতুতে এরা মধ্যপূর্ব ভারতে কাটাই। কিন্তু যা খাদ্য উৎপাদন করে তাতে পরিবারের সারা বছরের চলেনা। এবং বেশিরভাগ গ্রামে দ্বিতীয় শস্যের জন্য সেচের কোন ব্যবস্থা নেই। জমি থেকে অপসারণ, অপসারণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ফলে দমন পীড়ন এবং খনি, শিল্প ও অন্য শিল্পে আদিবাসীদের ব্যবহার করা হয় অতি সস্তা শ্রমিক হিসাবে। ফলে এরা দলে দলে ঘর ছাড়ে। আর কাজ খোঁজে নির্মাণের জায়গায় অথবা ইটভাটায়। শুধু পড়ে থাকে বয়স্ক মানুষেরা। পশুগুলো আগলে রাখে। সরকার আদিবাসী যুবকদের এই বার্ষিক অভিবাসনকে উপেক্ষা করে।
তৃতীয় ঢেউ হল আদিবাসী ও দলিত যুবকদের দক্ষিণ ভারতে অস্থায়ী বা চুক্তি শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো। হাজারে হাজারে কর্ণাটক কেরালা তামিলনাড়ু প্রভৃতি জায়গায় তারা গিয়ে বাস করতে শুরু করে। তারা কোন যোগাযোগ বা বন্ধুবান্ধব যারা ইতিমধ্যে সেখানে থাকে তাদের মাধ্যমে দেশান্তরী হয়। কন্ট্রাক্টর বা দালালরা ব্যাচ করে তাদের নিয়ে যায়। শুধু কেরালাতেই যায় ৩৫ লাখ তামিলনাড়ূতে ১০ লাখ। তাদের কাজ মেলে বেশিরভাগ রাস্তা, বাড়ি ইত্যাদি নির্মাণে।কেউ কেউ ছোট শিল্প, হোটেল, কৃষি, গৃহ পরিচারক ইত্যাদিতে কাজ পায়।
অভিবাসন কেন?
এখন প্রশ্ন হল তারা কেন যাচ্ছে। প্রথম ও প্রধান কারণ হল দারিদ্র্যের গভীরতা। একদিকে যেমন ভারতের অর্থনীতি দ্রুততম হারে বাড়ছে, ঠিক অন্যদিকে দারিদ্র্যতা গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। ভারতের মধ্য-পূর্ব আদিবাসী বেল্টের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গত দু’বছরে দলিত আদিবাসী সমাজে একুশ জন অনাহারে মারা গেছে যা সরকার স্বীকার করতে রাজি নয়। তার পরিবর্তে রাজ্য সরকার তাদের মৃত্যুকে কোন অসুখ বা অসুস্থতার কারণে ঘটেছে বলে দাবি করছে l প্রকৃতি আদিবাসী অঞ্চলকে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক এবং খনিজ সম্পদ উজাড় করে দিয়েছে যা কিনা এখন তাদের জীবনে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। কর্পোরেট সেক্টর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত ভারতীয় রাষ্ট্র যেকোনো মূল্যে খনিজ সম্পদের দিকে ঝুঁকছে। আদিবাসীদের সুরক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষামূলক সাংবিধানিক বিধান আইন নীতি এবং রায় গুলি হাওয়ায় নিক্ষেপ করা হয়েছে। তাদের জমির জন্য সামান্য নগদ ক্ষতিপূরণ তাদের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা তাদের ঘর বাড়ি খালি করতে বাধ্য হচ্ছে। তাই এই সমাজে নতুন প্রজন্ম তাদের বেঁচে থাকার জন্য অন্যত্র পথ খুঁজছে। এবং তারা দলে দলে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে পাড়ি দিচ্ছেl
আর দ্বিতীয় কারণটা হল শোষিত মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যথেষ্ট হয়েছে আর নয়। পাথালগাড়ী আন্দোলন একটি বলার মত উদাহরণ। যেসব প্রতিরোধ আন্দোলন উঠে আসছে অবিচার বেআইনি জবরদস্তি জল জঙ্গল ও জমিন দখলের বিষয় ঘিরে তার এক প্রতিধ্বনি সাধারণ জনতার মধ্যে অবশ্যই পাওয়া যায়। এর প্রতিফলন দেখা যায় ছাতার মতো সংগঠনকে ঘিরে গড়ে উঠছে অপসারণের বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার অস্বীকার, মহিলা ও শিশুদের শোষণ, তরুণী পাচা্র, ল্যান্ড ব্যাংকের মতো অন্যায় ব্যবস্থা যা আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যের অধিকার ক্ষুন্ন করে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতিরোধ আন্দোলন এইভাবে সংহতি ও সমর্থন পেয়ে চলে কিছু মানব অধিকার দল। আর কিছু আদিবাসী সংগঠন, বাম ও সমাজতান্ত্রিক শক্তি, কিছু ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক দল এবং কিছু পেশাদার আইনজীবী যদিও জনতার প্রতিরোধের সঙ্গে সঙ্গে আছে l দমন পিড়ন নেমে আসছে কঠোরভাবে।
আদিবাসী যুবক-যুবতীদের উভয় সংকট
ঝাড়খণ্ডের মত একটি ছোট রাজ্যে বেশ কয়েকশ যুবক-যুবতী কারারুদ্ধ হয়ে আছে মাওবাদী বা নকশালপন্থী অভিযোগে। যদি কেউ খোলাখুলি ভিন্ন মত প্রকাশ করে তাহলে তাদের উপর শাস্তি স্বরূপ মাওবাদী বা নকশাল তকমা লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং জেলে ঢোকানো হয়। গ্রামে এদের শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করা মুশকিল। স্থানীয় নকশালরা তাকে তাদের সাথে কাজ করার প্রস্তাব দেবে। আর তাতে সাড়া না দিলে তাকে মেরে ফেলা হবে অথবা পুলিশের সংবাদদাতা বলে দাগিয়ে দেওয়া হবে। অন্য দিকে পুলিশের ভয়।আদিবাসী যুবক-যুবতীদের উভয় সংকট। এই অনিশ্চিত অবস্থার জন্য অনেক যুবক-যুবতি নিরাপত্তার পরিস্থিতিতে যেতে চাই। তারা দক্ষিণ ভারতে হাজারে হাজারে প্রবেশ করে কাজের খোঁজে।স্বীকার হয় নানা সরকারি ও বেসরকারি স্তরের উৎপীড়নের।
আদিবাসীদের চাওয়া ও পাওয়া
আর একটি কথা বলা দরকার ২০০০ সালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে বিল এনে ঝাড়খন্ড ছত্রিশগড় উত্তরাখণ্ড রাজ্য তৈরি করলেন। তিনি দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা করেছিলেন এই রাজ্যগুলির প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে যাতে আদিবাসী সমাজগুলি তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি অনুসারে নিজেদেরকে স্বশাসিত করতে সক্ষম হয়। এটাও আশা করা হয়েছিল যে তাদের ভূমি থেকে উত্তোলিত খনিজ সম্পদের মালিকানার একটি অংশ তারা পাবে। কিন্তু বাস্তবে ঘটলো ঠিক তার বিপরীত। প্রতিবেশী রাজ্য থেকে বহিরাগতদের ঢল নামল। তারা ব্যবসা সংক্রান্ত এবং বাণিজ্যিক সমস্ত কাজে অংশ গ্রহণ করতে লাগল। সরকারের সমস্ত উঁচু এবং নিচু আমলাতন্ত্র পূরণ করে ফেলল। আইনশৃঙ্খলার সমস্ত শক্তি অসংবেদী অ-আদিবাসী ও অ-দলিত দিয়ে ভরে উঠল। বিশাল আকারের কর্পোরেট হাউসগুলি লুণ্ঠনের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পূর্ণ পৃষ্ঠপোষকতায়। আদিবাসী জনজাতি অঞ্চলের প্রাকৃতিক ও খনির সম্পদ এইভাবে লুন্ঠনের মৃগয়ায় পরিণত হল। আদিবাসী জনজাতি হতাশ এবং প্রতারিত বোধ করল। তাদের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতা তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর পরিবর্তে ক্ষমতা ও অর্থের কাছে নিজেদের বিক্রি করে দিল। কেউ কেউ দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ব শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরাসরি নিজেদের লোকেদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করল।
এইসব যুব সমাজ যারা দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে আসে মূলত মধ্য পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে ছত্রিশগড় ঝড়খণ্ড উড়িষ্যা বাংলা বিহার। আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চল থেকে। তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে। আছে নিজস্ব ঐতিহ্য কৃষি কাজ প্রকৃতির অরণ্যের সাথে তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক, মৌলিক বিশ্বদৃষ্টি, শক্তিশালী সম্প্রদায় পরিচিতি এবং তাদের অভীষ্ট ভাষা l দক্ষিণে যখন তারা আসে তারা যেন হঠাৎ করে একটি ভিন্ন জগতে প্রবেশ করে। যা অনেকদিন থেকে তাদের নিজস্ব জগতের বিপরীত। এই অপর জগত কিন্তু তাদের প্রতি সমবেদনা দেখায় না। একটা উদাসীনতা বা অনীহা থাকে অথবা সম্পূর্ণ শত্রুতা। আদিবাসী অভিবাসীদের তবুও এসব মুখ বুজে সহ্য করতে হয় তাদের পরিবারের জন্য। কিছু উপার্জনের তাগিদে।
আদিবাসীদের অভিবাসনের কারণে শোষণ
এক। অভিবাসী আদিবাসী যুবকদের সুবিধা থেকে বাদ দেওয়া যায় খুব সহজে। আশেপাশের সম্প্রদায় থেকে শারীরিকভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়াতে তাদের পক্ষে স্থানীয় মজুরির হার যেমন জানা কঠিন তেমনি অধিকার ও সহায়তা হওয়ার কি ব্যবস্থা তাদের হয়েছে তা জানাও মুশকিল। তারা বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প থেকে বহিষ্কৃত বিভিন্ন ভাবে। যেমন, আনুষ্ঠানিক বসবাসের অধিকার, নিজেদের পরিচয়ের দলিল, রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব, আর্থিক সেবাসমূহ, গণ বন্টন ব্যবস্থা,
ট্রেড ইউনিয়নের সদস্য হওয়া, গণস্বাস্থ্যের সুবিধা, শিক্ষা এবং পানীয় জল, স্বাস্থ্য বিধান-সহ অন্যান্য মৌলিক পরিষেবা।
দুই। আদিবাসী মহিলারা যারা জামা কাপড় তৈরির কারখানায় কাজ করেন তারা অনেক উচ্চ স্তরের যৌন নিগ্রহের শিকার হন। মৌখিক দুর্ব্যবহার এবং অপমানও বাদ থাকে না। কারখানার হোস্টেল গুলি বালিকা শ্রমিক ও মহিলাদের বঞ্চিত করছে তাদের গোপনীয়তা এবং স্বাধীনতার অধিকার থেকে। বেশিরভাগ আদিবাসী যুবক নিম্ন মজুরি পায়। কাজের সময় অত্যন্ত দীর্ঘ। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব। সাধারণ স্থানীয় শ্রমিকের তুলনায় তাদের আরো কঠিন বিপদজনক এবং তুচ্ছ কাজ নিতে বাধ্য করা হয়।
তিন। অভিবাসী যুবকদের মাওবাদী সন্দেহ করা হয়। বিদেশি আতঙ্ক তাদের পিছু ছাড়ে না। সাধারণ জনগণকে প্রভাবিত করে এমন একটি অনুভূতি স্থানীয় জনগণকে এই উপসংহারে পৌঁছে দেয় যে অভিবাসীরা মাওবাদী। তাই তাদের থেকে দূরে থাকা উচিত। এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে তারা সহজে সন্দেহভাজন হয়ে যায় এখন এলাকায় কোন চুরি-চামারি ঘটলে এদেরকেই সন্দেহ করা হয় সবার প্রথমে।
চার। অভিবাসী আদিবাসী যুবকদের অনেককে দাস-শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মধ্যস্থকারীরা প্রায়শই আদিবাসী যুবকদের অসহায়ত্বকে কাজে লাগায় এবং নির্দিষ্ট অগ্রিম অর্থ প্রদান করে এবং তাদের কে বাধ্য করে দাসত্ব বা পাচার কাজে যুক্ত থাকতে। এরা ফাঁদে পড়ে দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘন্টা প্রতিদিন কাজ করে সামান্য বা অনেক সময় বিনা মজুরিতে। তামিলনাড়ু তেলেঙ্গানা অন্ধ্রপ্রদেশে দাস শ্রমিকের অভিযোগ রয়েছে।
পাঁচ। আদিবাসী মেয়েরা পাচার হয়ে যায়। পাচারকারীরা প্রায়ই যৌন রাকেটের এজেন্ট হয় যারা তাদের পিতা মাতার কাছ থেকে মেয়েদের কিনে নেয় এবং বিশাল অর্থের বিনিময়ে পতিতালয়ে বিক্রি করে। কর্ণাটক রাজ্যের মিডিয়ার রিপোর্ট বেরিয়েছিল একটি এজেন্সি থেকে ১৫০টি পাচার হয়া বা বন্ডেড মেয়ের কথা।
ছয়। দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি। তারা স্বাস্থ্যের ঝুঁকি এবং সংক্রামক রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কাজগুলো করতে বাধ্য হয়। কারণ তাদের কর্মস্থল ও বাসস্থান উভয়ের অবস্থা খুব শোচনীয়। স্বাস্থ্য সুরক্ষার উপকরণ পৌঁছানোর অভাবে বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। আবাসন পরিস্থিতি ও ভয়ঙ্কর কারণ তারা ময়লা ও কাদার স্তুপ এর পাশাপাশি গর্তের মধ্যে বসবাসের জন্য তৈরি হয়েছে। টয়লেট এবং ড্রেনেজ সিস্টেম অত্যন্ত করুণ। পানীয় জলের ব্যবস্থাও সেরকম নেই। এবং দুর্ঘটনা বা রোগের মৃত্যু হলে তারা ক্ষতিপূরণও সেরকম পায় না।