আত্মিকসংকট থেকে আত্মঅন্বেষণ, দগ্ধচৈতন্যের হাহাকার, মানুষের সামাজিক অবস্থান ও আইডেন্টিটির ক্রাইসিস ফুটে উঠল। মানবিক সম্পর্কের অবক্ষয়ও প্রতিফলিত হল। অর্থনৈতিক শোষণের প্রেক্ষাপট মনন দক্ষতায় রূপ দিলেন। এক একটা ছবিও যেন কবিতার ভাষা পেয়ে গেল। প্রতিটি চিত্রকল্পই নিজস্বতা অর্জন করল।
তাঁর কবিতার কথনভঙ্গিই বলে দেয় বাংলা ভাষায় তা কতটা নতুন স্টাইল। সিনেমা ও কবিতায় তিনি সেই ভাষারই খোঁজ করেছিলেন। প্রথমত তিনি সময়কে নিয়েই বেশি ভেবেছিলেন। অর্থাৎ সময়ের কী চাহিদা ছিল, সময়ের কী স্বর ছিল, কেমন অভিক্ষেপ দরকার তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আবার এই সময়ের উত্তরণও তিনি চেয়েছিলেন সুররিয়ালিজমের মাধ্যমে। সময়ের কাছেই তিনি মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান, মানুষের দেশকাল অর্থনীতির অবস্থাও অনুধাবন করেছিলেন।