খুকু ভূঞ্যা
কবিতা এলে টের পেয়ে যাই, ফাৎনা নড়ছে তুমুল
গুমোট অস্তিত্ব দুলিয়ে বেজে ওঠে বাঁশী,
পাতায় চঞ্চলতা, ফুলে শিহরণ
গর্ভে শিশু এলে শরীরে ধেয়ে আসা লাবণ্যের মতো
চিকচিক করে চারপাশ
ক্ষুদের কণা খুঁজে বেড়ানো শালিকের চোখে ভাসে গোপন মুখ,
কন্ঠে গুন গুন রবীন্দ্রসঙ্গীত
সে এলে ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে বৈশাখ
গভীরে অঝোর শ্রাবণ
যখন চলে যায়, দূর অজানায়—
থম মেরে যায় চারপাশ, বোবা ঈশ্বর ছুঁয়ে
গাছেদের নাভিশ্বাস
মুমূর্ষু ফুলের পাশে শোকাতুর প্রজাপতি–
আত্মহত্যার কৌশল শেখাবে বলে কালো বাতাস
দীপ খেয়ে ঢেলে দেয় পিছল ছায়া–
শরীর টিকিয়ে রাখা হাওয়া ঘুমের প্রত্যাশায়
ক্রমশ কাঙাল হয়ে ওঠে–