চোখে চোখ রেখে দৃঢ় কণ্ঠে বলা যায় ইতিহাস আর বর্তমানের নিষ্ঠুরতম সত্য। নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে দাঁড়ানো যায় কালের সমস্ত ভণ্ডামি আর সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে। সকালের স্নিগ্ধতার চেয়ে রাতের আঁধার গ্রাস করতো তাকে। সাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা, বিভীষিকা, তার সাহিত্যের নিষিদ্ধ হওয়া, কোনটিই বাদ যায়নি। তার ওপর আঘাতের পর আঘাত এসেছে। তাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল শাসকেরা। কিন্তু তিনি তো চিরকালের।
দাঙ্গা
-
-
হাসান আজিজুল হক ‘কথাসাহিত্যের কথকতা’ বইতে লিখেছেন, “যারা কখনোই, কোনো কারণেই দেশত্যাগ করবে না, দেশত্যাগর কল্পনা পর্যন্ত যাদের মাথায় আসে নি, তাদের যখন হাজারে হাজারে, লাখে লাখে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে ছিন্নমূল উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে হয়েছে—-আমাদের সেই সাম্প্রতিক ইতিহাসের সেই বৃহত্তম বেদনা ও যন্ত্রণার কথা কেউ লেখেন নি।”২ বস্তুনিষ্ঠ কথাকার দেশভাগজনিত এই গভীর সংকটকে তুলে ধরলেন তাঁর ‘আগুনপাখি’ নামক উপন্যাসে।
-
হিংসা, দ্বেষ এখন বিশ্ব তথা বাংলা তথা ভারতের ঘরে ঘরে। এবং এসব নিয়ে মানুষ খুব বেশি চিন্তিত নয়।হাতে হাতে ইন্টারনেট। বুকে বুকে হিংসা দ্বেষ। মুখে মুখে খিস্তি খেঁউড়। কথায় কথায় উগ্র গালিগালাজ।দিন শুরু হিংসাতে, শেষও হিংসাতে। যুদ্ধ, হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংস, দাঙ্গা, আক্রমণ, শরণার্থী—এসবের খবর সব গা-সওয়া। শাস্ত্র মুখে মুখে, রক্ত হাতে হাতে। ঘৃণা অন্তরে অন্তরে। বিষ আকাশে বাতাসে। মৃত্যু আকছার। বেঁচে থাকার লড়াই সহিংস, অতীব নিষ্ঠুর। এক ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই, বাসে ট্রেনে একটি সিটের জন্য লড়াই, দশটা টাকার জন্য হাটেবাজারে লড়াই, লড়াই অফিসে, হাসপাতালের লাইনে লড়াই—লড়াই সর্বত্র। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।
-
সহিদুল ইসলাম ছেলেটার বয়স হবে আর কত ?মেরে কেটে হয়তো বা দশ বারোনতুন চোখে দেখে ঘটছে যা যতদেখবে আরও যখন…