রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ রাষ্ট্রের প্রতি সংখ্যালঘুদের পূর্ণ আনুগত্য দাবি করে।সংখ্যালঘুদের শুধুমাত্র ভারতীয় সংবিধান ও আইন ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য থাকলেই হবে না। আর এস এসের শাখাগুলিতে যেভাবে প্রার্থনা ও প্রতিজ্ঞার পাঠ করানো হয় তা থেকেই স্পষ্ট হয় যে হিন্দুত্ব ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।এরকমভাবেই মুসলিম লিগও ইসলামের সঙ্গে জাতীয়তাবাদের ইস্যুটিকে একত্রিত করেছিল। খুব তাৎপর্যপূর্ণ কথা এই যে আর এস এসের প্রার্থনা ও শপথ পাঠের বক্তব্যগুলি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করে। আর আমরা সবাই স্বীকার করি ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল বৈশিষ্ট্য।এখানে একটি কথা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য অন্য সব দলের সদস্য সদস্যাদের হয় জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে আর না হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে, সেখানে আর এস এসের লোকেরা প্রকাশ্যে দেশের সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের দেশব্যাপি শাখার কাজকর্মও সমানতালে চলছে।
June 2023
-
-
‘লাশটা এই গর্তে ধপ করে ফেলে দাও ‘, তারা দূর থেকে চেঁচিয়ে বলল। কিন্তু ভিভা তা করল না। সে সাবধানে লাশটি গর্তের মধ্যে নামাল। তার মেয়ে যখন মারা যায় তার চোখের জল সবটা শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপর হয়তো আমার পালা, সে যখন এমনটা ভাবছে গলায় কিছু একটা দলা পাকাচ্ছে কিন্তু মুখ শুকিয়ে কাঠ হওয়ায় এই অস্বস্তি দূর করতে খানিক লালাও গিলে উঠতে পারছে না।
-
‘বহু প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক ও মনস্বী ব্যক্তি সে কাজ [বিদ্যাসাগরের জীবনকথা লেখা] ইতিপূর্বে করেছেন। কোনো তাত্ত্বিক বিতর্কের জটিলতার মধ্যে না গিয়ে আমি সহজসরলভাবে এই ঋজু মানুষটির চরিত্রমহিমা বলার চেষ্টা করেছি…আজকের দিনের প্রতিনিয়ত স্খলন ও পতনের মধ্যে যখন ব্যক্তির মেরুদণ্ড ক্রমশই নানা আঘাতে ও প্রলোভনে বাঁকা হতে থাকে তখন এই বিদ্যাসাগরে চরিত্রের রত্নস্পর্শে মেরুদণ্ড সোজা করে চলবার শক্তি পাওয়া যায়।’
-
আত্মীয়স্বজন না থাকা মালঞ্চের প্রৌঢ় অধ্যাপক মানুষটির মধ্যে একটা নাড়ির টান অনুভব করে সে। বারবার মনে হয় এই একা মানুষটিকে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। সকালেই গাড়ি নীপার। শেষবারের মতো মালঞ্চে গেল নীপা। প্রণাম করতেই স্যার বললেন– “তোর জন্য একটা পলাশের চারা বনসাই করা আছে। ওটা নিয়ে যা। আমার তো আর ফেরা হলোনা । আমার প্রতিনিধি হয়ে ওটাই ফিরে যাক ও দেশে। হয়ত বুঝতে পারবি একদিন ওর মাঝে কী বিশাল এক বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে।”
-
একটু পরে তাকিয়ে দেখলেন পড়ন্ত বিকেলের লাল সূর্যের আলোয় পৃথিবীটা ভরে গেছে। কিন্তু এ আলোয় কেমন একটা জ্বলন্ত আগুনের বিগ্রহ। হ্যাঁ, সেটা ভারতবর্ষের মানচিত্র।যেন মানচিত্রের বিশেষ বিশেষ অংশ জ্বলছে। গুজরাত জ্বলছে, আহমেদাবাদ জ্বলছে।আসাম জ্বলছে ।সেই আগুন ক্রমশ পশ্চিম বঙ্গের সীমান্তের দিকে ধেয়ে আসছে ।তাহলে কি, গোটা ভারতবর্ষটাই জ্বলবে।
- 1
- 2