প্রসব বেদনা নেই রক্তপাত নেই
শুধু উলঙ্গ হয়ে বেরিয়ে আসে হাসিমুখ
ঠিক তখনই ভোর হয় কুঁড়ের মালিকের
কবিতা
-
-
বিশ্বায়ন এখন হাঁটে না, দৌড়ায়; হর্ন বাজে
আমিও পা মেলায় কখনো সখনো নিজ কাজে
সব উন্নত ঘর বাজার ধরতে ছোটে
প্রদর্শন করে তাদের পণ্যের সমাহার
আমি চাই জেনে নিতে— ঠিক কোন পথটা আমার। -
উগ্ৰ হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা আজ
সংবিধান ধ্বংসে মেতেছে !
পুস্তকে আমাদের মহাসাম্যবাদ -
সরকার দানা ছড়ায় বর্তমানের ভাগাড়ে
সেই সুবাদে নীতি বিকিয়ে যায় সামান্য দামে
আর অতীতের বিমর্ষ রেখা মুছে যায়
কেননা কাল বেলাওঠার বৈঠকে ভবিষ্যৎ নির্মিত হবে । -
এখন হাওয়ায় বসেছে হওয়া না হওয়ার মেলা
কে যাবে আর কে যাবে না তার কথামালা।
বুকের ভিতর একটা গুহা দেখে বিষম খাই
উবু হয়ে শয়তান এগিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে। -
জীবন দেখে যে দুচোখ দিয়ে যেতে পারে আরো গভীরে
প্রতিটি মুহূর্তে চেটেপুটে নেয় বেঁচে থাকার স্বাদ আর ঘ্রাণ
প্রশ্ন ঘিরে রাখে তার চিন্তন মনন কাণ্ডজ্ঞান -
ঋতু বদলায়, বদলায় মানুষ।
চেনা মুখের অচেনা চাহনি শুষে নেয়-
জীবনের সব আলো। -
-
দেখিনি দু’বার চালসার সেই অপূর্ব দৃশ্য
যেখানে এক আদিবাসী মায়ের
মাসখানেকের শিশু, এক হাটে,
দুগ্ধ পান করার জন্য উন্মত্ত,
আর কালো নির্জীব মা
শণিত চোখে
হাজার ভ্রমণ পিপাসুর ক্ষুধা মেটায়
অবলীলায় বোতাম খুলে দিয়ে, -
গড়ার তাগিদে ভাঙে মসজিদ বহু পুরাতন
ভাঙন শব্দ হানেনি আঘাত মরমে কারও !
নব-পুরাতনে ভাঙা-গড়া চলে
একথা জানে ধরার প্রথম প্রহরও ।