শীতের সকাল, বৃদ্ধার আকাল হাভাতী জীবন- অন্ত
সোনার সন্তান সস্তায় অপ্রতিলভ মায়াটানে অন্তর,
দীর্ঘ বাড়ি চারিদিক ছাড়ি অমাবস্যায় পূর্ত
সখা নিঃসঙ্গ, স্মৃতি মন্থনের প্রমানন্দ, আর শববাহী শীত
ক্ষণিকে বিচলিত চোখের পলক বা নির্জন রাতের জীব
বেঈমান কুয়াশার বান, হয়ে অনির্বাণ পারেনা বিঁধতে
পাষাণের উচ্ছিষ্ট – দরদী চিত্ত,
কিংবা বৃদ্ধার জং ধরা বুকে তুফানের ঢেউয়ের আবর্ত,
পারে না তাই খুঁজতে মোক্ষের ঠাঁই শেষ যাত্রায় যা ব্রত
মায়াজালের ফিতে না খুলে রেখে শুধুই অক্ষত।
তবে, বইয়ে আনে সাব – সাহারান বা আন্টার্টিকার মান
নিথর অবশ দেহে সঙ্কর কেমিস্ট্রি
পরমশক্তির সৃষ্টির ধাঁধা যেখানে আসল মিস্ট্রি !
জীবনই উপলব্ধি, উপলব্ধিরই জীবন
একাকীত্বই বেচেঁ থাকা, বেচেঁ থাকাই একাকীত্বের
নিস্তবতাহীন জীবন কঙ্কালসম নরদেহ
নিঃশব্দই জীবনে শ্বাশত, বাকিসব মিছে মহড়ার শর্ত।
উপলব্ধি আনে একাকিত্ব, একাকিত্ব আনে নিস্তবতা,
নিস্তবতা নিঃশব্দ, নিঃশব্দ আনে আত্মস্বত্ব,
আত্মস্বত্ব আত্ম আত্মার দোসর, দোসর দোস্তসম
কই না – কই কথা অনেক নিঃশব্দে নিশুতি রাত্রের কিংবা নির্জন দুপুরের জীবন যুদ্ধের স্তব্ধতার প্রশিক্ষণে।
নরদেহ, ইহাই জীবন বাকি সব প্রশান্তির খোঁজে নাট্যমঞ্চের রঙ্গ আর রঙ্গের মহড়ার ভনিতা মাত্র।