এখন হাওয়ায় বসেছে হওয়া না হওয়ার মেলা
কে যাবে আর কে যাবে না তার কথামালা।
বুকের ভিতর একটা গুহা দেখে বিষম খাই
উবু হয়ে শয়তান এগিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে।
কবিতা
-
-
জীবন দেখে যে দুচোখ দিয়ে যেতে পারে আরো গভীরে
প্রতিটি মুহূর্তে চেটেপুটে নেয় বেঁচে থাকার স্বাদ আর ঘ্রাণ
প্রশ্ন ঘিরে রাখে তার চিন্তন মনন কাণ্ডজ্ঞান -
ঋতু বদলায়, বদলায় মানুষ।
চেনা মুখের অচেনা চাহনি শুষে নেয়-
জীবনের সব আলো। -
-
দেখিনি দু’বার চালসার সেই অপূর্ব দৃশ্য
যেখানে এক আদিবাসী মায়ের
মাসখানেকের শিশু, এক হাটে,
দুগ্ধ পান করার জন্য উন্মত্ত,
আর কালো নির্জীব মা
শণিত চোখে
হাজার ভ্রমণ পিপাসুর ক্ষুধা মেটায়
অবলীলায় বোতাম খুলে দিয়ে, -
গড়ার তাগিদে ভাঙে মসজিদ বহু পুরাতন
ভাঙন শব্দ হানেনি আঘাত মরমে কারও !
নব-পুরাতনে ভাঙা-গড়া চলে
একথা জানে ধরার প্রথম প্রহরও । -
আদি মানব রক্তে লেখা কাম ইন্দ্রিয়ের কবিতা এই ভাষাগুলোকেই লোকে ভালোবাসা বলে, ভালোবাসা নিংড়ানো রসে হাবুডুবু খায় কামগন্ধ ব্যাকরণ,
-
অসময় বলে কিছু নেই,
মায়ের বুকের ঘ্রাণে, প্রেয়সীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখো, দেখবে বিষন্ন ছায়া, অব্যক্ত বিদ্রোহের সুর
গর্জে ওঠে, মিলনের শেষ রাতে মৃত্যুর চেয়ে
ঢের বেশি আলিঙ্গনে বেঁধে নাও বুক, তারপর— একসাথে গর্জে উঠো—
‘গণতন্ত্র নিপাত যাক’ -
ভাড়াটিয়া পরাধীন যাপন ভাল্লাগে না
আমি বাড়ি যাবো, আমার মাটিতে,
যারা দৌড়ে জিতবে তারা থাকুক।
কৃত্রিম এ জীবন ছেড়ে একদিন আমি,
আমার ছোট্ট আটপৌরে মাটির ঘরে
চিরদিনের জন্য চলে যাবো! -
গভীর অরণ্যের আলোছায়ায়, স্বপ্নীল উপত্যকায়,
সমুদ্রের ফেনিল উর্মিমালায় ভেসে জানলাম
জোর করতে নেই, প্রভাবিত করতে নেই কাউকে
প্রবলভাবে না চাইলে কিছুই প্রকাশ করতে নেই
বাক্যালাপে, সম্পর্কে এমনকি ভালোবাসায় ।