আজকের যুগে, যখন ক্ষুদ্র ভিডিও, নৈরাশ্য, সর্বব্যাপী ভোগবাদ এবং অনুভূতির বাজারজাতকরণের মধ্যে মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে, তখন ভাসানীকে স্মরণ করা অত্যন্ত জরুরি—আমাদেরকে আদর্শ, সত্য, এবং শ্রমজীবী মানুষের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জীবনের পথে পরিচালিত করার জন্য
স্মরণে
-
-
ব্রাহ্মণ্য (বর্তমানে হিন্দুধর্ম বলে প্রচার করাহচ্ছে), ইসলাম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, সারনা প্রভৃতি ধর্মে শ্রমিকশ্রেণী আছে,আছে শোষকশ্রেণী। বাঙালি,বিহারি,ওড়িয়া,তামিল,তেলেগু,মারাঠি, গুজরাটি প্রভৃতি জাতিতে বেশিরভাগ আছে শ্রমিকশ্রেণী, আছে সংখ্যালঘিষ্ঠ শোষকশ্রেণী। বেশিরভাগ ওবিসি, দলিত, আদিবাসী জনগণ শ্রমিক ও দরিদ্র কৃষক।তাঁরা শোষিতশ্রেণী।একই ধর্ম ও জাতির শোষকশ্রেণী কি ঐ ধর্মের ও জাতির শ্রমিক ও কৃষককে শোষণের হাত থেকে ছাড় দেয়? দেয় না। তাই শ্রমজীবী জনগণের প্রথম পরিচয় তাঁরা শ্রমিকশ্রেণী,শোষিতশ্রেণী।এই পরিচয় ও শ্রমজীবীদের ঐক্যটা ভেঙে দিতে পারলে শোষণে বাধা থাকে না শোষকশ্রেণীর।
-
যুগে যুগে জনে-জনের অন্তরে জিইয়ে আছেন মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। যিনি আমৃত্যু কৃষক, শ্রমিক, জেলে, মজুর, কামার, কুমার, তাঁতি ও খেটে খাওয়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই করে গেছেন।
-
চোখে চোখ রেখে দৃঢ় কণ্ঠে বলা যায় ইতিহাস আর বর্তমানের নিষ্ঠুরতম সত্য। নির্দ্বিধায় নির্ভয়ে দাঁড়ানো যায় কালের সমস্ত ভণ্ডামি আর সাম্প্রদায়িকতার বিপক্ষে। সকালের স্নিগ্ধতার চেয়ে রাতের আঁধার গ্রাস করতো তাকে। সাম্প্রদায়িকতা, দাঙ্গা, বিভীষিকা, তার সাহিত্যের নিষিদ্ধ হওয়া, কোনটিই বাদ যায়নি। তার ওপর আঘাতের পর আঘাত এসেছে। তাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল শাসকেরা। কিন্তু তিনি তো চিরকালের।
-
অনুরাধা অনেকের কাছেই আদর্শ ছিল। সে কখনো নিজেকে নিপীড়িত জনগণের থেকে আলাদা করে দেখতেন না যেটা সবাই আমরা প্রায়ই করে থাকি আমাদের জাতপাতের কারণে অথবা বস্তুগত অবস্থানের স্থান থেকে।
-
-
কবিতা মেধার শুধু নয়, হৃদয়েরও মানবিক উচ্ছ্বাসের প্রকাশ তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই একদিকে শিশুতোষ জীবনের মর্মরিত আলোক সত্তা তাঁর কবিতায় প্রশ্রয় পেয়েছে, অপরদিকে মানবিক রসের প্রগাঢ় রূপায়ণ ঘটেছে। রোমান্টিক সত্তার সঙ্গে চিরপ্রেমিক সত্তা সংযুক্ত হয়েছে। যেখানেই মানবসংহার সংঘটিত হয়েছে, যেখানেই বিদ্বেষের বিষবাষ্প উঠেছে— কবি সেখানেই তাঁর প্রেমের অমৃতবাণী শুনিয়েছেন।
-
যাঁরা সি পি আই (এম) কে সংশোধনবাদী বলে গণ্য করেন ও নিজেদের মার্কসবাদী, লেনিনবাদী বা মাওবাদী বলে দাবি করেন তাঁদেরও বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনদিন কোন কথা বলেননি।
-
ব্রিটিশ-শাসিত বাংলার সমাজব্যবস্থা ও জনজীবনের পুনর্গঠন, বাঙালি জাতির রাজনৈতিক জাতিসত্তার নির্মাণ, বাঙালির গণজাগরণ, রাজনৈতিক সাহিত্যসৃষ্টি এবং সমাজসংস্কার আন্দোলনের দিশারী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক৷ শ্রেণিসংগ্রাম ও সৃষ্টিশীলতার সূত্র ধরে অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক রাজনৈতিক সাহিত্য নির্মাণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন৷ আবুল কাশেম ফজলুল হক (২৬ অক্টোবর ১৮৭৩-২৭ এপ্রিল ১৯৬২) একাধারে আইনজীবী, লেখক,সংসদ সদস্য ও সাহিত্যিক ছিলেন । বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শের-ই-বংগাল এবং ‘হক সাহেব’ নামে বিশেষ পরিচিত।
-
মানবজাতির মুক্তির দিশারী হজরত মুহাম্মদ (সা:)ছিলেন সভ্যতার অগ্ৰদূত,সম্প্রীতির প্রতীক৷ সকল ভাষাভাষী, সকল গোষ্ঠী, সকল গোত্র, সকল জাতির, সকল দেশের, সকল সংস্কৃতির, সকল ইতিহাস, সকল ঐতিহ্যের কাছে ইসলামের সাম্যবাদ পৌঁছে গেছে ৷সুফি বাংলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইসলামী উৎসব -পরব বিভিন্ন নামে বিভিন্ন জায়গায় উদযাপিত হতো৷ তার আগে স্মরণ হতো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ ইমান ,নামাজ (সালাত), রোজা (সাওম) ,হজ্জ ,যাকাত ইত্যাদি৷
