শ্রমিক-কৃষকদের মেহনত ছাড়া কোনো সমাজ চলতেই পারে না। ফলে শ্রমিক বা কৃষক হিসেবে তাদের গর্ববোধ করাই উচিত। শুধু বড়লোকশ্রেণির বাবু লোকেরা বা “ভদ্রলোকেরা” মেহনতি জনগণকে “চাষা” বা “লেবার-ক্লাস”, “কুলি/মজুর” এসব বলে ব্যঙ্গ করে। অথচ তারা কোনো খাদ্য- বস্ত্র-বাসস্থান কিছুই উৎপাদন করতে পারে না।
শ্রেণি বৈষম্য
-
-
কোনো কারণে যদি কেউ শোষিত, নির্যাতিত হয়, এবং যদি তার সুরাহা নিয়ে সমাজে কোনো শক্তি কার্যকরী কিছু না করে, তবে সেই শোষিতেরা, নির্যাতিতেরা এককাট্টা হয়ে লড়ার পথে যেতে বাধ্য হয়। যেমন ধরা যাক আমেরিকায় কালো চামড়ার জনগণ একজোট হয়েছে। বারবার লড়াই-এ নেমেছে। ভবিষ্যতেও নামবে যতদিন বর্ণবিদ্বেষ, কালো চামড়ার মানুষদের প্রতি ঘৃণা ইত্যাদি নোংরামো সমাজে থাকবে।
-
ডিজিটাল যুগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিভিশন ইন্টারনেট বহুজাতিক কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে গেছে কিন্তু পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য হাসপাতাল। পৌছায়নি বিজ্ঞান চেতনার আলো। ওঝা সম্প্রদায়ের চিকিৎসায় সম্বল। বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা শুভ অশুভ শক্তির অছিলায়। ডাইনি প্রথাকে টিকিয়ে রাখার অর্থ হলো সব ধরনের বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। বৈষম্য থাকলে বাজার বাড়বে। সচেতন বা অসচেতন গ্রাহক তৈরি হবে। মানুষের শুভ চিন্তার বিনাশ ঘটবে।