শ্রেণীর সঙ্গে বর্ণ অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। তাই শ্রেণী ব্যবস্থাকে আঘাত না করে অর্থাৎ উৎপাদনের বিষয় ও উপকরণের মালিকানা তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষের হাতে হস্তান্তরিত না হলে এবং সাথে সাথে শোষিত নিম্নবর্ণের মানুষ পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রাপ্ত না হলে বর্ণ-ব্যবস্থা নির্মূল করা অসম্ভব বিষয়।
পুঁজিবাদ
-
-
এই পটভূমি মাথায় রেখেই আলোচিত পুস্তকখানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল্যবান অংশবিশেষ -“কমিউনিজমের দার্শনিক সমস্যা” এবং কমিউনিস্টদের সামনে এই সময় প্রধান কাজ”। এই দুটি অংশ পাঠক এবং সমালোচকদের কাছে বিশেষ মনোযোগের দাবী রাখে। এর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি হলো ভারতবর্ষের নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণ্যবাদ-জাতপাত বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্য ও ইতিহাস।
-
আজ দেখা যাচ্ছে সংকেত প্রণালীগুলি ক্রমে আরো সহজ ও সংক্ষিপ্ত হয়ে পড়ছে। তাদের লক্ষ্য হয়ে উঠছে কেবল কোন বিশেষ বাস্তব উদ্দেশ্য সাধন। এভাবে সরল হতে হতে সেগুলি এমন অবস্থায় পৌঁছাচ্ছে যেখানে সেগুলি তাদের সংকেতিক মূল্য হারিয়েছে।
-
সকালের রোদ।কড়া নয়, মিঠে। গায়ে লাগলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। বেঁচে থাকা সার্থক মনে হয়।আমার মনে হয় অংশুমানের গল্পগুলির মূল আকর্ষণ লুকিয়ে আছে নিত্যদিনের মরার হাত থেকে জীবনকে ছিনিয়ে নিয়ে এক মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচার প্রয়াসে। লুকিয়ে বা পালিয়ে বাঁচা নয়। হেরেও না হারার দৃঢ়তা নিয়ে বাঁচা।
-
ডিজিটাল যুগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিভিশন ইন্টারনেট বহুজাতিক কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে গেছে কিন্তু পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য হাসপাতাল। পৌছায়নি বিজ্ঞান চেতনার আলো। ওঝা সম্প্রদায়ের চিকিৎসায় সম্বল। বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা শুভ অশুভ শক্তির অছিলায়। ডাইনি প্রথাকে টিকিয়ে রাখার অর্থ হলো সব ধরনের বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। বৈষম্য থাকলে বাজার বাড়বে। সচেতন বা অসচেতন গ্রাহক তৈরি হবে। মানুষের শুভ চিন্তার বিনাশ ঘটবে।
-
কাফনে আবদ্ধ বিশ্বপ্রেম
মানবতা বন্ধক হানাদারদের হাতে
সাথে রক্তাক্ত শিশুর হাহাকারে হাসে
নতুন সকালের সূর্য সগৌরবে
এই সাম্রাজ্যেবাদী আকাশে। -
কে হানাদার, কে দখলদার ?
দেশে দেশে গণহত্যায় কারা সামিল ?
কে না জানে সাদা সাম্রাজ্যবাদ
আর পুঁজিবাদের অন্ধকার ইতিহাস ? -
তৃতীয় বিশ্বের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আছে;
বৃক্ষহীন বিরানভূমি এখন কাঁদে -
আজ যখন ধর্মের রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষ মানুষকে ঘৃণা, হিংসা ও খুন করছে, আজ যখন গরিবদের কথা বললে লোকে হাসাহাসি করছে, আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিধ্বংসকারি ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা মারছে, আজ যখন শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার ও সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই, প্রতি পদে পদে তারা বঞ্চিত, শোষিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে, আজ যখন মালিকদের বেশিরভাগই স্বৈরাচারী এবং তাদের সাথে দেশের রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত –সেখানে দাঁড়িয়ে মে দিবসের প্রসঙ্গ ও এদিনের তাৎপর্য আরও বেশি বেশি উপলব্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে ও পুঁজিবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নতুন করে আমাদের সকলকেই নিতে হবে।
-
স্বামীর মৃত্যুর জন্য আমরাও দায়ী। কারণ আমরা প্রশ্ন করাকে এড়িয়ে গিয়েছি অথবা আমরা যথেষ্ট প্রশ্ন করিনি , তুলিনি সঠিক আওয়াজ যতটা তুললে এই হত্যা গুলো বন্ধ হতে পারত। ফাদার স্ট্যান স্বামী রাঁচির একটি মিশনারী আবাসিক স্কুলের প্রধান ছিলেন। সম্ভবত সেই প্রথম খ্রীস্টান মিশনারী যেখানে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল যীশু নয়, বীরসা মুন্ডার মূর্তি । কিন্তু বীরসার লড়াইয়ের ইতিহাস তো রাষ্ট্র আমাদের ভোলাতে চায়। রাষ্ট্র তো মুছে দিতে চায় আদিবাসী জনজাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজকে। তাহলে স্ট্যান স্বামীর এই কাজ রাষ্ট্রের পছন্দ হবে কেন?