কিশোরগঞ্জ এলাকার আরেকজন মানুষ কেউ কেউ শুনেছেন, তিনি হারিয়ে গিয়েছেন, রেবতী মোহন বর্মণ। তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা। তিনি আর এই নীরদ সি চৌধুরী। এরা পাশাপাশি গ্রামের মানুষ, দুজনের বাবা ওকালতি করতেন, দুজনেরই অবস্থান বেশ মধ্যবিত্ত। কিন্তু রেবতী মোহন বর্মণের নাম তো আমরা শুনি না। কারণ, রেবতী মোহন বর্মণকে তো আমরা আধুনিকও বলি না, বলি না এজন্য যে তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন।
বাঙালি
-
-
অবচেতনে যাদের মুখে অন্যের গাওয়া গান
বুঝতে তাদের হবে-এটা একুশের অপমান। -
একুশ মানে ধর্ম তো নয়
ভাষার জন্য লড়া,
ঘাড়ের ‘পরে মাথা রেখে
বাঁচার জন্য মরা। -
তাই বিপথগামী এই যুবকদের মাথায় একাংশ রাজনীতিবিদ ঢুকিয়ে দিচ্ছে-নিম্ন আসাম থেকে উজান আসামে কাজের সন্ধানে যাওয়া, নদী-ভাঙনের শিকার শ্রমিকরা তাদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে,তাই অসমীয়া যুবকেরা কাজ পাচ্ছে না।আসামের আর্থিক দুরাবস্থার জন্যে এরাই দায়ী।তাই এই শ্রমিকদের ওরা তাড়িয়ে দিতে চায় আসাম থেকে, তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চায়।
-
যাই হোক, সংস্কৃত থেকে জাত ভারতীয় অন্যান্য ভাষার মত বাংলা ভাষাতেও কথ্য স্তরে পানি শব্দ একসময়ে সার্বজনীনভাবে প্রচলিত ছিল। তাছাড়া এটাও বোধ হয় জানা যে, ‘জল’ যেমন সংস্কৃত উৎসের, তৎসম শব্দ: ‘পানি’-ও তেমনি সংস্কৃত উৎসের, তবে তদভব। ‘পানীয়’ থেকে পানি। তা না জেনেই এক শ্রেণীর হিন্দু বাঙালি ‘পানি’-র উপর বিদ্বেষ নিয়ে বসে থাকেন। ‘যবন’ স্পর্শদোষে পানিকে যেন কুল হারাতে হল। কিন্তু অভিধানে যখন এই বিকৃত মানসিকতার পরিচয় পাই তখন দুঃখ হয় বৈকি। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, বেশীরভাগ হিন্দু অভিধান-প্রণেতার অভিধানেই জল শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ‘বারি’ ‘সলিল’ ইত্যাদি শব্দের দেখা পাওয়া গেলেও ‘পানি’ কথাটির দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এটা অচেতন নয়, সচেতন বর্জন- এটাই বিপদের কারণ। মুসলিম শাসকরা চৌদ্দঘাটের পানি পান করে বাংলায় এসেছিলেন। তাই তাদের উত্তরসূরীরাও পানি দখল করলেন আর সেই দুঃখে হিন্দুরা পানি ছেড়ে জল ধরলেন।
-
কবিগুরু একটি সুমহান দেশ ও জাতির শাশ্বত প্রতীক — চিরকালীন প্রতিনিধি। আজ দেশের এই সংকটময় সময়ে মানুষ যদি রবীন্দ্র চেতনায় পরিশোধিত করে নেয় নিজেকে, যদি বিশ্বের প্রতিটি মানুষ রবীন্দ্রবাণীর আদর্শে সর্বাত্মক মানবমুক্তি ও মানব প্রগতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলার শপথ নেয় আমৃত্যু, তা হলে আমাদের স্বদেশ ও পৃথিবী সর্বপ্রকার ধ্বংস-বিভীষিকা, হিংসা, অসাম্য, অবক্ষয়ী মূল্যবোধ ও অশান্তির নরকগ্লানি থেকে পরিত্রাণ পাবে।
-
বাংলা সনের জন্মবৃত্তান্ত, রাজা শশাঙ্ক না সম্রাট আকবরের আমলে, সেই তাত্ত্বিক আলোচনা না হয় অন্য অবসরে বাঙালি বৈঠকি মেজাজে করা যাবে। বরং আজ বৈশাখের আগমনে আসুন সবাই একসাথে গলা মেলাই — এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে বাঙালির বৃহত্তর পরিবার আজ মেতে উঠেছে বর্ষবরণ পালনে।
-
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের উপর লেখা অন্যতম প্রামাণ্য এই বইয়ে তিনি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন তৎকালীন অর্থনীতি, শিল্পকলা, স্থাপত্য, প্রযুক্তি সম্পর্কে । তিনি মনে করতেন, বাঙালি জাতির নির্মাণ প্রক্রিয়ায় এই যুগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে সমসাময়িক অন্ত্যজ শিল্পী কারিগর শ্রেণীর প্রকৃতি ও শেকড় অনুসন্ধানে তিনি ব্রতী হন।