আজ যখন ধর্মের রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষ মানুষকে ঘৃণা, হিংসা ও খুন করছে, আজ যখন গরিবদের কথা বললে লোকে হাসাহাসি করছে, আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিধ্বংসকারি ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা মারছে, আজ যখন শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার ও সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই, প্রতি পদে পদে তারা বঞ্চিত, শোষিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে, আজ যখন মালিকদের বেশিরভাগই স্বৈরাচারী এবং তাদের সাথে দেশের রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত –সেখানে দাঁড়িয়ে মে দিবসের প্রসঙ্গ ও এদিনের তাৎপর্য আরও বেশি বেশি উপলব্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে ও পুঁজিবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নতুন করে আমাদের সকলকেই নিতে হবে।
April 2023
-
-
স্বামীর মৃত্যুর জন্য আমরাও দায়ী। কারণ আমরা প্রশ্ন করাকে এড়িয়ে গিয়েছি অথবা আমরা যথেষ্ট প্রশ্ন করিনি , তুলিনি সঠিক আওয়াজ যতটা তুললে এই হত্যা গুলো বন্ধ হতে পারত। ফাদার স্ট্যান স্বামী রাঁচির একটি মিশনারী আবাসিক স্কুলের প্রধান ছিলেন। সম্ভবত সেই প্রথম খ্রীস্টান মিশনারী যেখানে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল যীশু নয়, বীরসা মুন্ডার মূর্তি । কিন্তু বীরসার লড়াইয়ের ইতিহাস তো রাষ্ট্র আমাদের ভোলাতে চায়। রাষ্ট্র তো মুছে দিতে চায় আদিবাসী জনজাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজকে। তাহলে স্ট্যান স্বামীর এই কাজ রাষ্ট্রের পছন্দ হবে কেন?
-
কলাকোশের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে অশান্ত বিষমোহ অবশেষ।
থামাতে চাইলে সাপের মতো পেঁচিয়ে ওঠে হিসহিস শব্দে।
অলৌকিক বিশ্বাস কলার ভেলায় ভেসে বেড়ায়। -
বুড়ো ও ছুটছে;
ধোঁকাচ্ছে, ছুটছে।
পঁচাত্তরের বুড়ো,
ছুটতে কষ্ট হয়।
মুখমণ্ডলে বহু দাগ,
চোখে মুখে আতঙ্ক।
সন্তান কথা শোনে না,
কথাও রাখে না।
মারামারি, রক্তারক্তি,
একা সব চায়।
বাকিরা বাঁচবে না!
বরবাদ করলো।
বুড়ো মনের কষ্টে
ছুটছে — ছুটছে – -
বইটিতে আছে মাটি ছুঁয়ে চলা গরিব মানুষের জীবনযাপনের গল্প যার কুশীলবরা আমাদের পরিবেশে লড়তে থাকা বাস্তব সমাজ জীবনের প্রতিনিধিস্বরূপ। কোভিড-১৯ এর কারনে নিউ নর্মাল পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টসাধ্য দিনযাপন, অস্তিত্বের লড়াই, অভিযোজন, গ্রামীণ জীবনের সঙ্গে লেখকের একাত্মতা, চরিত্রগুলোর সরলতা পাঠককে সমাজ অনুধাবনে নতুন দৃষ্টি দেয়। কাহিনী বর্ণনায়, কথ্য ভাষার প্রয়োগে লেখকের সাবলীলতা লক্ষণীয়। প্রতিটি গল্পে মাটির গন্ধ, প্রাকৃতিক পরিবেশের আনন্দের সঙ্গে সহায়সম্বলহীন মানুষের দুঃখ-সুখের মেলবন্ধন তার লেখনিতে এক বিশিষ্টতা দান করেছে।
-
কি হয়েছে, কাশেমের মেয়ের?
আর শরমের কথা কি কমু? এক পোলার লগে ভাগছে
দশ টাকায় দু’ টাকা ফেরত দিতে দিতে বলা মলয়ের কথা যেন রমিজের জন্য মুহূর্তেই জ্বালানির খোরাক হিসেবে কাজ করে। চোখ দুটো আত্মতৃপ্তিতে জ্বলজ্বল করে ওঠে ওর। এই কাশেমের সাথে ওর হিসেব চুকানোর খেলা বহু পুরোন গল্প। নিম্ন মধ্যবিত্ত ঐ অমায়িক মানুষটার ব্যক্তিত্বের কাছে ও যেন অঘোষিত যুদ্ধে পদে পদে হেরেছে। অজান্তে মনের মাঝে ঈর্ষা খানা তুষের আগুনের মত দিন রাত জ্বলত। ওফ! আর এখন! আর ভাবা যাচ্ছে না। আনন্দের আতিশায্যে একখানা পান জলদি মুখে পুরে নেন জমির। তৃপ্তিটা বুঝি আজ ষোল আনা মিলছে।
-
কুরআনের তাফসীর যেনো করি অধ্যয়ন
বিধাতার রহমতকে সদা করতে অঙ্কুরণ
কুরআন শরীফ নাযিল এই পবিত্র মাসে
এমন মাস যেন মোদের বার বার আসে । -
আম্বেদকর হলেন সেই দেবদূত যিনি অপমানিত, অবদমিত শৃঙ্খলিত নারী জীবনের তমসাকে স্বাধীন ভারতে আইনের দ্বারা দূর করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকেই মনুবাদী শাষনব্যবস্থার অচলায়তন পর্বতগুলো ভাঙতে শুরু করেছিলেন। প্রকাশ্যে মনুস্মৃতি পুড়িয়ে পিতৃতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিবাদ করেন( ২৭ডিসেম্বর, ১৯২৭)।
কাস্ট ইন ইন্ডিয়া (১৯১৭) বই প্রকাশ, ‘মূখনায়ক’ পত্রিকা (১৯২০) ও ‘বহিস্কৃত ভারত’ পত্রিকা (১৯২৭) প্রকাশনার মাধ্যমে ‘জাতের নামে বজ্জাতি’-র জগদ্দল পাথরগুলো অপসারণে তাঁর সুচিন্তিত ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারার প্রকাশ করতে থাকেন।নারীর সম্পত্তির উপর অধিকার ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে তাঁর অনলস প্রয়াস ততকালীন বিশ্বের সনামধন্য নারীবাদীদেরও উৎসাহিত করেছিল।
-
ঘাত প্রতিঘাত সয়েই জীবনের পথ চলা
দু’চোখের স্বপ্ন আশা পুরে দৃঢ় প্রত্যয়ীর।
যুব জোয়ানেরা হোক প্রত্যয়ী অধ্যবসায়ী
ভিটেমাটির সম্মান বৃদ্ধি; উচ্চ পদ প্রাপ্তি
তাদের করায়ত্ব হোক ভূ-ভারত ময়। -
আগের শান্ত দরিদ্র শহরটায় ধনী বিলাসীর ছাপ প্রকট হয়ে উঠছে রাতারাতি।বদলে যাওয়া সুন্দরী শহরটা দামী হচ্ছে দিনকেদিন। জমির দামও আকাশছোঁয়া।আগারগাঁওতে লাগছে সরকারি ছাপ। সেই ছাপকে কেন্দ্র করেই বানিজ্যিক আবহাওয়ায় আধুনিক বৈচিত্র্যময় রুপ নিচ্ছে।