সহিদুল ইসলাম
পঁচাত্তর বছর
কম কোথায়?
ছুট ছুট
বুড়ো হাঁপাচ্ছে
আর ছুটছে।
সকলেই খামচে
ধরে আছে।
ছুট ছুট
হাতে শূন্য লাটাই।
সুতো ছেঁড়া ঘুড়ি,
নাগালের বাইরে।
আকাশে লাট খায়।
ছেলেটা পথ ঘাট
জল জঙ্গল ভাঙে।
আকাশ পানে চায় ;
ঐ ঐ তো ঘুড়ি!
ছুট ছুট ছুট
বুড়ো ও ছুটছে;
ধোঁকাচ্ছে, ছুটছে।
পঁচাত্তরের বুড়ো,
ছুটতে কষ্ট হয়।
মুখমণ্ডলে বহু দাগ,
চোখে মুখে আতঙ্ক।
সন্তান কথা শোনে না,
কথাও রাখে না।
মারামারি, রক্তারক্তি,
একা সব চায়।
বাকিরা বাঁচবে না!
বরবাদ করলো।
বুড়ো মনের কষ্টে
ছুটছে — ছুটছে –
বুড়োর তর্জনী
ভর্তি কালি।
যেন নীল বিষে
জ্বরে আছে।
কিছু বদলেছে?
বুড়ো পাগল
হয়ে ছুটছে।
মার মার।
ছুট ছুট —
সকলে ছুটছে
বুড়ো ও ছুটছে।
ছেলেটা আকাশ দেখে,
মাটি দেখে।
ওর সাধের ঘুড়ি
পাবে না!
ঘুড়ি বাতাস কেটে
মাটিতে নামছে;
ছুট ছুট ছুট
মাঠ পেরিয়ে গ্ৰাম
নদী, ছুট ছুট —
এরা কারা?
ওদের কি নেই!
ঘুড়ি না আরও কিছু?
সামনে উঁচু পাঁচিল
টপকালো টপকালো
ছুটছে ছুটছে —
এবার পুকুর।
পুকুরে কি পড়লো!
জলে শব্দ;
চোর ডাকাত হয়তো!
কি কি সামলালো?
হৈ হৈ করে কারা
কারা ছুটলো?
ওর পিছনে ছুটলো।
পুকুর ভরা জল
জল তোলার শব্দ।
দ্যাখ দ্যাখ
ছুট ছুট।
কোথায় ঘুড়ি?
জলে মাটিতে ?
ছুট ছুট ছুট
ঐ ঐ তো ঘুড়ি।
আকাশ থেকে
নরম মাটিতে।
ছেলেটা ছুটছে
ওরা ছুটছে
সে ছুটছে
বুড়ো ছুটছে।
ঘুড়ি বুড়োর
বুকে এসে থামলো।
ছেলেটা থমকে যায়।
পঁচাত্তরের বুড়ো
এ কি হাল!
ঘুড়ি চায়।
ছুট ছুট ছুট