কন্ঠরোধ করে কেড়ে নিতে চেয়েছিল মাতৃভাষা
অথচ কাক কখনো গায়নি কোকিলকণ্ঠী গান
চিরদিন চিরকাল যারা পুরায় জাতির আশা,
তারা রক্তে মাটি সিক্ত করে জীবন করেছে দান।
ভোরের সূর্যের প্রতিরূপ আর শহিদ মিনার
আড়ম্বর আর মেকি দরদে কাঁদে শহিদ প্রাণ
বাংলা ভাষার রোদন ধ্বনি কে আছে আর শোনার?
একুশ প্রতি সনে বলে যেন- দেখো আমার শান।
বাঙালির ভাষা খিঁচুড়ি হয়ে বাংলিশ রূপে কেন?
থ্যাঙ্ক, সরি, টলারেট, ওকে শুনে বিদেশী লজ্জিত
দৈনতাকে ঐশ্বর্য ভাবে। কি অনন্য বৈভব যেন!
একুশের মঞ্চেও পেস্ট আসে বাংরেজিতে সজ্জিত।
অবচেতনে যাদের মুখে অন্যের গাওয়া গান
বুঝতে তাদের হবে-এটা একুশের অপমান।