কবিতা মেধার শুধু নয়, হৃদয়েরও মানবিক উচ্ছ্বাসের প্রকাশ তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তাই একদিকে শিশুতোষ জীবনের মর্মরিত আলোক সত্তা তাঁর কবিতায় প্রশ্রয় পেয়েছে, অপরদিকে মানবিক রসের প্রগাঢ় রূপায়ণ ঘটেছে। রোমান্টিক সত্তার সঙ্গে চিরপ্রেমিক সত্তা সংযুক্ত হয়েছে। যেখানেই মানবসংহার সংঘটিত হয়েছে, যেখানেই বিদ্বেষের বিষবাষ্প উঠেছে— কবি সেখানেই তাঁর প্রেমের অমৃতবাণী শুনিয়েছেন।
Latest News
-
-
-
দেখিনি দু’বার চালসার সেই অপূর্ব দৃশ্য
যেখানে এক আদিবাসী মায়ের
মাসখানেকের শিশু, এক হাটে,
দুগ্ধ পান করার জন্য উন্মত্ত,
আর কালো নির্জীব মা
শণিত চোখে
হাজার ভ্রমণ পিপাসুর ক্ষুধা মেটায়
অবলীলায় বোতাম খুলে দিয়ে, -
অত্যাচারে জর্জরিত মুন্ডা সমাজে বিরসা হয়ে উঠেছিলেন ত্রাতাস্বরূপ- তাঁর সংগ্রাম মুণ্ডাদের ঠিক কতখানি ঐহিক মুক্তি বা সুখ স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিল সেটা বড় কথা নয়, বড় কথা এই যে, বিরসা হয়ে উঠেছিলেন মুগ্ধ আত্মবিশ্বাস, আত্মসম্মানের প্রতীক। অপমান, উৎপীড়নের বিরুদ্ধে মুন্ডারা যে রুখে দাঁড়াতে পারে, সেই বোধে-বিশ্বাষে বিরসার ঈশ্বরতা- সেই ঐশ্বর্যে বিরসার অনন্যতা, অমরত্ব।
-
গড়ার তাগিদে ভাঙে মসজিদ বহু পুরাতন
ভাঙন শব্দ হানেনি আঘাত মরমে কারও !
নব-পুরাতনে ভাঙা-গড়া চলে
একথা জানে ধরার প্রথম প্রহরও । -
সোনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বই পাশাপাশি বাস, তবে কেন উদাসীন? ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষে মানুষের যে বিভেদের প্রাচীর গড়ে উঠছে, এই মেরুকরণের একেবারে বিপরীতে অবস্থান করে। তাঁর মতে ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই রক্ত ঝরিয়েছে l সেখানে উচ্চবর্ণ, নিম্নবর্ণ, দলিত আদিবাসী ইত্যাদির কোন ভেদাভেদ নেই l কিন্তু লেখক লক্ষ্য করছেন যে মূলত ধর্মকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ঘৃণা, বিদ্রুপ , তাচ্ছিল্য ও ভুল ধারণার সৃষ্টি হচ্ছে।
-
সকালের রোদ।কড়া নয়, মিঠে। গায়ে লাগলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। বেঁচে থাকা সার্থক মনে হয়।আমার মনে হয় অংশুমানের গল্পগুলির মূল আকর্ষণ লুকিয়ে আছে নিত্যদিনের মরার হাত থেকে জীবনকে ছিনিয়ে নিয়ে এক মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচার প্রয়াসে। লুকিয়ে বা পালিয়ে বাঁচা নয়। হেরেও না হারার দৃঢ়তা নিয়ে বাঁচা।
-
আদি মানব রক্তে লেখা কাম ইন্দ্রিয়ের কবিতা এই ভাষাগুলোকেই লোকে ভালোবাসা বলে, ভালোবাসা নিংড়ানো রসে হাবুডুবু খায় কামগন্ধ ব্যাকরণ,
-
Bunch of Thoughts- এর ভারতে তিন শত্রুদের ‘হিংস্র চিন্তনে’ ধ্বংস করাই লক্ষ্য। নগ্ন ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বড় মাপের গণহত্যা সংঘটিত না করে ছোট ছোট কিন্তু নিয়মিত হিংসা ও হত্যা করে রোজকার সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবায়ণ ঘটানোয় এদের লক্ষ্য। এরা দেশদ্রোহী, টুকরে টুকরে গ্যাং, শহুরে নকশাল, আ্যন্টি-ন্যাশনাল, খান মার্কেট গ্যাং, সেকুলাররিস্ট ইত্যাদি নামে দেগে দিয়ে We or Our Nationhood বইয়ের ভাষায় হিন্দুস্তানে বসবাসকারী সকলকে হিন্দুত্বের সংস্কৃতি ও ভাষাকে গ্রহণ করে হিন্দুত্বের আদর্শকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে নিজেদের ভিন্ন জাতিসত্ত্বাকে ভুলে কোন রকম সুযোগ সুবিধা না চেয়ে, নাগরিকত্বের কোন দাবি না করে, হিন্দুরাষ্ট্রের দ্বারা কোনঠাসা হয়ে এই দেশে থেকে যেতে হবে।
-
তাই বিপথগামী এই যুবকদের মাথায় একাংশ রাজনীতিবিদ ঢুকিয়ে দিচ্ছে-নিম্ন আসাম থেকে উজান আসামে কাজের সন্ধানে যাওয়া, নদী-ভাঙনের শিকার শ্রমিকরা তাদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে,তাই অসমীয়া যুবকেরা কাজ পাচ্ছে না।আসামের আর্থিক দুরাবস্থার জন্যে এরাই দায়ী।তাই এই শ্রমিকদের ওরা তাড়িয়ে দিতে চায় আসাম থেকে, তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চায়।