হিন্দু সব এক, বা মুসলমান সব এক। এটি একমাত্র চরম বিপদের সময়ের উপলব্ধি। অন্যসময় নয়।
মুসলমান
-
-
আমি মার্ক্সবাদী
আমি কখনো গলা তুলিনি
আদিবাসী, মুসলমান, ও অচ্ছুতদের অধিকারের জন্য,
আমি শুধু ঢেলা কুড়িয়েছি
স্থিতাবস্থার পুরনো দেওয়াল
সযত্নে মেরামতের জন্য। -
হিন্দু খাতরেমে হ্যায়… তাই মুসলমানদের তাড়াতে না পারো, হত্যা করতে না পারো , রাজনৈতিক ভাবে শূন্য করতে না পারো, সাংস্কৃতিক ভাবে হিন্দুত্ব করে তোলো। বাঁচতে হলে হিন্দুত্বের নিয়মাবলী মেনে বাঁচো।
-
জয় শ্রী রাম স্লোগানে ধর্মের কিছু নেই। নেই রামের প্রতি ভালবাসা। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার যা প্রয়োগ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের খালি ধ্বজা উড়ানো যায়। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের সব বিষ আগে এই স্লোগানে নিহিত না থাকলেও আজকের দিনে তা আর বিশ্বাস হয় না।এই স্লোগান ভক্তি উদ্রেক করে না। জন্ম দেয় ভীতির। রামের নামে।
-
একটু পরে তাকিয়ে দেখলেন পড়ন্ত বিকেলের লাল সূর্যের আলোয় পৃথিবীটা ভরে গেছে। কিন্তু এ আলোয় কেমন একটা জ্বলন্ত আগুনের বিগ্রহ। হ্যাঁ, সেটা ভারতবর্ষের মানচিত্র।যেন মানচিত্রের বিশেষ বিশেষ অংশ জ্বলছে। গুজরাত জ্বলছে, আহমেদাবাদ জ্বলছে।আসাম জ্বলছে ।সেই আগুন ক্রমশ পশ্চিম বঙ্গের সীমান্তের দিকে ধেয়ে আসছে ।তাহলে কি, গোটা ভারতবর্ষটাই জ্বলবে।
-
হিংসা, দ্বেষ এখন বিশ্ব তথা বাংলা তথা ভারতের ঘরে ঘরে। এবং এসব নিয়ে মানুষ খুব বেশি চিন্তিত নয়।হাতে হাতে ইন্টারনেট। বুকে বুকে হিংসা দ্বেষ। মুখে মুখে খিস্তি খেঁউড়। কথায় কথায় উগ্র গালিগালাজ।দিন শুরু হিংসাতে, শেষও হিংসাতে। যুদ্ধ, হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংস, দাঙ্গা, আক্রমণ, শরণার্থী—এসবের খবর সব গা-সওয়া। শাস্ত্র মুখে মুখে, রক্ত হাতে হাতে। ঘৃণা অন্তরে অন্তরে। বিষ আকাশে বাতাসে। মৃত্যু আকছার। বেঁচে থাকার লড়াই সহিংস, অতীব নিষ্ঠুর। এক ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই, বাসে ট্রেনে একটি সিটের জন্য লড়াই, দশটা টাকার জন্য হাটেবাজারে লড়াই, লড়াই অফিসে, হাসপাতালের লাইনে লড়াই—লড়াই সর্বত্র। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।