শ্রমিক-কৃষকদের মেহনত ছাড়া কোনো সমাজ চলতেই পারে না। ফলে শ্রমিক বা কৃষক হিসেবে তাদের গর্ববোধ করাই উচিত। শুধু বড়লোকশ্রেণির বাবু লোকেরা বা “ভদ্রলোকেরা” মেহনতি জনগণকে “চাষা” বা “লেবার-ক্লাস”, “কুলি/মজুর” এসব বলে ব্যঙ্গ করে। অথচ তারা কোনো খাদ্য- বস্ত্র-বাসস্থান কিছুই উৎপাদন করতে পারে না।
হিংসা
-
-
কুর্সিতে আসীন দলনেতা আজ
হিংসা, রাহাজানি, দুর্নীতিতে নির্দোষ হতে চায়, -
মানুষের চেহারা পোশাক দেখে যারা
মানুষ চেনে, বুদ্ধি দেখে নয়,
নিশ্চয় তারা মানবেতর, উন্নাসিক! -
আহমদ মুখ তুলতেই পাশে বসে থাকা আরেক ছাত্র জানালো যে, “স্যর সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে ভোটের দিন লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোট দেবেন বলে। দুই পক্ষের লড়াই শুরু হয়, তারপর মুহুর্তেই কিসের যেন বিকট আওয়াজ হয়, অন্ধকারে ঢেকে যায় চারিদিক, সেখানেই মৃত্যু হয়েছে আহমদের পিতা আব্দুল হুসেনের!
-
সরকার দানা ছড়ায় বর্তমানের ভাগাড়ে
সেই সুবাদে নীতি বিকিয়ে যায় সামান্য দামে
আর অতীতের বিমর্ষ রেখা মুছে যায়
কেননা কাল বেলাওঠার বৈঠকে ভবিষ্যৎ নির্মিত হবে । -
ঝালরের একদিকে ওজ্জ্বল্য যেন কম, উজ্জ্বলতার দীর্ঘ পথের মধ্যে ওইখানে কেমন একটু অন্ধকার! কাছে গিয়ে হাতে তুলে দেখে, ঝালরটার রূপালি ওজ্জ্বল্য সেখানে বিবর্ণ হয়ে গেছে, সুতাগুলো খসে এসেছে। দেখে মুহূর্তে মজিদের মন অন্ধকার হয়ে আসে। তার ভুরু কুঁচকে যায়, ঝালরের বিবর্ণ অংশটা হাতে নিয়ে স্তব্ধ হয়ে থাকে।
-
জয় শ্রী রাম স্লোগানে ধর্মের কিছু নেই। নেই রামের প্রতি ভালবাসা। এটি একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার যা প্রয়োগ করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে গণতন্ত্রের খালি ধ্বজা উড়ানো যায়। ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের সব বিষ আগে এই স্লোগানে নিহিত না থাকলেও আজকের দিনে তা আর বিশ্বাস হয় না।এই স্লোগান ভক্তি উদ্রেক করে না। জন্ম দেয় ভীতির। রামের নামে।
-
সকালের রোদ।কড়া নয়, মিঠে। গায়ে লাগলে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। বেঁচে থাকা সার্থক মনে হয়।আমার মনে হয় অংশুমানের গল্পগুলির মূল আকর্ষণ লুকিয়ে আছে নিত্যদিনের মরার হাত থেকে জীবনকে ছিনিয়ে নিয়ে এক মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচার প্রয়াসে। লুকিয়ে বা পালিয়ে বাঁচা নয়। হেরেও না হারার দৃঢ়তা নিয়ে বাঁচা।
-
Bunch of Thoughts- এর ভারতে তিন শত্রুদের ‘হিংস্র চিন্তনে’ ধ্বংস করাই লক্ষ্য। নগ্ন ফ্যাসিজমের মাধ্যমে বড় মাপের গণহত্যা সংঘটিত না করে ছোট ছোট কিন্তু নিয়মিত হিংসা ও হত্যা করে রোজকার সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবায়ণ ঘটানোয় এদের লক্ষ্য। এরা দেশদ্রোহী, টুকরে টুকরে গ্যাং, শহুরে নকশাল, আ্যন্টি-ন্যাশনাল, খান মার্কেট গ্যাং, সেকুলাররিস্ট ইত্যাদি নামে দেগে দিয়ে We or Our Nationhood বইয়ের ভাষায় হিন্দুস্তানে বসবাসকারী সকলকে হিন্দুত্বের সংস্কৃতি ও ভাষাকে গ্রহণ করে হিন্দুত্বের আদর্শকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করে নিজেদের ভিন্ন জাতিসত্ত্বাকে ভুলে কোন রকম সুযোগ সুবিধা না চেয়ে, নাগরিকত্বের কোন দাবি না করে, হিন্দুরাষ্ট্রের দ্বারা কোনঠাসা হয়ে এই দেশে থেকে যেতে হবে।
-
তাই বিপথগামী এই যুবকদের মাথায় একাংশ রাজনীতিবিদ ঢুকিয়ে দিচ্ছে-নিম্ন আসাম থেকে উজান আসামে কাজের সন্ধানে যাওয়া, নদী-ভাঙনের শিকার শ্রমিকরা তাদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে,তাই অসমীয়া যুবকেরা কাজ পাচ্ছে না।আসামের আর্থিক দুরাবস্থার জন্যে এরাই দায়ী।তাই এই শ্রমিকদের ওরা তাড়িয়ে দিতে চায় আসাম থেকে, তাদেরকে বাংলাদেশী হিসেবে প্রতিপন্ন করতে চায়।
- 1
- 2