১ম মেয়ে (পেশাদার দেহব্যবসায়ি)— ‘শোনো, তিন সত্যি করে বলি তোমার
কানে কানে—
শোনো, যে সব বেশ্যাদল ঘরে শহরময়—
সার্টিনের শাড়ি আর
মুগারের হাতঢাকা
ব্লাউজ পরে যে সব পিঠকাটা
ঘোরে অলিতে গলিতে—
যারা শুধু কিছু পাবে বলে
গলিত দন্ত পলিত বৃদ্ধের কাছে যায়—
যায় শিথিলশিশ্ন ধব্জভঙ্গ হিংস্র ক্ষমতার কাছে—
যায় আর কিছু কিছু পায়—
পায় সেলাম, গা ভর্তি সাতনরী যশ
আর পায় শ্রমহীন মেধার বাউটি—
তারা ফিরে আসে রোজ রাতে, ভোর রাতে
বমি করে, গা মাজে থুতু ছেটাতে ছেটাতে—
তাদের কাউকে কাউকে সফল বলে, বিদূষী
বলে আজকের মুক্ত বাজার!
আর আমাকে বেশ্যা বলে পুরুষাঙ্গ হাজার।’ (পৃষ্ঠা ৫১-৫২)
বড়ো বুদ্ধিজীবী—‘…জানো ও মেয়ে, আমার বেঁচে থাকা, আমার হয়ে ওঠা,
আমার পারা-না পারা, আমার
বেঁচে থাকার প্রতিটি মুহূর্তে
একটু একটু করে বিবর্তিত হয়ে আমাকে
কবে যেন বারাঙ্গনা করেছে।
আমি পরিষ্কার বুঝলাম তুমি ও আমি
মৌলিক অর্থে, মৌলিক চিন্তায়,
মৌলিক বেঁচে থাকায় মূলত এক।
এক-এক।
শুধু তোমার আর আমার মূল্যের রয়েছে তফাত। (পৃষ্ঠা ৫৩)
লেখকঃ ব্রাত্য বসু
প্রকাশকঃ গাঙচিল , ২০০৬
মুল্যঃ ৭৫.০০ টাকা