গত পঞ্চাশ বছরে সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থা তথৈবচ। তাঁরা প্রদীপের নিচে জমাট অন্ধকারে আছে। এই অভিযোগ নির্দিষ্ট কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। কম বেশি সব সরকারই দায়িত্ব এড়াতে পারে না “তোষণ” শব্দটি মুসলমানদের ক্ষেত্রে সবৈব মিথ্যে। অথচ, তোষণ আজ বিভাজনের রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তবে ,তোষণ যদি সত্যি কোনো সরকার করত তবে মুসলমানদের উন্নতি হতো।আসলে ওসব কাগুজে বক্তৃতা। তাছাড়া, সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বাজেটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেই বরাদ্দকৃত অর্থ কোনদিনই খরচ তো হয় না ,বরং দুর্নীতিবাজদের পকেটস্থ করার ব্যবস্থা হয় ।এই “তোষণের” অপপ্রচারের দ্বারা সংখ্যাগুরু ভোটকে বিপরীত মেরুতে একত্রিত করা হচ্ছে। তাই কোনো তোষণ নয়, প্রকৃত উন্নয়নই হবে মুসলমানদের প্রতিষেধক। সত্যি কথা, মুসলমানেরা সবসময় যেকোনো ক্ষমতাসীন সরকারের “ভোটব্যাঙ্ক”।শুধু তাই নয়; মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার।
মতামত
-
-
যেখানেই বাঙালি সেখানেই ভোটে হিংসা, রক্তপাত, সন্ত্রাস। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ভারতের এই দুই রাজ্য ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে নির্বাচনে রক্তপ্রবাহের দৃশ্য সবচেয়ে বেশি। কয়েক বছর আগেও বিহারকে আমরা জঙ্গলরাজ বলতাম। কিন্তু হিংসার আবহে বাংলা এখন কয়েক যোজন এগিয়ে। ভারতের অন্য রাজ্যে যখন রক্তপাতহীন ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তখন বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য বা দেশে নির্বাচনে রক্তপাত অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বাঙালির এ বড় লজ্জা!
-
রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ, যাদের মধ্যে মানবতার প্রতি চেতনার প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে, সমাজের মাঙ্গলিক চিন্তার চর্চা করে তারা কিন্তু বামপন্থী রাজনৈতিক চেতনার প্রতি আস্থা রেখে আগামী দিনের সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। ব্রিটিশ শাসনাধীন উপনিবেশিক সময় কাল থেকে অধুনা পুঁজিবাদের আশ্রয় পুষ্ট বিশ্বায়নের যুগেও সেই ধারা বহাল আছে। সমস্যা হল, বামপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির নিবিড় পাঠ, পরিকল্পিত অনুশীলন আর স্বচ্ছ প্রয়োগ নীতির যে ব্যাপক চর্চার পরিবেশ দরকার, সেটাই গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
-
আজ যখন ধর্মের রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষ মানুষকে ঘৃণা, হিংসা ও খুন করছে, আজ যখন গরিবদের কথা বললে লোকে হাসাহাসি করছে, আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিধ্বংসকারি ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা মারছে, আজ যখন শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার ও সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই, প্রতি পদে পদে তারা বঞ্চিত, শোষিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে, আজ যখন মালিকদের বেশিরভাগই স্বৈরাচারী এবং তাদের সাথে দেশের রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত –সেখানে দাঁড়িয়ে মে দিবসের প্রসঙ্গ ও এদিনের তাৎপর্য আরও বেশি বেশি উপলব্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে ও পুঁজিবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নতুন করে আমাদের সকলকেই নিতে হবে।
-
আম্বেদকর হলেন সেই দেবদূত যিনি অপমানিত, অবদমিত শৃঙ্খলিত নারী জীবনের তমসাকে স্বাধীন ভারতে আইনের দ্বারা দূর করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার আগে থেকেই মনুবাদী শাষনব্যবস্থার অচলায়তন পর্বতগুলো ভাঙতে শুরু করেছিলেন। প্রকাশ্যে মনুস্মৃতি পুড়িয়ে পিতৃতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিবাদ করেন( ২৭ডিসেম্বর, ১৯২৭)।
কাস্ট ইন ইন্ডিয়া (১৯১৭) বই প্রকাশ, ‘মূখনায়ক’ পত্রিকা (১৯২০) ও ‘বহিস্কৃত ভারত’ পত্রিকা (১৯২৭) প্রকাশনার মাধ্যমে ‘জাতের নামে বজ্জাতি’-র জগদ্দল পাথরগুলো অপসারণে তাঁর সুচিন্তিত ও সুদূরপ্রসারী চিন্তাধারার প্রকাশ করতে থাকেন।নারীর সম্পত্তির উপর অধিকার ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে তাঁর অনলস প্রয়াস ততকালীন বিশ্বের সনামধন্য নারীবাদীদেরও উৎসাহিত করেছিল।
-
বাংলা সনের জন্মবৃত্তান্ত, রাজা শশাঙ্ক না সম্রাট আকবরের আমলে, সেই তাত্ত্বিক আলোচনা না হয় অন্য অবসরে বাঙালি বৈঠকি মেজাজে করা যাবে। বরং আজ বৈশাখের আগমনে আসুন সবাই একসাথে গলা মেলাই — এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনীতির ভেদাভেদ ভুলে বাঙালির বৃহত্তর পরিবার আজ মেতে উঠেছে বর্ষবরণ পালনে।
-
অধিকাংশই আমারই মতো অজ্ঞানতার দোষে দোষী। জাতীয় সঙ্গীতে ভুল উচ্চারণ করার অর্থ দেশের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো।
-
রমাযান মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে নানাবিধ পুরষ্কারের ডালি নিয়ে হাজির হয় ফি বছর। রমাযান মাস মাগফিরাতের মাস। রমাযান মাস তনুমন শুদ্ধ করার মাস। এই মাস জং ধরা ভ্রাতৃত্বে শান দেয়ার মোক্ষম মৌকা। শ্রষ্ঠা ও সৃষ্টির মধ্যে বিরাজমান ভালোবাসার বন্ধন ‘সংযম’ অণুর বিভিন্ন পরমাণুর সক্রিয় অংশগ্রহণে আরও শক্তিশালী হয় এই মাসেই।
-
চেতনা টিম অভিন্ন দেওয়ানি বিধি – বা – “এক দেশ এক আইন” — বিষয়টা কি হচ্ছে আসলে? অনেকেরই শুনে ভালো…
-
ভগবান দাস (দ্রষ্টব্য: যদিও ভগবান দাস এই নিবন্ধটি ২০০১ সালে লিখেছিলেন, কিন্তু এতে তিনি দলিতদের ত্রুটি এবং দুর্বলতাগুলি চিহ্নিত করেছিলেন…