ফের মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল জেলা শহর বহরমপুরের কারবালা ওয়াকফ সম্পত্তি জবর দখলের। সেই সাথে অভিযোগ উঠল রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডের সিইও -র বিরুদ্ধে এই জবর দখলের ষড়যন্ত্রে সামিল হওয়ার। বহরমপুর সংলগ্ন শিবডাঙ্গা বদরপুর মৌজায় অবস্থিত কারবালা কবরস্থান ওয়াকফ সম্পত্তি । ইসি নং ১২৩৭৭। যে জমি দখলের অভিযোগ তার সিএস, আরএস রেকর্ডে খতিয়ান নং ৩৭৭। দাগ নং ২৩৩। মোট জমির পরিমাণ ১০.৬০ একর । ২০০২ সালে ১০.৬০ একর জমির মধ্যে ৫.৪০ একর জমির খতিয়ান নং করা হয় ১। কিন্তু দাগ নং অপরিবর্তিত থাকে ২৩৩। সেই জমির উপর ২০০২/৩ সালের দিকে ১২৮ খানা দোকান ঘর নির্মাণ করে তৎকালীন জেলা পরিষদ।
প্রবন্ধ
-
-
বালাপোশ তৈরীর কৌশল সযত্নে সঞ্চিত রইল আতর হোসেন খানের হৃদয়ে। বংশ পরম্পরায় তা প্রবাহিত হতে লাগল।
আতর হোসেন খান, আমির হোসেন খান, সাখাওয়াত হোসেন খান, স্ত্রী – চাঁদ বিবি(বেওয়া), ছেলে -সারাফাৎ হোসেন খান, মেয়ে-ববি বেওয়া, রুমি খাতুন, সাবিনা বেগম। -
বিতর্কিত ও অবিসংবাদিত, নন্দিত ও নিন্দিত এই মহান রাজনীতিবিদের জীবন ও রাজনৈতিক চিন্তাধারা আজও শিক্ষিত সমাজের একটি বড় অংশের মধ্যে অস্পষ্ট থেকে গেছে। প্রয়োজনমতো কেউ কখনো তাঁর প্রশংসা করে, কেউ সমালোচনা—এমনকি নিন্দাও।
-
এবারের বন্যায় ফেনীতে আট লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনী শহরসহ পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়াতে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে, সদর উপজেলা, সোনাগাজী ও দাগনভূঞাতে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অবনতির দিকেই রয়েছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় মানুষের দুর্ভোগও কমছে না।
-
-
কেন তাদেরকে গ্রাম ও নিজের রাজ্য ত্যাগ করতে হয়? আর সেখানে গিয়ে তাদের কপালে কী জোটে? উত্তর পাবেন স্ট্যানের নির্ভীক আত্মত্যাগে।
-
এসব কথা ঠিক, কিন্তু এত পঙ্গপালের ভিড়ে প্রকৃত প্রতিভা কি মারা যাচ্ছে না ? কলকাতায় বসবাস না করলে, টাকা না থাকলে, বই ছাপাতে না পারলে, সম্পাদককে শরীর বা টাকা না দিতে পারলে —সেই কবি যে এই সমাজে মানসম্মান পাবেন একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কষ্ট হয় তখনই, যখন রবীন্দ্রসদনে দাঁড়িয়ে সত্তর দশকের বহুল প্রসবা এক কবি আমাকে বললেন, নিজের পত্রিকায় কার লেখা ছাপব, কার ছাপব না সেসব আমার ব্যাপার। নিজের পাঁঠা আগায় কাটব না গোড়ায় কাটব তা আমিই ঠিক করব।
-
বখতিয়ার বিহার ও পরবর্তীতে বাংলায় অভিযান চালিয়েছেন সত্য এবং সেটা তিনি করেছেন বৌদ্ধদের আহবানে। সেটা করতে গিয়ে তাঁর বাহিনীর হাতে উদন্তপুরী ও বিক্রমশীলা মহাবিহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে বহু মানুষও মারা গিয়েছিল। কিন্তু বখতিয়ার ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধবংসের সংগে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। বরং বখতিয়ারের সময় ও পরবর্তী মুসলিম শাসনে নালন্দা সহ অনেক বৌদ্ধ বিহারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্বের মতোই জ্ঞানচর্চা চলেছিল। কিন্তু দেশীয় ও বিদেশীয় রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও মূলত অষ্টম শতকের শেষভাগ থেকে নালন্দার গৌরব-সূর্য ধীরে ধীরে অস্তমিত হতে থাকে, বিশেষ করে ৮১০ সালে বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রতিষ্ঠার পরই।
-
যাই হোক, সংস্কৃত থেকে জাত ভারতীয় অন্যান্য ভাষার মত বাংলা ভাষাতেও কথ্য স্তরে পানি শব্দ একসময়ে সার্বজনীনভাবে প্রচলিত ছিল। তাছাড়া এটাও বোধ হয় জানা যে, ‘জল’ যেমন সংস্কৃত উৎসের, তৎসম শব্দ: ‘পানি’-ও তেমনি সংস্কৃত উৎসের, তবে তদভব। ‘পানীয়’ থেকে পানি। তা না জেনেই এক শ্রেণীর হিন্দু বাঙালি ‘পানি’-র উপর বিদ্বেষ নিয়ে বসে থাকেন। ‘যবন’ স্পর্শদোষে পানিকে যেন কুল হারাতে হল। কিন্তু অভিধানে যখন এই বিকৃত মানসিকতার পরিচয় পাই তখন দুঃখ হয় বৈকি। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, বেশীরভাগ হিন্দু অভিধান-প্রণেতার অভিধানেই জল শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ‘বারি’ ‘সলিল’ ইত্যাদি শব্দের দেখা পাওয়া গেলেও ‘পানি’ কথাটির দেখা পাওয়া যায় না বললেই চলে। এটা অচেতন নয়, সচেতন বর্জন- এটাই বিপদের কারণ। মুসলিম শাসকরা চৌদ্দঘাটের পানি পান করে বাংলায় এসেছিলেন। তাই তাদের উত্তরসূরীরাও পানি দখল করলেন আর সেই দুঃখে হিন্দুরা পানি ছেড়ে জল ধরলেন।
-
বর্তমানে মালদা মুর্শিদাবাদের পোলু চাষ একেবারে লুপ্ত। লোকবিশ্বাস টোটকা মন্ত্র এই সব হারিয়েছ সময়ের বিবর্তনে। এখন আর এসবের চর্চা নেই। এসব গল্প কেউ বলতেও পারে না। এক দুই দশকের মধ্যে মালদা মুর্শিদাবাদের রেশম চাষ সম্পূর্ণভাবে লুপ্ত হয়ে যাবে। চাষীদের বিশ্বাস সংস্কার যা কিছু আছে তাও সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে যাবে। গল্পকথা সংস্কারগুলি সংরক্ষণ করে না রাখলে আগামী প্রজন্ম হয়তো অতীত ইতিহাস সম্পর্কে বা তুঁতচাষা মানুষের জীবন সংস্কার চর্চার কথা জানতে পারবেনা ।