শ্রেণীর সঙ্গে বর্ণ অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। তাই শ্রেণী ব্যবস্থাকে আঘাত না করে অর্থাৎ উৎপাদনের বিষয় ও উপকরণের মালিকানা তথাকথিত নিম্নবর্ণের মানুষের হাতে হস্তান্তরিত না হলে এবং সাথে সাথে শোষিত নিম্নবর্ণের মানুষ পরিপূর্ণ রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রাপ্ত না হলে বর্ণ-ব্যবস্থা নির্মূল করা অসম্ভব বিষয়।
মতামত
-
-
চাষিরাও জোর গলায় প্রতিবাদ জানাতে পারেন না যে, তোদের ঝাঁ-চকচকে অন্তঃসারশূন্য সভ্যতা আমাদের জন্যই এত রঙিন। আমরা অন্ন তুলে দিলে তবেই তোদের মুখে উঠবে, নয়তো গেরস্তের আঙিনায় খাবারের আশায় লেজগুটিয়ে বসে থাকা সারমেয়টি হয়ে বসে থাকতে হবে তোদেরকে। এসব বলে ক্ষোভে ফেটে পড়তে পারেন না তারা। কারণ পেটে ভাত নেই। গলায় আওয়াজ নেই। রোদে পোড়া, ঘামে ভেজা, ক্ষুধার্ত দুর্বল শরীরে ক্ষয়।
-
কিশোরগঞ্জ এলাকার আরেকজন মানুষ কেউ কেউ শুনেছেন, তিনি হারিয়ে গিয়েছেন, রেবতী মোহন বর্মণ। তিনি ছিলেন কমিউনিস্ট নেতা। তিনি আর এই নীরদ সি চৌধুরী। এরা পাশাপাশি গ্রামের মানুষ, দুজনের বাবা ওকালতি করতেন, দুজনেরই অবস্থান বেশ মধ্যবিত্ত। কিন্তু রেবতী মোহন বর্মণের নাম তো আমরা শুনি না। কারণ, রেবতী মোহন বর্মণকে তো আমরা আধুনিকও বলি না, বলি না এজন্য যে তিনি কমিউনিস্ট ছিলেন।
-
কে এম রাকিব সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিয়ে লেখাটা শুরু করা ভালো।প্রিয় পাঠক, এইমাত্র ক্লিক করে বর্তমান যে লেখাটিতে আপনি ঢুকে পড়লেন,…
-
এই চাকরিহারাদের অসহায়তাকে বিদ্রূপ করে, বেকারদের দুঃখমোচনের মেকি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট রাজনীতির খেলায় জেতার অঙ্ক কষার আগে মানুষের বোধ-বুদ্ধি ও সচেতনতার কাছেও কিন্তু জবাবদিহি করতেই হবে। সচেতন মানুষ এতদিনে নিশ্চয় ভোট রাজনীতির পাটিগণিতের শেষ উত্তরটা জেনে গেছে, নির্বাচন আসলে একটা সুবিধাবাদকে সরাতে গিয়ে আর একটা সুবিধাবাদেরই জন্ম দেওয়া।
-
শ্রমিক-কৃষকদের মেহনত ছাড়া কোনো সমাজ চলতেই পারে না। ফলে শ্রমিক বা কৃষক হিসেবে তাদের গর্ববোধ করাই উচিত। শুধু বড়লোকশ্রেণির বাবু লোকেরা বা “ভদ্রলোকেরা” মেহনতি জনগণকে “চাষা” বা “লেবার-ক্লাস”, “কুলি/মজুর” এসব বলে ব্যঙ্গ করে। অথচ তারা কোনো খাদ্য- বস্ত্র-বাসস্থান কিছুই উৎপাদন করতে পারে না।
-
সেলের বাজারে ঘুরে একটা প্রশ্ন তাড়া করতে লাগল আমাদের দুই বন্ধুকে দেশের একটা বৃহত্তর অংশের গরিব,অসাহায় সাধারণ মানুষের জন্য সেলের বাজার কতটা প্রাসঙ্গিক! কতটা লোক ঠকানো কারবারি।
-
কোনো কারণে যদি কেউ শোষিত, নির্যাতিত হয়, এবং যদি তার সুরাহা নিয়ে সমাজে কোনো শক্তি কার্যকরী কিছু না করে, তবে সেই শোষিতেরা, নির্যাতিতেরা এককাট্টা হয়ে লড়ার পথে যেতে বাধ্য হয়। যেমন ধরা যাক আমেরিকায় কালো চামড়ার জনগণ একজোট হয়েছে। বারবার লড়াই-এ নেমেছে। ভবিষ্যতেও নামবে যতদিন বর্ণবিদ্বেষ, কালো চামড়ার মানুষদের প্রতি ঘৃণা ইত্যাদি নোংরামো সমাজে থাকবে।
-
এই আকাশে নরেদের চলাচল বেশি, নারীর কলম কম অথবা নারীকে জায়্গা দেওয়া হয়েছে অসম। এই অসম জাগায় নিজেদেরকে যাঁরা অসীম পালকে ভরদিয়ে সীমাহীন ব্যর্থতা আর স্বার্থক জীবনের কলম ঘোরান তাঁরা নারী।
-
হিন্দু খাতরেমে হ্যায়… তাই মুসলমানদের তাড়াতে না পারো, হত্যা করতে না পারো , রাজনৈতিক ভাবে শূন্য করতে না পারো, সাংস্কৃতিক ভাবে হিন্দুত্ব করে তোলো। বাঁচতে হলে হিন্দুত্বের নিয়মাবলী মেনে বাঁচো।