কলম কথা বলে, কলমের সঙ্গে কালির ছলছল ছলকানি ছিলো দোয়াতে।কাঠি, সরকাঠি, পালক আর ওদিকে মাটি, দেওয়াল, তালপাতা থেকে কাগজ এবং শেষমেশ আঙুল আর কিবোর্ড কথা বলছে। কত কথা কবিতা বয়ে নিয়ে চলছে এই কালি কলম।লেখোনি চলে, দাঁড়ায়। নীরবে বাহির ভিতর আনচান করে ওঠে কখনো ব্যথায় কখনো কথায়।
কারা বলেন এ কথা? সকলেই জানে তাঁরা লেখক।জানতে খুব ইচ্ছে করে এই লেখকেরা কারা? কেমন তাদের জীবন আর তারা কি করেইবা যাপন করেন? কখনো জিজ্ঞেস কখনো বিস্ময়!
কি আশ্চর্যের কথা, সেই সসীম নারীর আপনকথা পড়তে পারলে পাঠকে বপকা বনে যায় সব সত্য সুন্দর হয়ে যাবার কারণে।পা্ঠক চুপ থাকে কেউ কেউ হতাশ হয়ে পাশ ফেরে।
অবিভক্ত বাংলায় মুসলিম নারী লেখক, কবি, সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, ঔপনিবেশিক চচ্চড় করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো বাড়ন্ত বয়সের মতো কিন্তু বিভক্ত বাংলায় হাতে গোনা কয়েকজনকে দেখা যায়। তাঁরা সমাজকে চেনান তাঁদের কথা দিয়ে, তাঁদের যাপনের ও জীবনের নানাবিধ বিচিত্র অভিজ্ঞতায় ভর করে। আর মজার কথা, মেইন স্ট্রিম বাজারি বই পত্রে, পত্র-পত্রিকায় এঁদের অনেকেই সেরকমভাবে উপস্থিত নয়।তবে অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। আশার কথা, তাঁরা বাংলার সাহিত্য সংস্কৃতিকে নতুন মাত্রায় সমৃদ্ধ করছেন।
মীরাতুন নাহার প্রাবন্ধিক, পত্রিকা সম্পাদক, আফরোজা কয়েকটি ছোটো গল্পের কথায় আছেন, আসরফি খাতুন পত্রিকা সম্পাদক, গল্পকার প্রাবন্ধিক, সালেহা খাতুন প্রাবন্ধিক, কাজী মীরা গল্পকার, আজরা বানুকবি, মণিরা খাতুন কবি, সরবানি মুস্তারি কবি, মৌলুদা খাতুন গীতিকার, সুফিউন্নেসা প্রাবন্ধিক সাংবাদিক, তরিকাতুননাহার ঔপন্যাসিক এবং কবি, সেরিনা জাহান প্রাবন্ধিক, জিনাত ইসলাম কবি, সোনালী বেগম কবি, বেগম শামসুননাহার সফি কবি, নূরজাহান কবি, খদেজা কবি, হামিদা কাজী গপ্লকার ঔপন্যাসিক কবি প্রাবন্ধিক, সৈয়দ তানভির নাসরিন প্রাবন্ধিক, জাহানারা বেগম গল্পকার, কিশোয়ার জাহান প্রাবন্ধিক, নারগিস প্রবন্ধিক, গদ্যকার।রোসেনারা খান প্রবন্ধিক, আঞ্জুবানু কবি, ওয়াহিদা রহমান সাহিত্যিক প্রবন্ধিক, সেরিনা খান কবি, সামসুন নাহার কবি।আইরিন সবনম প্রাবন্ধিক।
ইহাদের ঘরবাড়ি পশ্চিম্বঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। এঁদের সঙ্গে আমি আয়েশা খাতুন একজন গল্পকার, কবি, প্রবন্ধিক, ঔপন্যাসিক হিসাবে বলতে পারি।মুসলিম নারী লেখক বলে কিছু হয় না, লেখক তো লেখকই।তবুও কোথাও কিছুতো সমান আর সমানতার কথা বলে।তাই একটু মেঘের বিজলিবাতি দিয়ে সাজালাম।