রায়হান ভর দুপ্পহারে বাগানে একলাই ঘোরাঘুরি কোরছিলো।পিছাদিকে ঘুইরা দ্যাখে ঐ বেটিছ্যালাট্যা খাড়ো হয়্যা আছে। চোখ্খের পলক না ফ্যালা তাকিয়্যা আছে। রায়হানের ভিতরখ্যান কেমন য্যানো শিরশিরিয়্যা উঠলো। কত্ত বেটিছ্যালা দ্যাখেছে এম্নি তো কুনুদিনি হয় নি। খানিক অ্যাগ্গ্যা অ্যাইস্যা কহিলো,”তোর নাম কিরে ? “রায়হান” তো? চল ওই খ্যাড়ের পালাটায় ঢ্যাসা দিয়্যা বোসি ।” শুন্যা তো ঘ্যাবরা গ্যালো রায়হান। ফের কহিলে ,” হাঁমার নাম রাসু।” চোখ ঘুরিয়্যা ঘুরিয়্যা ম্যাল্ল্যাই কথা কোহ্যা গ্যালো। আর রায়হান কথা-গালা গিল্যা গ্যালো।
Latest News
-
-
সালটি ১৯৭২, তিনি কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরির মেঝেতে রাশি রাশি লিটল ম্যাগাজিন অনাদরে পড়ে থাকতে দেখে খুবই মনোকষ্ট পেয়েছিলেন। এই ছোট ছোট পত্রিকা করুণ দশা তথা শেষ পরিণতি ফেলে দেওয়ার কথা জানতে পেরে তাঁর মন প্রচণ্ড ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছিল। বিস্তর ধুলোয় লুটোপাটি খাওয়া লিটল ম্যাগাজিনের চরম দুর্দশার ক্ষোভ তার মনে জন্ম নিয়েছিল লিটল ম্যাগাজিন রক্ষণাবেক্ষণ ও সংগ্রহের জেদ। এই জেদের শেষ পরিণতি হয়েছিল তাঁর ট্যামার লেনের পৈতৃক নিবাসে একতলার ছোট ছোট দুটো ঘরে। ৭৫০টি বই নিয়ে ১৯৭৮ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠা করেন লিটল ম্যাগাজিন লাইব্রেরি ও গবেষণা কেন্দ্র, যা পরবর্তীতে লিটল ম্যাগাজিনের বিশাল সংগ্রহশালা হয়ে উঠেছিল সমস্ত পাঠকদের কাছে।
-
আত্মিকসংকট থেকে আত্মঅন্বেষণ, দগ্ধচৈতন্যের হাহাকার, মানুষের সামাজিক অবস্থান ও আইডেন্টিটির ক্রাইসিস ফুটে উঠল। মানবিক সম্পর্কের অবক্ষয়ও প্রতিফলিত হল। অর্থনৈতিক শোষণের প্রেক্ষাপট মনন দক্ষতায় রূপ দিলেন। এক একটা ছবিও যেন কবিতার ভাষা পেয়ে গেল। প্রতিটি চিত্রকল্পই নিজস্বতা অর্জন করল।
তাঁর কবিতার কথনভঙ্গিই বলে দেয় বাংলা ভাষায় তা কতটা নতুন স্টাইল। সিনেমা ও কবিতায় তিনি সেই ভাষারই খোঁজ করেছিলেন। প্রথমত তিনি সময়কে নিয়েই বেশি ভেবেছিলেন। অর্থাৎ সময়ের কী চাহিদা ছিল, সময়ের কী স্বর ছিল, কেমন অভিক্ষেপ দরকার তা তিনি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। আবার এই সময়ের উত্তরণও তিনি চেয়েছিলেন সুররিয়ালিজমের মাধ্যমে। সময়ের কাছেই তিনি মানুষের সামাজিক ও পারিবারিক অবস্থান, মানুষের দেশকাল অর্থনীতির অবস্থাও অনুধাবন করেছিলেন।
-
কালীপদ বাবু কেঁদে কেঁদে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে হাত দুখানি উপরে তুলে বিধাতাকে বলছে, এ তোমার কেমন বিচার। স্ত্রী,পুত্র কন্যাকে নিয়ে গেলে।শুধু বাঁচিয়ে রাখলে আমায়।এই যদি তোমার বিচার হয়, কেনো পাঠিয়ে ছিলে আমায় এই পৃথিবীতে!
-
হিন্দুত্ত্ববাদী ইতিহাসচর্চায় প্রাচীন ভারতের হিন্দু সংস্কৃতির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে, তার ভালো দিকগুলো দেখাতে সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক হত্যা, অন্ধবিশ্বাস, জাতিভেদ প্রথা, উচ্চবর্ণ দ্বারা নিম্নবর্ণের মানুষের উপর অত্যাচারের কথা বিন্দুমাত্র দেখানো হয়নি। সুতরাং সংঘ পরিবারের একপ্রকার বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানেই লেখক দেখিয়েছেন, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে সংঘ পরিবারের ইতিহাস পক্ষপাতদুষ্ট। এমন অনেক উদাহরণ লেখক তুলে ধরেছেন, যেটা প্রমাণ করে প্রাচীন সময় থেকেই ভারতের ঐতিহ্য ছিল সমন্বয় ও সম্প্রতির।
-
যেখানেই বাঙালি সেখানেই ভোটে হিংসা, রক্তপাত, সন্ত্রাস। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ভারতের এই দুই রাজ্য ও প্রতিবেশী বাংলাদেশে নির্বাচনে রক্তপ্রবাহের দৃশ্য সবচেয়ে বেশি। কয়েক বছর আগেও বিহারকে আমরা জঙ্গলরাজ বলতাম। কিন্তু হিংসার আবহে বাংলা এখন কয়েক যোজন এগিয়ে। ভারতের অন্য রাজ্যে যখন রক্তপাতহীন ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়, তখন বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য বা দেশে নির্বাচনে রক্তপাত অতি স্বাভাবিক ঘটনা। বাঙালির এ বড় লজ্জা!
-
প্রবন্ধ
আর এস এস কি গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় আস্থা রাখে?
by Abu Siddikby Abu Siddikরাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ রাষ্ট্রের প্রতি সংখ্যালঘুদের পূর্ণ আনুগত্য দাবি করে।সংখ্যালঘুদের শুধুমাত্র ভারতীয় সংবিধান ও আইন ব্যবস্থার প্রতি আনুগত্য থাকলেই হবে না। আর এস এসের শাখাগুলিতে যেভাবে প্রার্থনা ও প্রতিজ্ঞার পাঠ করানো হয় তা থেকেই স্পষ্ট হয় যে হিন্দুত্ব ও ভারতীয় জাতীয়তাবাদ একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ।এরকমভাবেই মুসলিম লিগও ইসলামের সঙ্গে জাতীয়তাবাদের ইস্যুটিকে একত্রিত করেছিল। খুব তাৎপর্যপূর্ণ কথা এই যে আর এস এসের প্রার্থনা ও শপথ পাঠের বক্তব্যগুলি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোকে প্রকাশ্যে লঙ্ঘন করে। আর আমরা সবাই স্বীকার করি ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মূল বৈশিষ্ট্য।এখানে একটি কথা খুব তাৎপর্যপূর্ণ। সংবিধান বিরোধী কাজের জন্য অন্য সব দলের সদস্য সদস্যাদের হয় জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে আর না হয় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারাতে হচ্ছে, সেখানে আর এস এসের লোকেরা প্রকাশ্যে দেশের সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের দেশব্যাপি শাখার কাজকর্মও সমানতালে চলছে।
-
‘লাশটা এই গর্তে ধপ করে ফেলে দাও ‘, তারা দূর থেকে চেঁচিয়ে বলল। কিন্তু ভিভা তা করল না। সে সাবধানে লাশটি গর্তের মধ্যে নামাল। তার মেয়ে যখন মারা যায় তার চোখের জল সবটা শুকিয়ে গিয়েছিল। এরপর হয়তো আমার পালা, সে যখন এমনটা ভাবছে গলায় কিছু একটা দলা পাকাচ্ছে কিন্তু মুখ শুকিয়ে কাঠ হওয়ায় এই অস্বস্তি দূর করতে খানিক লালাও গিলে উঠতে পারছে না।
-
‘বহু প্রথিতযশা প্রাবন্ধিক ও মনস্বী ব্যক্তি সে কাজ [বিদ্যাসাগরের জীবনকথা লেখা] ইতিপূর্বে করেছেন। কোনো তাত্ত্বিক বিতর্কের জটিলতার মধ্যে না গিয়ে আমি সহজসরলভাবে এই ঋজু মানুষটির চরিত্রমহিমা বলার চেষ্টা করেছি…আজকের দিনের প্রতিনিয়ত স্খলন ও পতনের মধ্যে যখন ব্যক্তির মেরুদণ্ড ক্রমশই নানা আঘাতে ও প্রলোভনে বাঁকা হতে থাকে তখন এই বিদ্যাসাগরে চরিত্রের রত্নস্পর্শে মেরুদণ্ড সোজা করে চলবার শক্তি পাওয়া যায়।’
-
আত্মীয়স্বজন না থাকা মালঞ্চের প্রৌঢ় অধ্যাপক মানুষটির মধ্যে একটা নাড়ির টান অনুভব করে সে। বারবার মনে হয় এই একা মানুষটিকে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। সকালেই গাড়ি নীপার। শেষবারের মতো মালঞ্চে গেল নীপা। প্রণাম করতেই স্যার বললেন– “তোর জন্য একটা পলাশের চারা বনসাই করা আছে। ওটা নিয়ে যা। আমার তো আর ফেরা হলোনা । আমার প্রতিনিধি হয়ে ওটাই ফিরে যাক ও দেশে। হয়ত বুঝতে পারবি একদিন ওর মাঝে কী বিশাল এক বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে।”