আত্মীয়স্বজন না থাকা মালঞ্চের প্রৌঢ় অধ্যাপক মানুষটির মধ্যে একটা নাড়ির টান অনুভব করে সে। বারবার মনে হয় এই একা মানুষটিকে নিয়ে যেতে পারলে খুব ভালো হতো। সকালেই গাড়ি নীপার। শেষবারের মতো মালঞ্চে গেল নীপা। প্রণাম করতেই স্যার বললেন– “তোর জন্য একটা পলাশের চারা বনসাই করা আছে। ওটা নিয়ে যা। আমার তো আর ফেরা হলোনা । আমার প্রতিনিধি হয়ে ওটাই ফিরে যাক ও দেশে। হয়ত বুঝতে পারবি একদিন ওর মাঝে কী বিশাল এক বৃক্ষ স্থির হয়ে আছে।”
Latest News
-
-
একটু পরে তাকিয়ে দেখলেন পড়ন্ত বিকেলের লাল সূর্যের আলোয় পৃথিবীটা ভরে গেছে। কিন্তু এ আলোয় কেমন একটা জ্বলন্ত আগুনের বিগ্রহ। হ্যাঁ, সেটা ভারতবর্ষের মানচিত্র।যেন মানচিত্রের বিশেষ বিশেষ অংশ জ্বলছে। গুজরাত জ্বলছে, আহমেদাবাদ জ্বলছে।আসাম জ্বলছে ।সেই আগুন ক্রমশ পশ্চিম বঙ্গের সীমান্তের দিকে ধেয়ে আসছে ।তাহলে কি, গোটা ভারতবর্ষটাই জ্বলবে।
-
তাঁর মতে, রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী শ্রেণী হল নিম্নবর্গ, কিন্তু উচ্চবর্গের মানুষ এযাবৎকাল ইতিহাস লিখেছেন, এবং ইতিহাসের রসদ তাঁরাই জুগিয়েছেন। ফলে উচ্চবর্গের ইতিহাস হয়ে উঠেছে জাতীয় ইতিহাস চর্চার বিশেষ নমুনা, যেখানে নিম্নবর্গের ইতিহাস উপেক্ষিত হয়ে এই প্রয়াস একটি অলিখিত আদিকল্পের জন্ম দিয়েছে। গুহর মতো তুখোড় ইতিহাসবেত্তারা তথাকথিত এই জাতীয় ভাবনার মিথ ভেঙে ইতিহাস চর্চার নবায়ন ঘটিয়েছেন সাবলটার্ন স্টাডিজের মধ্য দিয়ে। নিপীড়িতের ইতিহাস, সাহিত্যের উত্তর-ঔপনিবেশিক পাঠ, অথবা রাজনীতি, নৃতত্ত্ব, শিল্পের ইতিহাস বা সংস্কৃতিপাঠ—সবেতেই এই ‘মানবচেতনা’র আবিষ্কার করেছেন রণজিৎ গুহ। তাঁর মতে ক্ষমতা বৃত্তের বাইরে থাকা শ্রমিক, কৃষক, নিম্নমধ্যবিত্ত, গ্রাম ও শহরের গরিব জনতা, আদিবাসী, নিম্নবর্ণ, মহিলা শ্রেণীর ভূমিকা বা অবদানের উল্লেখ যথাযোগ্য ভাবে নির্মিত হয়নি। এই প্রথাগত ইতিহাস চর্চার গতিধারা বদলে দিয়েছেন ।
-
খুব বুদ্ধি ছিল ওর লেখাপড়ায়। ইংরেজিতে সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেত। ইংরেজি বানান নির্ভুল বলতে পারতো।বাবা নাম রেখেছিল গোপীনাথ। মেজদাদা অনেক পরে সেই নাম বদলে দেয়। বড় দুই ভাই-এর নামের সাথে মিলিয়ে নাম দেয় সুমন্ত। তবে মা ডাকতো হীরে মাণিক আর বাবা ডাকতো মানু। মা বাবা দুজনেই প্রয়াত।
এবার দলের নেতা নিরঞ্জন জিগ্যেস করে : এখানে কী মতলবে ঘোরাঘুরি করছো?
এবার ক্ষীণ কণ্ঠে সে বলে : আমি ছেলেধরা লই গো। হেঁটে হেঁটে সিউড়ি থেকে এই পাতা ডাঙ- এ এলম। বাসঅলা পয়সা না দিলে নামিন দেয়। ব্যাডা খিদে পেয়েঁছে , তমরা কুছু খেতে দেবে?
-
ব্যক্তিগত সুখ দুঃখ এতটা সর্বজনীন ভাবে
ও ভঙ্গিতে ফুটে ওঠে শব্দে শব্দে অক্ষরে অক্ষরে
আনুপূর্বিক। -
ধুলোমাখা শরীরের গন্ধে মদির হয় মেয়েটার মন
নাগরদোলা থেকে নেমে মেয়েটি সুবাস সহাস্যে
জিজ্ঞেস করে “তুই কি চুলে মাস্টার্ড ওয়েল দিস”। -
অঙ্কুরোদগম থেকে আজ পাতা ঝরার মরশুম
কোথাও নিরপেক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারিনি
কেবল ধর্মনিরপেক্ষতা খেয়েছে মানুষ। -
ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, আইন, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব এমন কোন বিষয় নেই যে তাঁর সংগ্রহে নেই। শুরুর সময় থেকে সাজানো রয়েছে সকল গেজেটিয়ার, অ্যাটলাস ভলিউম, একাধিক বিষয়কেন্দ্রিক মানচিত্র (আমার সচক্ষে দেখা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ তাঁর বাড়িতে আসতেন শুধুমাত্র মানচিত্র দেখবার জন্য, আমার ধারণা তাঁর সংগৃহীত মানচিত্রের নমুনাগুলি একত্রিত করে একটা গ্রন্থ রচনা সম্ভব) প্রভৃতি। তাঁর সংগ্রহের ছোট একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, তিনি এমন কিছু ঐতিহাসিক নথি আমাকে দেখিয়েছিলেন, যেগুলি প্রায় জীর্ণ। ব্রিটিশ আমলে ইতিহাসসাক্ষ্য ঐতিহাসিক ব্যক্তির সই ও স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন নথি, যা আমাকে বাক্রুদ্ধ করেছিল।
-
ভাই ভাই যুযুধান মধ্যযুগীয় রক্তখেলায়!
শেষ রাতের আঁধার আর পূবালীর মাঝে
সেহেরির অন্ন মুখে, বোধের গভীরে
আজ আমি তোমাকেই দেখেছি রবীন্দ্রনাথ! -
ইচ্ছে করেই যাই নি কোথাও পেয়েও আমন্ত্রণ
আজকে শুধু তোমার সাথে
নিভৃত যাপন ।