আবুল কাশেম মন্ডল : এক কিংবদন্তি কবিয়াল

কবিগান
কবিগান লোকসঙ্গীতের একটি বিশেষ ধারা। এই কবিগানের আসরে লোককবিরা প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে থাকেন। প্রতিযোগিতা হয় সাধারণত দুটি দলের মধ্যে। সমানতালে পাল্লা দেন একে অপরকে। হাজার হাজার দর্শক-শ্রোতার সম্মুখে।প্রত্যেক দলের নেতৃত্বে থাকেন একজন ‘কবিয়াল’। তিনিই গায়ক। মুখে মুখে পদ রচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে সূরারোপ করে থাকেন। তাঁর সহকারী গায়কদের বলা হয় ‘দোহার’। যাঁরা তাঁদের নেতার কথাগুলোর পুনরাবৃত্তি করেন মাত্র।

আবুল কাশেম মন্ডল
আজকের লেখায় আমরা একজন কিংবদন্তি কবিয়ালের কথা আলোচনা করবো। মুর্শিদাবাদের তিনজন স্বনামধন্য কবিয়ালের নাম উচ্চারণ করতে হলে যাঁর নাম আসবেই, তিনি হলেন আবুল কাশেম মন্ডল। জন্ম হরিহরপাড়ার নতুন রমনাপাড়ায়। স্কুল সার্টিফিকেট অনুযায়ী জন্ম ১লা জানুয়ারি ১৯৪৩। যদিও তিনি মনে করেন তাঁর পিতা স্কুলে ভর্তির সময় তাঁর বয়স বছর দু’য়েক কমিয়ে দিয়েছিলেন।

সংকল্প
একদিন চুপিচুপি বাড়ির কিষান ফেরেসতুল্লার সঙ্গে বাল্য বয়সে গিয়েছিলেন আলকাপের আসরে।তাঁদের গ্রামের কয়েকটি গ্রাম পরে, শ্রীপুরে। তখনও তিনি স্কুলে ভর্তি হননি। সময়ের পূর্বেই পৌঁছে যান। অধিক কৌতূহল নিয়ে ঢুকে পড়েন তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ আলকাপ শিল্পী রিয়াজুদ্দিনের ডেরায়। তাঁরা তখন খানাপিনায় ব্যস্ত। বালক কাশেমকে ডেকে নেন খেতে। খাওয়া হলে দু’আনা পয়সা দিয়ে বলেছিলেন ফিতা এনে দিতে। কাশেম ছুটে যান দোকানে। দামদর করে ফিতা কিনেন ঠিকই কিন্তু পকেটে হাত দিয়ে দেখেন পয়সাটা নেই। ভয়ে ফিরে আসতে পারেননি। রিয়াজুদ্দিন সাহেব লোক পাঠিয়ে ধরে আনেন। ঘটনা শুনে তাঁর মনে হয় পয়সাটা সে খেয়ে নিয়ে এখন মিথ্যে কথা বলছে। সটান কষে দেন একটা থাপ্পড়। বালক কাশেম উল্টে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। কয়েকজনের শশ্রুষায় সুস্থ হয়ে উঠেন এবং আসরে বসে গান শোনেন। সেদিনই তিনি প্রতিজ্ঞা করেন, তিনিও একদিন কবিয়াল হবেন এবং রিয়াজুদ্দিন সাহেবকে প্রতিযোগিতায় হারাবেন।

লেখা শুরু
শঙ্করপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন অত্র এলাকার নামকরা স্কুল “রুকুনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে”। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করে নবম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে পড়া ছেড়ে দেন। প্রত্যেক শ্রেনীতে তিনিই প্রথম হতেন। অষ্টম শ্রেণীতে পড়া কালীন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে রুকুনপুরে একটি গানের আসরে উপস্থিত হন। সেখানে তখন চলছিল রাম-রাবনের পালা। শোনার পর তাঁর মনে হল তিনিও ও তো এভাবে গান লিখতে পারেন। অষ্টম শ্রেণী থেকেই শুরু হল লেখা।

গুরু
কোমনগরের কবিয়াল আব্দুল মজিদ তাঁর লেখা দুটি গান কাশেম সাহেবকে দেন। একটি ছিল ছড়া অন্যটি পাঁচালী। দিয়ে বলেন, “এই শেষ। পারলে নিজে গান লেখো গে যাও।” তারপর থেকে নিজেই ছড়া-কবিতা-পাঁচালী লিখতে থাকেন একের পর এক। সেই আব্দুল মজিদকেই তিনি গুরু মানেন। অন্য কোন গুরু তাঁর আর ছিল না।

প্রথম লড়াই
রমনায় এসেছিল নাদের আলীর আলকাপ দল। বিনা প্রস্তুতিতেই তিনি তাঁর সাথে পাল্লা দিতে উঠে পড়েন স্টেজে। সেদিন থেকে তাঁর নাম ছড়িয়ে গেল চতুর্দিকে।

হায়ার
কিছুদিন পর শঙ্করপুরের কার্তিক পুজোয়, ছুতোর বাড়িতে বসলো আলকাপের আসর। সেখানেও দল নিয়ে এলেন নাদের আলী। পাঠান পাড়ার দল তাঁর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিল। এই দলের নেতা ছিলেন গফুর খাঁন। তিনি মওকা বুঝে চার টাকার বিনিময়ে হায়ার করে নিয়ে গেলেন তরুণ কবিয়াল আবুল কাশেমকে। সেখানে জয়ী হল গফুর খাঁনের দল।

জরিমানা
রমনা থেকে যারা শঙ্করপুরে গিয়েছিল আলকাপের আসরে তারা এসে গ্রামে বলে দিল, কাশেম গান করেছে আলকাপ দলে। গ্রামের সর্দারগণ তাঁকে ডেকে পাঠালেন। গান করার জন্য দশ টাকা জরিমানা করলেন। এভাবে বেশ কয়েকবার জরিমানা করা হয় তাঁকে।

আলকাপ দল তৈরি
গানের নেশা ভর করেছে তাঁকে। তাই কোনো বাধাই বাধা নয় তাঁর কাছে। সাহস করে ১২/১৪ জনকে নিয়ে তৈরি করে বসলেন নিজের আলকাপ দল। ১০/১২ বছর জেলায় জেলায় ঘুরে প্রোগ্রাম করে বেড়াতে লাগলেন সফলতার সাথে।

কবিগানের দল
আলকাপ দল ভেঙে দিয়ে গড়লেন কবিগানের দল। এই দলে থাকেন চারজন। একজন কবিয়াল, তিনি নিজে। দু’জন দোহার, একজন ঢোলক। এই দল নিয়ে চষে বেড়াতে থাকলেন রাজ্যের এক জেলা থেকে অন্য জেলা।

প্রতিযোগিতা
আলকাপের দল তৈরি করে প্রথম প্রতিযোগিতা করেন সেই সময়ের নামকরা আলকাপ শিল্পী প্রদীপডাঙ্গার শমসের আলীর সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে পাল্লায় জয়ী হয়েছিলেন আবুল কাশেম সাহেব। প্রতিযোগিতাটি হয় দৌলতাবাজারের বারবোদপুর ঘোষপাড়ায়।

প্রতিশোধ
যে রিয়াজউদ্দিন কবিয়ালের হাতে বাল্য বয়সে থাপ্পড় খেয়েছিলেন, সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলেন কবিয়াল হয়ে তাঁকে হারানোর, সেই সুযোগও এসে গেল। দিল্লালপুরে হল সেই কবি-লড়াই। রিয়াজুদ্দিনকে এই লড়াইয়ে পরাজিত করলেন। এতটুকু একটা ছেলের কাছে হারার জন্য লোকেরা রিয়াজুদ্দিন সাহেবকে বের করে দিয়েছিলেন সেদিন। সেদিন ভরা মঞ্চে তিনি সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রিয়াজউদ্দিনকে বলেছিলেন, “বিনা দোষে চড় মেরেছিলেন, এখন হাতের চড় না, কথার চড় খান।”
আরেকদিন পাল্লা হল তাঁর সাথে। সেদিনও তাঁকে হারিয়ে দিলেন। আয়োজক ছিলেন রিয়াজুদ্দিনের খালাতো ভাই। তিনি রাগে রিয়াজুদ্দিন সাহেবকে তাঁর প্রাপ্য টাকাও দিলেন না।

পুরস্কার ঘুটের মালা
বেলবাড়িতে একটা আসর ডাকা হল। জিতলে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ৫৫০ টাকা ও মেডেল। কিন্তু হেরে গেলে পরানো হবে ঘুটের মালা। ঘুটের মালা গলায় চড়ানোর মত দুর্ভাগ্য তাঁর হয়নি। তিনিই জিতে গেলেন।

যেখানেই যান ফার্স্ট
যাদবপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠান করতে গেলেন। ফার্স্ট হলেন। কলকাতা রবীন্দ্র সদনে গেলেন। ফার্স্ট হলেন। এমন একটা সময় ছিল হারতে ভুলে গিয়েছিলেন।

রেডিও সেন্টার
রেডিও সেন্টার বহরমপুরে বহুবার তিনি প্রতিপক্ষের সঙ্গে লড়েছেন। একবার লড়লেন আফাজুদ্দিনের সঙ্গে। বিষয় ছিল ত্যাগী ও ভোগী। আফাজুদ্দিন বেছে নিলেন বিষয় হিসাবে ত্যাগী। ভোগী বিষয় পেলেন আবুল কাশেম মন্ডল। লড়লেন। জয়ীও হলেন। আরেকবার বিষয় ছিল অদৃষ্ট ও কর্ম। তিনি কর্মের পক্ষ নিয়ে পাল্লা লড়লেন। পাল্লাদার সেই আফাজুদ্দিন। তাঁর বিষয় অদৃষ্ট। এবারও জয়ী হলেন আবুল কাশেম মন্ডল।

পুরস্কার ও সার্টিফিকেট
জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। পেয়েছেন সার্টিফিকেট। সে সবে ভর্তি হয়ে আছে ঘর। মন্ত্রী আনিসুর রহমান দিয়েছিলেন পিতলের কামান। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী এসেছিলেন তাঁর বাড়ি। ভগবানগোলা হাইস্কুলে তাঁর সামনে প্রোগ্রাম করেন। তিনি খুশি হয়েছিলেন। তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। নির্দিষ্ট দিনে স্টেশনে পৌছেও যান। কিন্তু ট্রেন আসার আধ ঘন্টা পূর্বে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় আর যাওয়া হয়নি। এছাড়াও পেয়েছেন অসংখ্য মানুষের প্রাণভরা ভালোবাসা।

পারিশ্রমিক
এক রাতের জন্য পারিশ্রমিক পেতেন দু’হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। কালীপূজা ও দুর্গাপূজায় অনুষ্ঠান করার ডাক পেতেন বেশি। দর্শকও হোত প্রচুর। পাঁচ-সাত-দশ হাজার। হাওড়া ও কলকাতায় দর্শক বেশি হোত।

একঘরে
মন্ডলের বেটা মন্ডল হবে, সর্দারের বেটা সর্দার হবে। গান করবে কেন? গান তাকে ছাড়তেই হবে। এমনই ফরমান জারি করে দিল সমাজ। তিনি গান ছাড়লেন না। ফলস্বরূপ একঘরে করে দেয়া হল। কারো সঙ্গে কথা বলা যাবে না। বা কোন লেনদেন। তিনবার তাঁকে একঘরে করে দেয়া হয়েছিল।

লেখালিখি
গান, ছড়া, পাঁচালী, ডুয়েট, বন্দনা, ধুয়া, গজল সব মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার লেখা তিনি লিখেছেন। লিখেছেন খাতার পাতায় নিজ হাতে। সুন্দর হস্তাক্ষরে। নিজেই সুর দিতেন। অনুষ্ঠানে যখন গাইতেন সেসব গান, দর্শক-শ্রোতা মোহিত হয়ে যেত। সবার চোখ থেকেই তখন ঝরে পড়ত অশ্রুধারা।

বই
“আসিয়ার স্বামী ভক্তি” নামে তিনি একটি বই লিখেছিলেন। বইটি প্রকাশিত হয়। প্রথম মুদ্রণ শেষ হয়ে গেছে। দ্বিতীয় মুদ্রণ আর করা হয়ে উঠেনি।

নাটক
“সেতুবন্ধন” নামে একটি নাটক রচনা করেছিলেন। নাটকটি সাক্ষরতা মিশনের উপর ভিত্তি করে লেখা। সেটা হরিহরপাড়া বিডিও অফিসে মঞ্চস্থ হয়। অভিনয় করে তাঁর গ্রামের ছেলে-মেয়েরা।

বই কেনা ও পড়াশোনা
বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর এক কবিয়ালের সঙ্গে অন্য কবিয়ালের লড়াই হত। ফলে প্রতিপক্ষকে কথার চালে, কবিতার ছন্দে ঘায়েল করার জন্য পড়তে হত প্রচুর। বইও কিনতে হত। একদিকে হিন্দু শাস্ত্রের নানান বই যেমন রামায়ন, মহাভারত, পুরান, প্রভাস খন্ড, মুক্তিলতা, নারায়ণ চরিত্র, গীতা প্রভৃতি পড়তে হয়েছে তেমনি বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, তিরমিযী শরীফ, কাসাসুল আম্বিয়া, খায়রুল বাশার, বিশ্বনবী, ওমর ফারুক(রা:), আবু বকর (রা:), বিষাদ সিন্ধুর মত ইসলামি স্বাস্ত্রও পড়তে হয়েছে।

এ্যারেস্ট
তিনি বরাবরই সত্য কথা বলে এসেছেন। অন্যায়ের প্রতিবার করেছেন বারংবার। হরিহরপাড়ায় একসঙ্গে সাতজন খুন হয়ে যায়। সে নিয়ে মুখ খুলার জন্য তাঁকে হরিহরপাড়া থানার পুলিশ য়্যারেস্ট করে। কংগ্রেস নেতা
মইনুল বিশ্বাসের তৎপরতায় ছাড়া পান। একবার খাগড়াঘাট ষ্টেশনে স্বাধীনতা দিবসের প্রোগ্রামে বলেছিলেন,”দেশ স্বাধীন হয়েছে মাত্র পনেরো শতাংশ মানুষের জন্য। দেশের পঁচাশি শতাংশ মানুষ এখনো স্বাধীনতা পায়নি।” এই বক্তব্যের জন্য আরেকবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেবারও মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের হস্তক্ষেপে ছাড়া পান।

সংসার খরচ
গানের আসর থেকে তিনি যে রোজগার করতেন তা থেকে সংসারে ব্যয় করেননি কোনদিন। সেই টাকা খরচ করতেন বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আড্ডায়। তবে তা দিয়ে নিজের পোশাক কিনতেন, যা পরে কবি আসরে যেতেন। পরতেন ধুতি, ফোতা, পাঞ্জাবি, চামড়ার জুতো, এবং ঘড়ি। সংসারে খরচের জন্য তাঁর আলাদা আয়ের উৎস ছিল। এবং তা ছিল যথেষ্ট পরিমাণ।

পরিচয়
মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি। মাতা সুরাতন বিবি। পিতা মোমিন মন্ডল। দু’জনেই মৃত। ঠিকানা: গ্রাম- রমনা নতুন পাড়া, ডাক- এস ধরমপুর, থানা- হরিহরপাড়া, জেলা- মুর্শিদাবাদ।

সংসার
গৃহকর্ত্রী হাদিসা বিবি। গত বছর মারা যান। তিন মেয়ে। পাঁচ ছেলে। এক ছেলে মারা গেছেন। নাতি-নাতনীদের নিয়ে ভরাট সংসার।

হজ
২০১০ সালে পবিত্র হজ পালন করেন। এখন আর গান করার সময় পান না। বয়সও হয়েছে। ৮২ বছর বয়সে ওপারের ডাকে সাড়া দিয়ে পরপারে পাড়ি দেয়ার অপেক্ষা করছেন বহু গুণধর এই মানুষটি।

তাঁকে নিয়ে বই
আবুল কাশেম মন্ডল মহাশয়ের জীবন নিয়ে “চাষীর আলকাপ” নামে একটি বই লিখেছেন জনপ্রিয় সি পি এম নেতা এবং লেখক মুজফ্ফর হোসেন। ১১৬ পৃষ্ঠার বইটি মুর্শিদাবাদের “আকাশ” প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয় ২০১৯ এর বহরমপুর বইমেলায়। বইটিতে কাশেম সাহেবের জীবনের নানান ঘটনা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সরসভাবে বর্ণিত হয়েছে।

তাঁর লেখা একটি গান

শেষের গান
(রচনাকাল ১০/০২/১৪১১)

ধুয়া:
আমায় নিবেই যখন নিও দয়াল রমজানের চাঁদে থাকবো রোজা মুখে মনের সুখে তখন ধরিও ফাঁদে।
১.
শুক্রবারে মসজিদ ঘরে রাখিয়া রোজা
জামাত ধরে পড়বো নামাজ আসল নয় কাজা।
আমি সেজদায় গেলে দিও বলে যেন আজরাইল বাধে।
আমায় নিবেই যখন নিও দয়াল রমজানের চাঁদে।।
২.
রহমের মাস রমজান শুনি সাজো রহিম রহমান দোযখের আযাব বন্ধ থাকে বন্ধ হয় ইবলিশ শয়তান।
শুনি বান্দার পরে রহম ঝরে আর ইবলিশ কাঁদে।
আমায় নিবেই যখন নিও দয়াল রমজানের চাঁদে।।
৩.
রোজা মুখে রমজানে হইলে মরণ
বিনা হিসাবে জান্নাত দিবে বলেন মুক্তারণ
তোমার হুর ফেরেশতা দিবে রাস্তা না গিয়ে বিবাদে।
আমায় নিবেই যখন নিও দয়াল রমজানের চাঁদে।।
৪.
জেনে না জেনে ছোট-বড় জাহের কিংবা বাতেনে
কত পাপ করেছি দয়াল মাফ করো অধীনে
দিবে দোজখ আগুনে রাত্রি দিনে ভয়ে কাশেম কাঁদে।
আমায় নিবেই যখন নিও দয়াল রমজানের চাঁদে।।

You may also like

Vinnokatha
Prothom Khondo
Price: Rs.260/-
www.vinnokatha.in
মেহনতি মানুষের মুক্তি নিশ্চয়ই একদিন আসবে। সব ধরণের শোষণ শেষ হবে একদিন--এ স্বপ্ন আমরা দেখি। শুধু দেখি না, একে বাস্তবে কার্যকর করতে 'ভিন্নকথা' তার সাধ্যমত প্রয়াস চালিয়ে যাবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষের চেতনার লক্ষ্যে, মুক্তির লক্ষ্যে।
মেহনতি মানুষের মুক্তি নিশ্চয়ই একদিন আসবে।সব ধরণের শোষণ শেষ হবে একদিন--এ স্বপ্ন আমরা দেখি। শুধু দেখি না, একে বাস্তবে কার্যকর করতে 'ভিন্নকথা' তার সাধ্যমত প্রয়াস চালিয়ে যাবে। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে, মানুষের চেতনার লক্ষ্যে, মুক্তির লক্ষ্যে।
Vinnokatha
Prothom Khondo