সম্প্রীতি ভাবনায় ইতিহাস

ইতিহাসে সম্প্রীতি
চন্দ্রপ্রকাশ সরকার
শিল্পনগরী
পৃষ্ঠা ১৯২, বোর্ড বাঁধাই,
বিনিময় মূল্য – ২৫০ টাকা।

সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প, ধর্মীয় সংকীর্ণতা ও মৌলবাদ ভারতের সমাজকে আচ্ছন্ন করে তুলতে চাইছে। অবশ্য সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গ আনলে রাজনৈতিক অভিসন্ধির প্রশ্ন‌ও চলে আসে।‌ বেশ কিছু রাজনৈতিক দল নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘাত বাঁধাতে পিছপা হয় না। নতুন ধরণের যে রাজনৈতিক সমীকরণ শুরু হয়েছে, সেখানে বারবার ইতিহাসের প্রসঙ্গ এসেছে। বিশেষ করে সংঘ পরিবারের পক্ষ থেকে ভারতের ইতিহাসের একটি অধ্যায় মুছে ফেলার প্রয়াস প্রতিনিয়ত চোখে পড়ে। ইতিহাসের গৈরিকিকরণের মাধ্যমে যুক্তি বিবর্জিত ইতিহাস পরিবেশন করে, সমাজে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়কে মদত দিতে এগিয়ে আসতে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। অবশ্য ইতিহাসের উপর আক্রমণ নতুন কোনো বিষয় নয়। যখন‌ই বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসেছে নিরপেক্ষ ইতিহাসচর্চা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ইতিহাসকে বিকৃত করে পেশ করার প্রবণতা লক্ষনীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত সরকার এবং সংঘ পরিবারের উদ্যোগে এই ধরণের প্রয়াস সবথেকে বেশি। একদিকে সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দিয়ে সমাজের বাতাসকে বিষাক্ত করা এবং সেই কাজকে সমর্থনের জন্য ইতিহাসকে বিকৃত করে তোলা হচ্ছে। বিজেপি সরকার আসার পর এই ধরণের গৈরিকিকরণের কাজ বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাসের একটি অধ্যায় বাদ দিতেও পিছপা হচ্ছে না। পাঠ্য ব‌ইয়ের মধ্যে এই ধরণের ইতিহাস ছাত্রছাত্রীদের সঠিক ইতিহাস পাঠ থেকে বঞ্চিত করবে, এটাই স্বাভাবিক। অবশ্য ঐতিহাসিক মহল‌ও সংঘ পরিবারের ইতিহাস বিকৃতি নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় থেকে জাতীয় স্তরের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনা এবং সম্প্রতির দাবি জানিয়ে আসছেন। ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে এবং সম্প্রতির পরিবেশ গড়ে তুলতে আঞ্চলিক পর্যায়ে একটি নতুন সংযোজন হল – চন্দ্রপ্রকাশ সরকার রচিত ‘ইতিহাসে সম্প্রতি’।

রাজনৈতিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জন্য ইতিহাসকে যেভাবে গৈরিকিকরণের প্রচেষ্টা চলছে। সেখানে দাঁড়িয়ে ‘ইতিহাসে সম্প্রতি’ একটি ব্যতিক্রমি প্রয়াস। এক শ্রেণীর মানুষ যে ভাবে ইতিহাসের আসল ঘটনাকে বাদ দিয়ে বিকৃত ইতিহাস জনসমাজে উপস্থাপন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যোগ্য জবাব হল আলোচ্য গ্ৰন্থটি। গ্ৰন্থের শুরুতেই রামমন্দির নির্মাণ প্রসঙ্গ ও সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি নেতৃবৃন্দের মন্দির সংস্কৃতির উপর অত্যাধিক গুরুত্ব প্রদানের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেশের প্রধানমন্ত্রীর রামমন্দির নির্মাণের জন্য শিলান্যাস করা ভারতীয় ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পক্ষে কতটা বিপজ্জনক তা তুলে ধরেছেন। হিন্দু রাজাদের আমলে ভারত সমৃদ্ধির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে ছিল। আর মুসলিম আক্রমণে ভারতে অন্ধকার যুগ নেমে আসে – এই ধরণের ইতিহাস সংঘ পরিবারের মদতপুষ্ট হয়ে একদল গবেষক দেখানোর চেষ্টা করেছেন। তাঁরা মুসলমান শাসকদের ‘বিদেশী’ তকমা দিয়ে বিদ্বেষ প্রচারের অপপ্রয়াস করেছেন। এখানে লেখক দেখিয়েছেন, মুসলিম শাসকদের বিদেশী, লুন্ঠনকারী তকমা দিয়ে ইতিহাসের যথার্থ মূল্যায়ন সম্ভব নয়। হিন্দু ও মুসলিম শাসকদের রাজনৈতিক সংঘাতকে সাম্প্রদায়িক সংঘাত হিসেবে দেখানো অবিবেচিত কাজ। মধ্যযুগের বেশ কয়েকজন হিন্দু শাসক ছিলেন, যাদের হাতে বহু মন্দির লুন্ঠিত হয়েছে। হিন্দুত্ত্ববাদীরা তার উত্তর কিভাবে দেবেন ?

মুসলিম শাসক মানেই বেছে বেছে তাঁর কাজের খারাপ দিকগুলো দেখাতে হবে। সেই শাসক সাম্প্রদায়িক বা ধর্মান্ধ না হলেও, তাঁর চরিত্রে কালিমালিপ্ত করে সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগিয়ে দেওয়ার প্রয়াস সংঘ পরিবার অনেক আগে থেকেই করে আসছে। শাসকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে করা কাজকে হিন্দু-মুসলিম দ্বন্ধ হিসেবে দেখানোর জন্য ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো এখনও পরম্পরা হয়ে গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে মোগল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের কয়েকটি মন্দির ধ্বংস ও জিজিয়া কর আরোপের ঘটনাবলীকে সামনে রেখে, তাঁর হিন্দু বিদ্বেষী চরিত্র দেখাতে তৎপর। কিন্তু সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মসজিদ ধ্বংস, হিন্দু মন্দিরে অর্থ সাহায্য‌, অসংখ্য হিন্দু কর্মচারীর কথা তাঁরা একবারও বলছে না। লেখক সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরে দেখিয়েছেন, ঔরঙ্গজেবকে হিন্দুবিদ্বেষী বলা যুক্তিযুক্ত নয়। কারণ দিল্লির শাসকগণ শরিয়ত অনুযায়ী নয়, রাজনৈতিক প্রয়োজনে তাদের শাসনকার্য পরিচালিত হয়েছে। ঔপনিবেশিক সময়ে টিপু সুলতানের ইংরেজ বিরোধী চরিত্র থেকে সরিয়ে তাকে সাম্প্রদায়িক দেখানোর প্রয়াসের বিরুদ্ধেও লেখক জবাব দিয়েছেন।

এখানেই শেষ নয়, মধ্য যুগের এমন অনেক রাজপুত ছিলেন যারা মোগল সম্রাটদের একনিষ্ঠ সমর্থক। আকবরের সময়ে মানসিংহ, টোডরমল, বীরবলের কথা ওঠে আসে। যারা সম্রাট আকবরের ছত্রছায়ায় আশ্রয় পেয়েছিলেন। এদের সাথে আকবরের গভীর সখ্যতা ছিল। সুতরাং যখন NCERT ইতিহাসের সিলেবাস থেকে মোগল যুগ বাদ দিলে, এই সব মানুষদের কথাও বাদ দিতে হবে। কিন্তু RSS সমর্থনপুষ্ট কিছু মানুষ আকবরকে বাদ দিয়ে রানা প্রতাপের পরাজয়কে বীরগাথা হিসেবে তুলে ধরেছেন। রাজস্থানের ইতিহাসের সিলেবাস দেখলে বিষয়টি আরও ভালো করে বোঝা যাবে। সুতরাং একপ্রকার পক্ষপাতদুষ্ট ইতিহাস তুলে ধরার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে। আলোচ্য গ্ৰন্থের লেখক ইতিহাসের উদাহরণ তুলে দেখিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গৃহীত কোনো নীতিকে কি ভাবে সাম্প্রদায়িকতার রং লাগানোর অপচেষ্টা চলছে।

ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি অতীত ইতিহাসের যে কাঠামো এখনও অবশিষ্ট রয়েছে। সেগুলি মুছে ফেলতে, সংঘ পরিবার হাত বিন্দুমাত্র কাঁপেনি। বাবরি মসজিদ নিয়ে কি হয়েছে, তা সবার জানা। স্থাপত্য থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট যেটা মুসলিম শাসক দ্বারা নির্মিত, সেগুলি হয়ত ধ্বংস করে দেওয়া বা সেই রাস্তার নাম পরিবর্তন করে হিন্দুত্ত্ববাদী রাজনীতির কর্মকর্তাদের উপর রাখা হচ্ছে। বিজেপি সরকার ধর্মনিরপেক্ষতার পাঠ ভুলে নিজেদের ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য একধরনের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কাজ করে চলেছেন। সংঘ পরিবারের ইতিহাস মুছে ফেলার কাজের তীব্র সমালোচনা আলোচ্য গ্ৰন্থে দেখা যাবে।

‘ইতিহাসে সম্প্রতি’ গ্ৰন্থের লেখক ইতিহাসের অজস্র উদাহরণ দিয়ে দেখিয়েছেন, প্রাচীন ভারতে তো আর মুসলিম শাসন ছিল না। সেখানে হিন্দুরাজাদের শাসন চলছিল। যদিও তার পুরোপুরিভাবে হিন্দুশাসন বললে ভুল হবে। কারণ বৌদ্ধ, জৈন ধর্মের অনুরাগী শাসকদের অভাব ছিল না। হিন্দুত্ত্ববাদী ইতিহাসচর্চায় প্রাচীন ভারতের হিন্দু সংস্কৃতির উপর অধিক গুরুত্ব দিয়ে, তার ভালো দিকগুলো দেখাতে সচেষ্ট হয়েছেন। কিন্তু প্রাচীন ভারতের রাজনৈতিক হত্যা, অন্ধবিশ্বাস, জাতিভেদ প্রথা, উচ্চবর্ণ দ্বারা নিম্নবর্ণের মানুষের উপর অত্যাচারের কথা বিন্দুমাত্র দেখানো হয়নি। সুতরাং সংঘ পরিবারের একপ্রকার বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এখানেই লেখক দেখিয়েছেন, প্রাচীন ভারতের ইতিহাস সম্পর্কে সংঘ পরিবারের ইতিহাস পক্ষপাতদুষ্ট। এমন অনেক উদাহরণ লেখক তুলে ধরেছেন, যেটা প্রমাণ করে প্রাচীন সময় থেকেই ভারতের ঐতিহ্য ছিল সমন্বয় ও সম্প্রতির।

মধ্যযুগে ভারতীয় হিন্দু সংস্কৃতির সাথে মুসলিম সংস্কৃতির সমন্বয় ঘটেছিল। বহু সংস্কৃত গ্ৰন্থ ফার্সি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। যে মোগল ইতিহাস সিলেবাস থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, সেই মোগল সম্রাট আকবরের আমলে রামায়ণ ও মহাভারতের অনুবাদ ফার্সি ভাষায় হয়েছিল। ধর্মীয় সমন্বয়ের বিষয় মধ্যযুগে ভক্তি আন্দোলনের ক্ষেত্রে সবথেকে বেশি দেখা যায়।

মুর্শিদাবাদ জেলায় হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির ঐহিত্য রয়েছে। সেই সম্প্রীতির কথাও উঠে এসেছে আলোচ্য গ্ৰন্থে। পলাশীর প্রান্তরে বাংলার সৃর্য অস্তমিত যায়। পলাশী যুদ্ধের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে মীরজাফরের নাম সর্বাঙ্গীন ভাবে উঠে আসে। জগৎশেঠ, উমিচাঁদ, রায়দুর্লভ পলাশীর চক্রান্তের সাথে যুক্ত থাকলেও, তাঁদের নাম খুব একটা শোনা যায় না। আসলে এখানে বিভেদের রাজনীতি খেলার জন্য মীরজাফর যেহেতু মুসলিম ছিলেন, তাই তাঁকেই তুরুপের তাস হিসেবে ব্যবহার করতে দেখা গিয়েছে। এই বিশ্বাসঘাতকতার তকমা আজ‌ও বহমান। মুর্শিদাবাদ জেলার হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত আলোচ্য গ্ৰন্থে পাওয়া যাবে।

‘ইতিহাসে সম্প্রীতি’ গ্ৰন্থের লেখক দুটি বিষয়ের উপর সবথেকে বেশি জোর দিয়েছেন। একদিকে সংঘ পরিবারের ইতিহাস বিকৃতির যোগ্য জবাব দিয়েছেন। অন্যদিকে ভারতের ইতিহাসের এমন অনেক দৃষ্টান্ত তুলে দেখিয়েছেন, ভারতে সম্প্রীতির পরিবেশ কখনও বিঘ্নিত হয়নি। প্রাচীন ও মধ্যযুগের শাসকের দ্বারা সংঘটিত রাজনৈতিক ঘটনাকে সাম্প্রদায়িকতার রঙ লাগিয়ে সম্পূর্ণ বিকৃত ইতিহাস পরিবেশন করা হয়েছে। ইতিহাসের গৈরিকিকরণের প্রয়াস এই প্রথম নয়। এর আগেও সাভারকার থেকে হেডগেওয়ার এবং আজকের মোহন ভাগবত প্রত্যেকেই সুযোগ বুঝে ইতিহাস বিকৃতিতে সামিল হয়েছেন। এমনকি সরকারি মদতে ভারতীয় ইতিহাস পরিষদের (I C H R) সদস্য মনোনয়ন থেকে ইতিহাসের পাঠ কেমন হবে, তাতে সংঘ পরিবার হস্তক্ষেপ করেছে। ফলত বারংবার নিরপেক্ষ ইতিহাস রচনা বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। ইতিহাসের পাঠ্যসূচির পরিবর্তন ঘটিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মগজ ধোলাই এর কাজ সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ত্ববাদী সংগঠন করে চলেছে।

লেখক দেখিয়েছেন, এই ধরণের প্রয়াস ভারতের ভবিষ্যৎ পরিণতি কতটা মারাত্মক হতে পারে। ঔপনিবেশিক ভারতে ইংরেজ সরকারের বিভেদগামী রাজনীতির মধ্যেও ভারতে সম্প্রীতির পরিবেশের অনেক উদাহরণ আলোচ্য গ্ৰন্থে রয়েছে। ইতিহাস লিখতে হয় নির্মোহ ভাবে। কিন্তু সেই নির্মোহ ইতিহাস চর্চার বৈশিষ্ট্য লঙ্ঘিত হলে, তার বিরুদ্ধে শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা সোচ্চার হবেন। ভারতীয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য হল ‘বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য’ লেখক এই কথাটি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন।

‘ইতিহাসে সম্প্রতি’ গ্ৰন্থে আলাদা ধরণের কোনো অধ্যায় বিন্যাস চোখে পড়বে না। লেখক তাঁর গ্ৰন্থে ভারতের ইতিহাসের ৫৬টি দৃষ্টান্ত দিয়ে দেখিয়েছেন, কিভাবে হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতি ভারতের ইতিহাসে গড়ে উঠেছিল। এই বিষয়ক গ্ৰন্থের ক্ষেত্রে তথ্যের যথাযথ সূত্র নির্দেশ গ্ৰহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সেই রকম কিছু চোখে পড়ে না। তবে যে যে সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, তার তালিকা গ্ৰন্থের শেষে রয়েছে। গ্ৰন্থের মধ্যে বেশ কিছু চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় সম্প্রীতির সংক্ষিপ্ত গল্পের উল্লেখ রয়েছে। যা পাঠকের আগ্রহ আরও বৃদ্ধি করবে। সবশেষে বলা যায় যে, স্থানীয় উদ্যোগে এই ধরণের কাজ যথেষ্ট প্রশংসার যোগ্য। গ্ৰন্থটি আমাদের নতুন ভাবে ভাবতে শেখাবে। প্রকৃত অর্থেই ‘ইতিহাসে সম্প্রীতি’ গ্ৰন্থটি সমাজের সম্প্রীতি রক্ষায় জীবন্ত দলিল হয়ে উঠেছে।

You may also like