ভদ্রলোকের অতিরিক্ত ইনভলভমেন্টের কারণটা রক্তিম এতক্ষণে বুঝতে পারল। বলল, ‘তাই বলুন। তা কী করে আপনার মেয়ে? চাকরি? না, এখনও পড়াশোনা চালাচ্ছে?’ ভদ্রলোকের গলাটা এবার একটু বাষ্পাচ্ছন্ন শোনাল। বললেন, ‘কিচ্ছু করে না ভাই। ওপরে চলে গেলে কি কিছু আর করা যায়? দু’বছর আগেই আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে ভাই। অনেক চেষ্টা করেও মেয়েটাকে বাঁচাতে পারিনি।’
সম্পর্ক
-
-
একদিন বুঝবে তুমি, অবশ্যই বুঝবে
তোমার কথা কেউ বুঝতে পারছে না
তোমার ত্রুটি বিচ্যুতি মেনে নিচ্ছে না কেউ, -
মতিনের কালজীর্ণ দুধেরসরের মতো কুঞ্চিত হাতটি বন্ধু সুনীল, শক্ত করে বুকের কাছে চেপে ধরে স্থাণু হয়ে বসে আছে ! হাসপাতালের এই ক্ষুদ্র কামরায় যেন মাঘমাসের কড়া শীত ভর করেছে। ঘরেরকোণে সলতেবাতির মতো একটিমাত্র ধূসর নীল বিজলিবাতি জ্বলছে তাও বেজায় টিমটিম করে। অস্পষ্ট আলো-আঁধারির রহস্যময় চাদরে ঢাকা দিয়ে আছে ঘরটি। সুনীল সেই কখন থেকে একইভাবে বন্ধুর হাত ধরে বসে আছে- মুঠিবদ্ধ হাতেরপরে দু’ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়তে মস্তিষ্কের খোঁড়লে ডুবে থাকা স্মৃতিরা সহসা তাকে ফেরত নিয়ে যায় বহুদূরের সেই হিজলতলা গাঁয়ে, তেলাকোঁচ-লতার মতো জড়াজড়ি করে দু’বন্ধুর নির্ভারে কেটে যাওয়া অতীতের দিনগুলোতে।
-
গড়ার তাগিদে ভাঙে মসজিদ বহু পুরাতন
ভাঙন শব্দ হানেনি আঘাত মরমে কারও !
নব-পুরাতনে ভাঙা-গড়া চলে
একথা জানে ধরার প্রথম প্রহরও । -
ক্লাস সেভেন থেকে ঘটলো ছন্দপতন। যে ছেলের ইংরেজি খাতায় একটা লাল দাগ দিতে পারতেন না জীবনবাবু, সেই ছেলের পড়াশোনায় মন নেই একদম। এত ব্রিলিয়ান্ট একটা ছেলে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে! অনেক বোঝালেন।কোন লাভ হয় নি।ঠাকুমাকে, বাবাকে ডেকেও বলা হলো। বাবা ভ্রুক্ষেপহীন। আর ঠাকুমার চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কী বা করার আছে!
-
দিন শেষের সমস্ত আলো মুছে গিয়ে সন্ধে নামছে।একটা অস্পষ্টতায় ঢাকতে শুরু করেছে চারিদিক।বনবাবলার মাথার ওপর থেকে কখন উড়ে গেছে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙারা।দিগন্তের রক্তিমাভা ঢেকে যাচ্ছে ঝাঁপসা অস্পষ্টতায়।আমি তাকিয়ে আছি সুপ্রিয়ার দিকে।বারে বারে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে সেইসব দিনগুলোয়।সেই বিকেল।সেই নদীপাড়।সেই সন্ধে নামা।সেই বনবাবলার মাথার উপরে বসে থাকা বক,পানকৌড়ি, আর মাছরাঙা।সেই ঝিঁঝিঁর ডাক।সেই –
-
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, চিঠিপত্র, গবেষণা, অনুবাদ সাহিত্য, দর্শন, চিত্রকর্ম, সমাজ সংস্কারমূলক কাজ দিয়ে সর্বজনীন থেকে বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে নজরুল তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধে খুব সচেতনভাবে মানবতাবাদ, সাম্যবাদ, বিপ্লব, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মনোবেদনা তুলে ধরে বাঙালি তথা বিশ্বমানবের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। সুতরাং কে বড়? কে ছোট?— এ বিবেচনায় যাওয়া মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। কেউ কারও সমকক্ষ নন, প্রতিদ্বন্দ্বীও নন।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিহার্য দুটো নাম, দুটো পরিচয়, দুটো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চেতনা। বাঙালির বলা-কওয়া, চাওয়া-পাওয়া ও নিজেকে ও অপরকে বর্ণনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল অতীব প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ যেমন, তেমনি নজরুলও আমাদের চেতনার রঙে মিশে আছে।রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুল ইসলামের আন্তরিক সম্পর্কের রসায়ন মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মৌলবাদীরা মানতে পারে না।
-
আগের শান্ত দরিদ্র শহরটায় ধনী বিলাসীর ছাপ প্রকট হয়ে উঠছে রাতারাতি।বদলে যাওয়া সুন্দরী শহরটা দামী হচ্ছে দিনকেদিন। জমির দামও আকাশছোঁয়া।আগারগাঁওতে লাগছে সরকারি ছাপ। সেই ছাপকে কেন্দ্র করেই বানিজ্যিক আবহাওয়ায় আধুনিক বৈচিত্র্যময় রুপ নিচ্ছে।
-
রমাযান মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে নানাবিধ পুরষ্কারের ডালি নিয়ে হাজির হয় ফি বছর। রমাযান মাস মাগফিরাতের মাস। রমাযান মাস তনুমন শুদ্ধ করার মাস। এই মাস জং ধরা ভ্রাতৃত্বে শান দেয়ার মোক্ষম মৌকা। শ্রষ্ঠা ও সৃষ্টির মধ্যে বিরাজমান ভালোবাসার বন্ধন ‘সংযম’ অণুর বিভিন্ন পরমাণুর সক্রিয় অংশগ্রহণে আরও শক্তিশালী হয় এই মাসেই।
-
অযথা, জটিল করে তুলছে সহজ সম্পর্ক
সহজ ভাববোধ, শময়িতা…!