তাঁর মতে, রাজনীতিতে প্রকৃতপক্ষে শক্তিশালী শ্রেণী হল নিম্নবর্গ, কিন্তু উচ্চবর্গের মানুষ এযাবৎকাল ইতিহাস লিখেছেন, এবং ইতিহাসের রসদ তাঁরাই জুগিয়েছেন। ফলে উচ্চবর্গের ইতিহাস হয়ে উঠেছে জাতীয় ইতিহাস চর্চার বিশেষ নমুনা, যেখানে নিম্নবর্গের ইতিহাস উপেক্ষিত হয়ে এই প্রয়াস একটি অলিখিত আদিকল্পের জন্ম দিয়েছে। গুহর মতো তুখোড় ইতিহাসবেত্তারা তথাকথিত এই জাতীয় ভাবনার মিথ ভেঙে ইতিহাস চর্চার নবায়ন ঘটিয়েছেন সাবলটার্ন স্টাডিজের মধ্য দিয়ে। নিপীড়িতের ইতিহাস, সাহিত্যের উত্তর-ঔপনিবেশিক পাঠ, অথবা রাজনীতি, নৃতত্ত্ব, শিল্পের ইতিহাস বা সংস্কৃতিপাঠ—সবেতেই এই ‘মানবচেতনা’র আবিষ্কার করেছেন রণজিৎ গুহ। তাঁর মতে ক্ষমতা বৃত্তের বাইরে থাকা শ্রমিক, কৃষক, নিম্নমধ্যবিত্ত, গ্রাম ও শহরের গরিব জনতা, আদিবাসী, নিম্নবর্ণ, মহিলা শ্রেণীর ভূমিকা বা অবদানের উল্লেখ যথাযোগ্য ভাবে নির্মিত হয়নি। এই প্রথাগত ইতিহাস চর্চার গতিধারা বদলে দিয়েছেন ।
May 2023
-
-
খুব বুদ্ধি ছিল ওর লেখাপড়ায়। ইংরেজিতে সবার চেয়ে বেশি নম্বর পেত। ইংরেজি বানান নির্ভুল বলতে পারতো।বাবা নাম রেখেছিল গোপীনাথ। মেজদাদা অনেক পরে সেই নাম বদলে দেয়। বড় দুই ভাই-এর নামের সাথে মিলিয়ে নাম দেয় সুমন্ত। তবে মা ডাকতো হীরে মাণিক আর বাবা ডাকতো মানু। মা বাবা দুজনেই প্রয়াত।
এবার দলের নেতা নিরঞ্জন জিগ্যেস করে : এখানে কী মতলবে ঘোরাঘুরি করছো?
এবার ক্ষীণ কণ্ঠে সে বলে : আমি ছেলেধরা লই গো। হেঁটে হেঁটে সিউড়ি থেকে এই পাতা ডাঙ- এ এলম। বাসঅলা পয়সা না দিলে নামিন দেয়। ব্যাডা খিদে পেয়েঁছে , তমরা কুছু খেতে দেবে?
-
ব্যক্তিগত সুখ দুঃখ এতটা সর্বজনীন ভাবে
ও ভঙ্গিতে ফুটে ওঠে শব্দে শব্দে অক্ষরে অক্ষরে
আনুপূর্বিক। -
ধুলোমাখা শরীরের গন্ধে মদির হয় মেয়েটার মন
নাগরদোলা থেকে নেমে মেয়েটি সুবাস সহাস্যে
জিজ্ঞেস করে “তুই কি চুলে মাস্টার্ড ওয়েল দিস”। -
অঙ্কুরোদগম থেকে আজ পাতা ঝরার মরশুম
কোথাও নিরপেক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারিনি
কেবল ধর্মনিরপেক্ষতা খেয়েছে মানুষ। -
ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, আইন, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব এমন কোন বিষয় নেই যে তাঁর সংগ্রহে নেই। শুরুর সময় থেকে সাজানো রয়েছে সকল গেজেটিয়ার, অ্যাটলাস ভলিউম, একাধিক বিষয়কেন্দ্রিক মানচিত্র (আমার সচক্ষে দেখা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ তাঁর বাড়িতে আসতেন শুধুমাত্র মানচিত্র দেখবার জন্য, আমার ধারণা তাঁর সংগৃহীত মানচিত্রের নমুনাগুলি একত্রিত করে একটা গ্রন্থ রচনা সম্ভব) প্রভৃতি। তাঁর সংগ্রহের ছোট একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, তিনি এমন কিছু ঐতিহাসিক নথি আমাকে দেখিয়েছিলেন, যেগুলি প্রায় জীর্ণ। ব্রিটিশ আমলে ইতিহাসসাক্ষ্য ঐতিহাসিক ব্যক্তির সই ও স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন নথি, যা আমাকে বাক্রুদ্ধ করেছিল।
-
ভাই ভাই যুযুধান মধ্যযুগীয় রক্তখেলায়!
শেষ রাতের আঁধার আর পূবালীর মাঝে
সেহেরির অন্ন মুখে, বোধের গভীরে
আজ আমি তোমাকেই দেখেছি রবীন্দ্রনাথ! -
ইচ্ছে করেই যাই নি কোথাও পেয়েও আমন্ত্রণ
আজকে শুধু তোমার সাথে
নিভৃত যাপন । -
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, চিঠিপত্র, গবেষণা, অনুবাদ সাহিত্য, দর্শন, চিত্রকর্ম, সমাজ সংস্কারমূলক কাজ দিয়ে সর্বজনীন থেকে বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে নজরুল তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধে খুব সচেতনভাবে মানবতাবাদ, সাম্যবাদ, বিপ্লব, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মনোবেদনা তুলে ধরে বাঙালি তথা বিশ্বমানবের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। সুতরাং কে বড়? কে ছোট?— এ বিবেচনায় যাওয়া মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। কেউ কারও সমকক্ষ নন, প্রতিদ্বন্দ্বীও নন।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিহার্য দুটো নাম, দুটো পরিচয়, দুটো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চেতনা। বাঙালির বলা-কওয়া, চাওয়া-পাওয়া ও নিজেকে ও অপরকে বর্ণনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল অতীব প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ যেমন, তেমনি নজরুলও আমাদের চেতনার রঙে মিশে আছে।রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুল ইসলামের আন্তরিক সম্পর্কের রসায়ন মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মৌলবাদীরা মানতে পারে না।
-
আখতারি খাতুন হে রুদ্র, হে বৈশাখ তোমারে করি আহ্বান।তুমি খরস্রোতা, তুমি খরপ্রভা তুমি ভৈরবী মেহমান।তোমার আগমনে শিহরিত দেহমনতপ্ত তপন করিল…
- 1
- 2