নিজেকে গুছিয়ে নিলে ভাঙা বাস ছুটে যায় ছুটে
নিজেকে গুছিয়ে নিলে ক্যামেরার ফ্লাশ ভাঙে যশের হড়পা বাণ
সহজ আমিষে
নিজেকে গুছিয়ে নিলে মাছ বেচা ধূর্ত নেতা কোটি কোটি টাকা রাখে গদির নিচেতে
এই শবে নেই আমি, এসবেই নেই
নিজেকে গুছিয়ে নিলে ভাঙা বাস ছুটে যায় ছুটে
নিজেকে গুছিয়ে নিলে ক্যামেরার ফ্লাশ ভাঙে যশের হড়পা বাণ
সহজ আমিষে
নিজেকে গুছিয়ে নিলে মাছ বেচা ধূর্ত নেতা কোটি কোটি টাকা রাখে গদির নিচেতে
এই শবে নেই আমি, এসবেই নেই
কিন্তু যে ঘটনাগুলি আমাদের জীবনের অন্তরালে অবস্থান করে, হৃদয়ে মোচড় দেয়, বেদনার স্পর্শে চোখ ভিজে যায়, মনকে ভারাক্রান্ত করে—সেইসব মনস্তাত্ত্বিক অতি সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলিকে তিনি গল্প ও অণুগল্পে রূপায়িত করেছেন।
হাসান আজিজুল হক ‘কথাসাহিত্যের কথকতা’ বইতে লিখেছেন, “যারা কখনোই, কোনো কারণেই দেশত্যাগ করবে না, দেশত্যাগর কল্পনা পর্যন্ত যাদের মাথায় আসে নি, তাদের যখন হাজারে হাজারে, লাখে লাখে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত হয়ে ছিন্নমূল উদ্বাস্তুতে পরিণত হতে হয়েছে—-আমাদের সেই সাম্প্রতিক ইতিহাসের সেই বৃহত্তম বেদনা ও যন্ত্রণার কথা কেউ লেখেন নি।”২ বস্তুনিষ্ঠ কথাকার দেশভাগজনিত এই গভীর সংকটকে তুলে ধরলেন তাঁর ‘আগুনপাখি’ নামক উপন্যাসে।
হিংসা, দ্বেষ এখন বিশ্ব তথা বাংলা তথা ভারতের ঘরে ঘরে। এবং এসব নিয়ে মানুষ খুব বেশি চিন্তিত নয়।হাতে হাতে ইন্টারনেট। বুকে বুকে হিংসা দ্বেষ। মুখে মুখে খিস্তি খেঁউড়। কথায় কথায় উগ্র গালিগালাজ।দিন শুরু হিংসাতে, শেষও হিংসাতে। যুদ্ধ, হত্যা, ধর্ষণ, ধ্বংস, দাঙ্গা, আক্রমণ, শরণার্থী—এসবের খবর সব গা-সওয়া। শাস্ত্র মুখে মুখে, রক্ত হাতে হাতে। ঘৃণা অন্তরে অন্তরে। বিষ আকাশে বাতাসে। মৃত্যু আকছার। বেঁচে থাকার লড়াই সহিংস, অতীব নিষ্ঠুর। এক ইঞ্চি জমির জন্য লড়াই, বাসে ট্রেনে একটি সিটের জন্য লড়াই, দশটা টাকার জন্য হাটেবাজারে লড়াই, লড়াই অফিসে, হাসপাতালের লাইনে লড়াই—লড়াই সর্বত্র। লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই।
অধিকাংশই আমারই মতো অজ্ঞানতার দোষে দোষী। জাতীয় সঙ্গীতে ভুল উচ্চারণ করার অর্থ দেশের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখানো।
সহিদুল ইসলাম ছেলেটার বয়স হবে আর কত ?মেরে কেটে হয়তো বা দশ বারোনতুন চোখে দেখে ঘটছে যা যতদেখবে আরও যখন…
মা ছেলেকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে। কেঁদে কেঁদে বলে, ‘সহ্য কইর্যা লে বাবা, সহ্য কইর্যা লে।আসিফের বাপ তোকে ম্যাইরাছে, একথা কাহোকে কহিস না বাবা। অরা একদিন দশ কেজি চাউল দিয়্যাছিলো হামরাকে।ফেরও হয়তো কুনু দিন দিবে। তোর ম্যাইরের কথা যদি কাহোকে কহ্যা দিস, তেবে আর অরা কুনুদিন কিছু দিবে না। তোর বাপ খাটতে পারে না। হামার বিড়ি বাঁধার কাম নাই। পরের দয়ার উপরে ভরসা কইরাই এখনিকা দিন কাটাইতে হইছে। হাংরে বাড়ি আর দু’দিনের খাবার আছে। তারপর হয়তো তোর আনা রোইজ কচুর শাকই খায়্যা রহইতে হইবে।
রাতের বেলা বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবছিলেন কি করে তিনি ফরিদুল আলম থেকে ফরি পাগলায় পরিণত হলেন।যখন তিনি প্রাইমারী স্কুল পড়তেন তখন তিনি কথা কম বলতেন।ক্লাস ঘরের জানলা দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতেন।ফলে মাষ্টার হঠাৎ তাকে প্রশ্ন করলে অপ্রস্তুত ভাবে অন্য কিছুই বলে দেন। তখন মাষ্টার বলে ছিলেন ছেলেটা মনে হয় পাগল ।সেই থেকে পাগল বলা শুরু ।যেহেতু তার নাম ফরিদুল আলম ।তাই তাকে ফরি পাগলা বলে।তবে সে কোন দিন কোন ব্যক্তির ক্ষতি করেনি।পাগলের মত আচরণ করেন নি।আসলে তিনি নীরব থাকতে ভালো বসেন।আর এটাই তার অপরাধ।
শামসুর রাহমানের কবিতা পড়েই আমাদের বড় হওয়ার দিনগুলি স্মরণ করতে পারি। আমাদের হৃদয়ে যে আগুন ছিল তা জ্বলে উঠবার প্রয়াস পেয়েছিল শামসুর রাহমানের কবিতায়। মূলত তাঁর কবিতা পড়েই নিজেকে অনুভব করতে পারতাম, আমিও বাঙালি, আমার প্রাণের ভাষাও বাংলা। ভাষার জন্য আমিও শহিদ হতে পারি। আবার অন্যদিকে কতখানি মানুষ হলে মানুষকে ভালোবাসা যায় সেই শিক্ষাও পেয়েছিলাম তাঁর কবিতায়। ধর্মীয় অন্ধকার দূর করে, ভণ্ডামির গ্রাস থেকে আত্মচেতনাকে চিরন্তন সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে মানবিক চেতনায় কীভাবে পর্যবসিত করা যায় সেই নির্দেশও ছিল তাঁর কবিতায়।
রমাযান মাস মুসলিম উম্মাহর কাছে নানাবিধ পুরষ্কারের ডালি নিয়ে হাজির হয় ফি বছর। রমাযান মাস মাগফিরাতের মাস। রমাযান মাস তনুমন শুদ্ধ করার মাস। এই মাস জং ধরা ভ্রাতৃত্বে শান দেয়ার মোক্ষম মৌকা। শ্রষ্ঠা ও সৃষ্টির মধ্যে বিরাজমান ভালোবাসার বন্ধন ‘সংযম’ অণুর বিভিন্ন পরমাণুর সক্রিয় অংশগ্রহণে আরও শক্তিশালী হয় এই মাসেই।