বিরাট পাকুড় গাছের তলে বাঁশের মাচা। খালি গায়ে গ্রামের মানুষ, মুনিশ এই মাচায় সুযোগ পেলেই একটু জিরিয়ে নেয়।নগ্ন শরীরের ঘন ঘন আলিঙ্গনে মাচার গা একেবারে তেল তেলে। মাছি বসলে পিছলে পড়ার উপক্রম।বেলা বেশি হয় নি। পাকুড়গাছতলা পাড়ার মরূদ্যান। ক্লান্ত কৃষক এর তলে বসে তার ক্লান্তি ভোলে।
Latest News
-
-
যাঁরা সি পি আই (এম) কে সংশোধনবাদী বলে গণ্য করেন ও নিজেদের মার্কসবাদী, লেনিনবাদী বা মাওবাদী বলে দাবি করেন তাঁদেরও বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গে মুসলমানদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনদিন কোন কথা বলেননি।
-
নাদিরার একাকিত্ব, স্বামী হাসিমের তার প্রতি অবহেলা তাকে বেপরোয়া করে তোলে। সে সিরাজকে কাছে পেতে চায়। সিরাজকে তার সমস্যার কথা বলে। অনেকটা এগিয়েও আসে তারা। কিন্তু ঘটনাক্রমে চরম মুহূর্তে সিরাজের আত্মোপলব্ধি হয়। তার পিতৃ-মাতৃ অতীত ইতিহাস মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায় বশিরউদ্দিন চাচাকে। সেই একই অন্যায় সেও কি করে ফেলবে! সিরাজ ফিরে যায় বৈধ সম্পর্কের বৃত্তে। নাদিরার থেকে ধীরে ধীরে সে দূরে সরে যায়।
-
কেন এত দূরে, কাদের সিদ্ধান্তে এবং ফয়সালায় আজ জন্মভূমি থেকে নির্বাসিত। ক্লারিয়েটে বাজে অন্তহীন এক বেদনার সুর। তবে নিজ ভূমি থেকে নির্বাসিত অন্যরা এ অঞ্চলে বেশ আছে বলে জানায়। কেননা, দণ্ডকারণ্যের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে সফল প্রকল্প। যেখানে মানুষ—প্রকৃতির বদান্যতায় একটু স্বস্তিতে ছিল। প্রজন্ম পরম্পরায় যাপিত জীবনে দুঃখের দহন কিছুটা প্রশমিত হলেও স্মৃতির দহন কী আমৃত্যু ফুরোয়? ভারতের বিভক্তিকরণ শুধু একটি সাংবিধানিক দেশবিভক্তিতেই নিষ্পত্তি হয়নি, বরং বহু ক্ষেত্রেই তা ছিল অসংখ্য ঘরগেরস্তালি, পরিবার ও মানুষের জীবনের মর্মান্তিক ব্যবচ্ছেদ। ইতিহাসবিদ জ্ঞান পাণ্ডের মন্তব্য, “ভারতীয় ইতিহাসচর্চায় দেশ বিভক্তির অবস্থান স্ববিরোধী।”
-
কিছুক্ষনের মধ্যে জীবন বিশ্বাস অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার শেষ সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। বাবার শেষ পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করে ছেলে বলে, ‘বাবা এখন বৃদ্ধ হয়েছেন, তার বাঁচার জন্য একটা শান্ত পরিবেশ দরকার। আমার ছেলে বাড়ীতে সবসময় খেলাধূলা, চিৎকার ইত্যাদি করে, তাই বাবার পক্ষে ভাড়া বাড়িই শ্রেয়। কাজের লোক দেখাশোনা করবে, অসুবিধা তো কিছু নেই।’
-
হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদ নিয়ে বর্তমান ভারত কোন দিকে, স্বৈরাচারী শাসকের ইসলাম ধ্বংসের প্রক্রিয়া কী রকম ইত্যাদি বিষয়ের সঙ্গে ভারতের অর্থনীতি, সংবিধান, মানবনীতি কতখানি সংকটে তারই অনুসন্ধানে পূর্বাঞ্চল থেকে রাকেশ রৌশানের সম্পাদনায় কুড়িটি প্রবন্ধ এবং দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে হিন্দুত্ব ফ্যাসিবাদ ও ভারতবর্ষ (সেপ্টেম্বর ২০২৩)। লেখক তালিকায় আছেন এই মুহূর্তের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য লেখক, চিন্তাবিদ, অধ্যাপক, সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। এঁদের মধ্যে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করতেই হয়: অমর্ত্য সেন, অরুন্ধতী রায়, রাম পুনিয়ানি, বদরুদ্দীন উমর, রামচন্দ্র গুহ, প্রভাত পট্টনায়ক, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, আশিস গুপ্ত, অশোক মুখোপাধ্যায়, মৃন্ময় সরকার, অশোক চট্টোপাধ্যায়, অনিন্দ্য দাশ, কোয়েল সাহা, পার্থপ্রতিম রায়, সুমনকল্যাণ মৌলিক প্রমুখ।
-
ডিজিটাল যুগ। প্রত্যন্ত অঞ্চলে টেলিভিশন ইন্টারনেট বহুজাতিক কোম্পানির প্রসাধন সামগ্রী পৌঁছে গেছে কিন্তু পৌঁছাতে পারেনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য হাসপাতাল। পৌছায়নি বিজ্ঞান চেতনার আলো। ওঝা সম্প্রদায়ের চিকিৎসায় সম্বল। বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা শুভ অশুভ শক্তির অছিলায়। ডাইনি প্রথাকে টিকিয়ে রাখার অর্থ হলো সব ধরনের বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা। বৈষম্য থাকলে বাজার বাড়বে। সচেতন বা অসচেতন গ্রাহক তৈরি হবে। মানুষের শুভ চিন্তার বিনাশ ঘটবে।
-
“ছোটো থেকেই দেখেছি, আমাদের সংসারের অভাব, বাবা যতক্ষণে রিকশা ঠেলেছে আমাদের হাঁড়ি চড়েছে। সাত তালি দেওয়া ছেঁড়া কাপড় পরে বড়ো হয়েছি। তখন কোথায় ছিল আপনাদের ফরমান? কই একটা নতুন ফ্রক এনে দিয়ে তো বলেননি- মা রে এটা পর। অন্য দিকে এই হুজুরের কাছে যখন আরবি পড়তে যেতাম, আমার ছেঁড়া ফ্রকের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকতো, কখন যেন আমার শরীরের ভাঁজ দেখতে পাবে। আমার ছেঁড়া কাপড়ে যদি তোমাদের কামরস জাগ্রত হয়, সে লজ্জা আমার না সমাজের?”
-
ব্রিটিশ-শাসিত বাংলার সমাজব্যবস্থা ও জনজীবনের পুনর্গঠন, বাঙালি জাতির রাজনৈতিক জাতিসত্তার নির্মাণ, বাঙালির গণজাগরণ, রাজনৈতিক সাহিত্যসৃষ্টি এবং সমাজসংস্কার আন্দোলনের দিশারী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক৷ শ্রেণিসংগ্রাম ও সৃষ্টিশীলতার সূত্র ধরে অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী ফজলুল হক রাজনৈতিক সাহিত্য নির্মাণের অন্যতম পৃষ্ঠপোষকও ছিলেন৷ আবুল কাশেম ফজলুল হক (২৬ অক্টোবর ১৮৭৩-২৭ এপ্রিল ১৯৬২) একাধারে আইনজীবী, লেখক,সংসদ সদস্য ও সাহিত্যিক ছিলেন । বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাঙালি কূটনীতিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের নিকট শের-ই-বংগাল এবং ‘হক সাহেব’ নামে বিশেষ পরিচিত।
-
বাঙালি মুসলমান বইটিতে নিজেকে পরিমাপ করতে পারবে। তার বেডরুম থেকে অফিস ঘর, তার মাঠ থেকে হাট পর্যন্ত, তার ধর্ম থেকে অন্ধ-কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস অর্থাৎ সংস্কার পর্যন্ত তথা সংস্কৃতি পর্যন্ত অনুধাবন করতে পারবে। প্রচলিত বহুভ্রান্ত ধারণারও অবসান ঘটাতে পারবে।