আখতারি খাতুন হে রুদ্র, হে বৈশাখ তোমারে করি আহ্বান।তুমি খরস্রোতা, তুমি খরপ্রভা তুমি ভৈরবী মেহমান।তোমার আগমনে শিহরিত দেহমনতপ্ত তপন করিল…
Latest News
-
-
এক বিকেলে নিঃশব্দে দুজনে সাঁকো পেরিয়ে নদীর ওপারে মল্লিকাদির বন্ধুর বাড়ি যাই। পথে আমাদের একবাক্য কথারও চালাচালি হয় না যেমনটা সবসময় হয়। নোমান আলী খানের সাথে সেই দিঘির শাণবাঁধানো-ঘাটে মল্লিকা’দির শেষআলাপ হয়। এবং বিকেল নেমে এলে নিঃশব্দে বাড়িরপথে ফিরতে পা বাড়াই।
সাঁকোর মাঝপথে দাঁড়িয়ে পশ্চিমদিকে দৃষ্টি ফেরালে লাল-টকটকে বিদায়ী সূর্যটায় চোখ আটকে যায়। “সূর্যাস্তে বিষাদের সুর থাকে ঠিক যেমন সূর্যোদয়ে থাকে সুখস্বপ্ন”-মল্লিকাদির কথা। তিনি এমনতরো কতো কথা আমাকে প্রায়ই বলতেন। আমরা প্রায়ই সূর্যাস্ত দেখতে বাঁশের সাঁকোর মধ্যিখানে নীরবে দাঁড়িয়ে যেতাম আজও স্বভাব মতো থমকে দাঁড়াই। পশ্চিম আকাশ, আজকে একটু বাড়াবাড়ি রকমের বিষাদের লাল আভায় মুড়ে আছে। মল্লিকা’দির কান্নাভেজা চোখজোড়ায় বিষাদের রঙের বড়বেশি মাখামাখি টের পাই। আমি আমার বাড়িরপথে পা বাড়াতে উদ্ধত হলে, মল্লিকাদি আমার হাতজোড়া তার হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে রাখে। দিঘিরজলের মতো টলমল অশ্রুফোঁটা আমার হাতে গড়িয়ে পড়ে। আমি আলতোভাবে হাত ছাড়িয়ে বাড়ির পথ ধরি। -
-
দিন দিন ‘আমরা’এক একটা আলাদা পাখি হয়ে যাচ্ছি
কেউ কারুর বাসায় রাত কাটায় না, খাই না, খেলি না !
উড়তে উড়তে শেষতক কোনো এক নবীন দ্বীপে নামি,
পাথরে খোদাই করা সেই নবীন দ্বীপের নাম–একাকীত্ব ! -
রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ, যাদের মধ্যে মানবতার প্রতি চেতনার প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে, সমাজের মাঙ্গলিক চিন্তার চর্চা করে তারা কিন্তু বামপন্থী রাজনৈতিক চেতনার প্রতি আস্থা রেখে আগামী দিনের সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। ব্রিটিশ শাসনাধীন উপনিবেশিক সময় কাল থেকে অধুনা পুঁজিবাদের আশ্রয় পুষ্ট বিশ্বায়নের যুগেও সেই ধারা বহাল আছে। সমস্যা হল, বামপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির নিবিড় পাঠ, পরিকল্পিত অনুশীলন আর স্বচ্ছ প্রয়োগ নীতির যে ব্যাপক চর্চার পরিবেশ দরকার, সেটাই গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
-
তৃতীয় বিশ্বের নিঃশ্বাস ভারী হয়ে আছে;
বৃক্ষহীন বিরানভূমি এখন কাঁদে -
কিছু মানুষ ও তার চারপাশে পোষা যন্ত্রমানুষ
খেলা করে সুখে মানুষের মত
আহা অবিকল মানুষের মত
বুঝবে না, বোধহীন চেতনাহীন তারা একদম
প্রায় মানুষের মত তাদের রকম সকম । -
আজ যখন ধর্মের রাজনীতির কবলে পড়ে মানুষ মানুষকে ঘৃণা, হিংসা ও খুন করছে, আজ যখন গরিবদের কথা বললে লোকে হাসাহাসি করছে, আজ যখন বিশ্ব উষ্ণায়নের বিধ্বংসকারি ঢেউ আমাদের দোরগোড়ায় এসে ধাক্কা মারছে, আজ যখন শ্রমিক ও কৃষকদের অধিকার ও সুরক্ষা বলতে কিছুই নেই, প্রতি পদে পদে তারা বঞ্চিত, শোষিত ও লাঞ্চিত হচ্ছে, আজ যখন মালিকদের বেশিরভাগই স্বৈরাচারী এবং তাদের সাথে দেশের রাজনীতিবিদদের সুসম্পর্ক সর্বজনবিদিত –সেখানে দাঁড়িয়ে মে দিবসের প্রসঙ্গ ও এদিনের তাৎপর্য আরও বেশি বেশি উপলব্ধি করতে হবে। এবং শ্রমিক ও কৃষকদের স্বার্থে ও পুঁজিবাদী আর সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার শপথ নতুন করে আমাদের সকলকেই নিতে হবে।
-
স্বামীর মৃত্যুর জন্য আমরাও দায়ী। কারণ আমরা প্রশ্ন করাকে এড়িয়ে গিয়েছি অথবা আমরা যথেষ্ট প্রশ্ন করিনি , তুলিনি সঠিক আওয়াজ যতটা তুললে এই হত্যা গুলো বন্ধ হতে পারত। ফাদার স্ট্যান স্বামী রাঁচির একটি মিশনারী আবাসিক স্কুলের প্রধান ছিলেন। সম্ভবত সেই প্রথম খ্রীস্টান মিশনারী যেখানে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল যীশু নয়, বীরসা মুন্ডার মূর্তি । কিন্তু বীরসার লড়াইয়ের ইতিহাস তো রাষ্ট্র আমাদের ভোলাতে চায়। রাষ্ট্র তো মুছে দিতে চায় আদিবাসী জনজাতির ইতিহাস, সংস্কৃতি, সমাজকে। তাহলে স্ট্যান স্বামীর এই কাজ রাষ্ট্রের পছন্দ হবে কেন?
-
কলাকোশের ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে অশান্ত বিষমোহ অবশেষ।
থামাতে চাইলে সাপের মতো পেঁচিয়ে ওঠে হিসহিস শব্দে।
অলৌকিক বিশ্বাস কলার ভেলায় ভেসে বেড়ায়।