অঙ্কুরোদগম থেকে আজ পাতা ঝরার মরশুম
কোথাও নিরপেক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারিনি
কেবল ধর্মনিরপেক্ষতা খেয়েছে মানুষ।
Latest News
-
-
ইতিহাস, ভূগোল, সাহিত্য, আইন, অর্থনীতি, সমাজতত্ত্ব এমন কোন বিষয় নেই যে তাঁর সংগ্রহে নেই। শুরুর সময় থেকে সাজানো রয়েছে সকল গেজেটিয়ার, অ্যাটলাস ভলিউম, একাধিক বিষয়কেন্দ্রিক মানচিত্র (আমার সচক্ষে দেখা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ তাঁর বাড়িতে আসতেন শুধুমাত্র মানচিত্র দেখবার জন্য, আমার ধারণা তাঁর সংগৃহীত মানচিত্রের নমুনাগুলি একত্রিত করে একটা গ্রন্থ রচনা সম্ভব) প্রভৃতি। তাঁর সংগ্রহের ছোট একটি উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, তিনি এমন কিছু ঐতিহাসিক নথি আমাকে দেখিয়েছিলেন, যেগুলি প্রায় জীর্ণ। ব্রিটিশ আমলে ইতিহাসসাক্ষ্য ঐতিহাসিক ব্যক্তির সই ও স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন নথি, যা আমাকে বাক্রুদ্ধ করেছিল।
-
ভাই ভাই যুযুধান মধ্যযুগীয় রক্তখেলায়!
শেষ রাতের আঁধার আর পূবালীর মাঝে
সেহেরির অন্ন মুখে, বোধের গভীরে
আজ আমি তোমাকেই দেখেছি রবীন্দ্রনাথ! -
ইচ্ছে করেই যাই নি কোথাও পেয়েও আমন্ত্রণ
আজকে শুধু তোমার সাথে
নিভৃত যাপন । -
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা, চিঠিপত্র, গবেষণা, অনুবাদ সাহিত্য, দর্শন, চিত্রকর্ম, সমাজ সংস্কারমূলক কাজ দিয়ে সর্বজনীন থেকে বিশ্বজনীন হয়ে উঠেছিলেন। অন্যদিকে নজরুল তাঁর কবিতা, গান, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধে খুব সচেতনভাবে মানবতাবাদ, সাম্যবাদ, বিপ্লব, নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের মনোবেদনা তুলে ধরে বাঙালি তথা বিশ্বমানবের হৃদয়ে স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। সুতরাং কে বড়? কে ছোট?— এ বিবেচনায় যাওয়া মূঢ়তা ছাড়া আর কিছু নয়। কেউ কারও সমকক্ষ নন, প্রতিদ্বন্দ্বীও নন।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল আমাদের জাতীয় জীবনে অপরিহার্য দুটো নাম, দুটো পরিচয়, দুটো বৈশিষ্ট্যপূর্ণ চেতনা। বাঙালির বলা-কওয়া, চাওয়া-পাওয়া ও নিজেকে ও অপরকে বর্ণনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল অতীব প্রয়োজন। রবীন্দ্রনাথ যেমন, তেমনি নজরুলও আমাদের চেতনার রঙে মিশে আছে।রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে নজরুল ইসলামের আন্তরিক সম্পর্কের রসায়ন মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মৌলবাদীরা মানতে পারে না।
-
আখতারি খাতুন হে রুদ্র, হে বৈশাখ তোমারে করি আহ্বান।তুমি খরস্রোতা, তুমি খরপ্রভা তুমি ভৈরবী মেহমান।তোমার আগমনে শিহরিত দেহমনতপ্ত তপন করিল…
-
এক বিকেলে নিঃশব্দে দুজনে সাঁকো পেরিয়ে নদীর ওপারে মল্লিকাদির বন্ধুর বাড়ি যাই। পথে আমাদের একবাক্য কথারও চালাচালি হয় না যেমনটা সবসময় হয়। নোমান আলী খানের সাথে সেই দিঘির শাণবাঁধানো-ঘাটে মল্লিকা’দির শেষআলাপ হয়। এবং বিকেল নেমে এলে নিঃশব্দে বাড়িরপথে ফিরতে পা বাড়াই।
সাঁকোর মাঝপথে দাঁড়িয়ে পশ্চিমদিকে দৃষ্টি ফেরালে লাল-টকটকে বিদায়ী সূর্যটায় চোখ আটকে যায়। “সূর্যাস্তে বিষাদের সুর থাকে ঠিক যেমন সূর্যোদয়ে থাকে সুখস্বপ্ন”-মল্লিকাদির কথা। তিনি এমনতরো কতো কথা আমাকে প্রায়ই বলতেন। আমরা প্রায়ই সূর্যাস্ত দেখতে বাঁশের সাঁকোর মধ্যিখানে নীরবে দাঁড়িয়ে যেতাম আজও স্বভাব মতো থমকে দাঁড়াই। পশ্চিম আকাশ, আজকে একটু বাড়াবাড়ি রকমের বিষাদের লাল আভায় মুড়ে আছে। মল্লিকা’দির কান্নাভেজা চোখজোড়ায় বিষাদের রঙের বড়বেশি মাখামাখি টের পাই। আমি আমার বাড়িরপথে পা বাড়াতে উদ্ধত হলে, মল্লিকাদি আমার হাতজোড়া তার হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে রাখে। দিঘিরজলের মতো টলমল অশ্রুফোঁটা আমার হাতে গড়িয়ে পড়ে। আমি আলতোভাবে হাত ছাড়িয়ে বাড়ির পথ ধরি। -
-
দিন দিন ‘আমরা’এক একটা আলাদা পাখি হয়ে যাচ্ছি
কেউ কারুর বাসায় রাত কাটায় না, খাই না, খেলি না !
উড়তে উড়তে শেষতক কোনো এক নবীন দ্বীপে নামি,
পাথরে খোদাই করা সেই নবীন দ্বীপের নাম–একাকীত্ব ! -
রাজনৈতিকভাবে সচেতন মানুষ, যাদের মধ্যে মানবতার প্রতি চেতনার প্রতিফলন পরিলক্ষিত হয়, ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য করতে পারে, সমাজের মাঙ্গলিক চিন্তার চর্চা করে তারা কিন্তু বামপন্থী রাজনৈতিক চেতনার প্রতি আস্থা রেখে আগামী দিনের সুখী সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে। ব্রিটিশ শাসনাধীন উপনিবেশিক সময় কাল থেকে অধুনা পুঁজিবাদের আশ্রয় পুষ্ট বিশ্বায়নের যুগেও সেই ধারা বহাল আছে। সমস্যা হল, বামপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির নিবিড় পাঠ, পরিকল্পিত অনুশীলন আর স্বচ্ছ প্রয়োগ নীতির যে ব্যাপক চর্চার পরিবেশ দরকার, সেটাই গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে না।