সৈয়দ ওয়ালীউল্লা্হ্ (১৯২২-১৯৯৭১) বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক বাঙালি মুসলমান এক চিরন্তন কথাশিল্পী বলে অনেক বরেণ্যব্যক্তি মনে করেন। কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন একজন ধ্রুপদী, আধুনিক লেখক।চরিত্র, প্রেক্ষাপট, বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন ও জনমানুষকে কেন্দ্র করে গড়ে তুললেও, তার সাহিত্যের অভিমুখ দেশের, জাতির, ও বিশেষ সম্প্রদায়ের বেষ্টনীকে অঙ্গুলিহেলনে অতিক্রম করে ও একইসাথে বিশ্বসাহিত্যের, বিশেষকরে অস্তিত্ববাদী ধারায় মিলিত করে বাংলাসাহিত্যের গতানুগতিকতার বদ্ধগলিতে এনেছন মুক্তাকাশের সূর্যদ্যুতি।এত বড় মাপের সাহিত্যিককে শুধুমাত্র ‘বাঙালি’ ও ‘মুসলমান’-এর ঘেরাটোপে ধরতে চাইলে তাঁর বহুমাত্রিক সৃজনশীল ব্যক্তিত্বের গহীণদিকগুলি অনালোকিত থেকে যাওয়ার সম্ভবনা আছে।
Latest News
-
-
১ম মেয়ে (পেশাদার দেহব্যবসায়ি)— ‘শোনো, তিন সত্যি করে বলি তোমার কানে কানে— শোনো, যে সব বেশ্যাদল ঘরে শহরময়— সার্টিনের শাড়ি…
-
গোধূলির রক্তাম্বু গায়েসন্ধ্যা ঢলেছে সবে শহরের বুকেঅকৃত্রিম আলোর তুলতুলে চাদর মুড়ে, উদ্ভাসিত মুখ আর সারি সারি টুকটুক,এক ফালি এবড়ো খেবড়ো…
-
এমনি এক বিকেলে নুড়ি বালি পাথর মেশানো সরু রাস্তায় একাকি হেঁটেছিলাম।দুদিকে ঘন আকাশচুম্বী বৃক্ষরাজি সব বোবা হয়ে অদ্ভুত চাহনি দিয়ে আমাকে পরখ করছিল।আজ কুয়াশা কম। তাই গাছেদের ফাঁক দিয়ে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছিলাম বাদামি সূর্যের ম্যাড়ম্যাড়ে আকাশের গলা বেয়ে ঢলে পড়া।
-
তাই আসুন আগে আগেই বন্ধকতার, বন্ধাত্যের, উর্বর ভূমিতে বিশ্বাসের ভিত্তি কে দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর হই। আর মুছে ফেলি নিজের বিবেকের ছিটে ফোঁটা বোধের অসম দাগ। আসুন এই উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে আমরা যারা গরিব, উজবুক, অশিক্ষিত, প্রান্তিক, গেঁয়ো, অসভ্য, বর্বর, চাষা, মুটে, মজুর, রাজমিস্ত্রি হাতে হাত মেলায় আর আত্ম-ধ্বংসের পথকে মসৃণ করি।