মানবজাতির মুক্তির দিশারী হজরত মুহাম্মদ (সা:)ছিলেন সভ্যতার অগ্ৰদূত,সম্প্রীতির প্রতীক৷ সকল ভাষাভাষী, সকল গোষ্ঠী, সকল গোত্র, সকল জাতির, সকল দেশের, সকল সংস্কৃতির, সকল ইতিহাস, সকল ঐতিহ্যের কাছে ইসলামের সাম্যবাদ পৌঁছে গেছে ৷সুফি বাংলায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইসলামী উৎসব -পরব বিভিন্ন নামে বিভিন্ন জায়গায় উদযাপিত হতো৷ তার আগে স্মরণ হতো ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ ইমান ,নামাজ (সালাত), রোজা (সাওম) ,হজ্জ ,যাকাত ইত্যাদি৷
Latest News
-
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইডরূপ দূষণ দৈত্যের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? বিজ্ঞানীরা বর্তমান সময়ে একটি নতুন কথা শুনিয়েছেন। এটিকে যদি বাতাসে বের হবার আগেই পাতাল বন্দি করা হয়? তাহলে সমস্যার সমাধান হবে কিছুটা।
-
করম মূলত কুমারী মেয়েদের উৎসব। আর জাওয়া হল করম পরবের সংগীত।কুড়মালি ভাষায় ‘জাওয়া’ কথার অর্থ হল অঙ্কুরিত করা। পাঁচ বা সাত রকমের বীজকে অঙ্কুরোদগম করার অর্থ হল জাওয়া দেওয়া।
-
কবিগুরু একটি সুমহান দেশ ও জাতির শাশ্বত প্রতীক — চিরকালীন প্রতিনিধি। আজ দেশের এই সংকটময় সময়ে মানুষ যদি রবীন্দ্র চেতনায় পরিশোধিত করে নেয় নিজেকে, যদি বিশ্বের প্রতিটি মানুষ রবীন্দ্রবাণীর আদর্শে সর্বাত্মক মানবমুক্তি ও মানব প্রগতির লক্ষ্যে এগিয়ে চলার শপথ নেয় আমৃত্যু, তা হলে আমাদের স্বদেশ ও পৃথিবী সর্বপ্রকার ধ্বংস-বিভীষিকা, হিংসা, অসাম্য, অবক্ষয়ী মূল্যবোধ ও অশান্তির নরকগ্লানি থেকে পরিত্রাণ পাবে।
-
আবুবাক্কার একক কন্ঠে কাহিনীগান করলেও প্রত্যেক চরিত্রের কথা তার নিজ নিজ ভাষা ও ঢঙে করতেন। কাহিনী কথনের এই নাটকীয়তা তাঁকে কাহিনীকারদের জগতে রাজা করে রেখেছে। তিনি অবলীলাক্রমে মহিলা চরিত্রের ক্ষেত্রে মহিলা কন্ঠে কথা বলতে পারতেন এবং মহিলা কন্ঠে গানও গায়তে পারতেন।
-
শঙ্খ ঘোষ প্রতিটি কবিতায় যেমন কষ্টকে দেখেছেন, তেমনি কষ্টের উৎস থেকেই কবিতার নির্মাণ করেছেন এবং পরিণতিতে স্বপ্নকে জাগিয়ে তুলতে পেরেছেন। তাঁর কবিতায় এই স্বপ্নাকাঙ্ক্ষারই অমরত্ব প্রাপ্তি। ছন্দের ভেতর অন্ধকার থাকলেও, কিংবা মূর্খ বড়ো, সামাজিক না হলেও, কিংবা শূন্যের ভেতর ঢেউয়ের উপস্থিতি উপলব্ধি করলেও জীবনের সংরাগে বারবার তা উচ্ছল হয়ে উঠেছে। বাস্তব পৃথিবীর হাহাকার, ক্লেশ, সংঘাত, বিবর্ণতা কবিকে অস্থির করলেও আত্মজ্ঞানের পরিধিতে কবি সমাহিত সংহত স্রষ্টা হিসেবেই বহুমুখী পর্যটনে তাকে ধারণ করেছেন । তাই কবিতার শিল্পনৈপুণ্যের সিদ্ধিতে কোনও ঘাটতি দেখা দেয়নি। আমাদের বাহ্যিক দৃষ্টি এবং অন্তর্দৃষ্টির আলোয় এক প্রসন্নতার ঘোর সৌজন্য এসে উপস্থিত হয়েছে।
-
ইদের দিন ভোর। কিন্তু কুনু হাঁক ডাক নাই। বাড়তে বাপ চিল্লায়, মা ডাকে। খাস্সিট্যাকে ধওয়া, নিজে গা ধো, জামাত ছুইট্যা যাইবে, কত্ত কী! এঠে আগিথ্যাকায় ডোলে পানি রেডি গা ধুইবের লাইগ্যা। লয়া পাঞ্জাবি বিছ্যানে থওয়া। আয়না, চিরোনি, আতর লিয়া বহুটা খাড়্হিয়া। বাড়তে এই ঘরে আয়না, ঐ ঘরে চিরোনি, কুন্ঠে পাঞ্জাবি তো কুন্ঠে টুপি। জুত্তা ঢুঁরতে একব্যালা। এঠে কুনু দৌড় ঝাঁপ নাই। রেডি হোয়্যা ইদ পড়তে গ্যালো ।
-
আধুনিক রাজা-রানিরাও কবি ভারভারা রাও, সমাজকর্মী সুধা ভরদ্বাজ, গৌতম নওলাখা, স্ট্যান্ স্বামী,ডাক্তার কাফিল খান, সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান, মোঃ জুবায়ের, ছত্রধর মাহাতোদের ‘রক্ষা’ করতে জেলখানাতেই রাখেন! এই কাজে তাদের সহায়ক হয় ১৮৭০ সালের রাজদ্রোহ আইন, ১৯১৯ সালের রাওলাট আইনের কার্বনকপি ইউএপিএ এবং ইউএপিএ – ২, আফস্পা ইত্যাদি। এমনকি রবি ঠাকুরের রাজ্যেও এখন বিদ্বেষবাদীদের অভিযোগক্রমে সুপরিচিত সম্প্রীতি-সাধকের ‘নিরাপত্তার জন্যই’ রাতভর থানায় আটক রেখে পরের দিন জামিন অযোগ্য ধারায় কোর্টে তোলা হচ্ছে! সেই পুলিশ-কেস কবে শেষ হবে তা কেউই জানেন না!
-
মহাত্মা গান্ধী ১৮৯৩ সালে আইনজীবী হিসেবে সর্বপ্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পা রাখেন এবং ১৯১৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর সেদেশে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দান করেন। অপরদিকে মওলানা ভাসানী ১৮৯৭ সাল থেকে (সৈয়দ আবুল মকসুদের মতে ১৯০৪ সাল থেকে) ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় পাঁচ দশক আসামের নিপিড়িত বাঙালিদের অধিকার রক্ষায় বিশেষভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেন। আসামের ‘লাইন প্রথা’ ও ‘বাঙ্গাল খেদা’ নামক বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তিনি প্রায় একা রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। দু’জনেই নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে বিদেশ বিভূঁইয়ের বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে রাজনৈতিক জীবনের গোড়াপত্তন করেন। কিন্তু শ্রেণিচেতনার বৈপরিত্য ও সাধারণ মানুষের জন্য অতি সাধারণ বেশ—ভুষা সম্পন্ন একজন মজলুম জননেতা বলে মওলানা ভাসানীর এই বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলন ইতিহাসের প্রাণপ্রদিপের আলোয় স্থান পায় নাই। যেমনটি মওলানা ভাসানীর অনুরোধ সত্ত্বেও সেদিন মহাত্মা গান্ধী কিংবা জিন্নাহ সাহেবেরা আসামের নিপীড়িত ও বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান নাই। উপমহাদেশের রাজনীতিতে সেই বৈপ্যরিত্ত্বের রাজনীতি এখন আরও প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। তাই গণমানুষের রাজনীতি আর ইতিহাসের প্রয়োজনেই মওলানা ভাসানী বারবার ফিরে আসে। যেখানে গণমানুষ ও মওলানা ভাসানীর আসাম জীবন একাকার।
-
গত পঞ্চাশ বছরে সরকারি চাকুরি ক্ষেত্রে মুসলমানদের অবস্থা তথৈবচ। তাঁরা প্রদীপের নিচে জমাট অন্ধকারে আছে। এই অভিযোগ নির্দিষ্ট কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ নয়। কম বেশি সব সরকারই দায়িত্ব এড়াতে পারে না “তোষণ” শব্দটি মুসলমানদের ক্ষেত্রে সবৈব মিথ্যে। অথচ, তোষণ আজ বিভাজনের রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তবে ,তোষণ যদি সত্যি কোনো সরকার করত তবে মুসলমানদের উন্নতি হতো।আসলে ওসব কাগুজে বক্তৃতা। তাছাড়া, সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বাজেটে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করা হয়, সেই বরাদ্দকৃত অর্থ কোনদিনই খরচ তো হয় না ,বরং দুর্নীতিবাজদের পকেটস্থ করার ব্যবস্থা হয় ।এই “তোষণের” অপপ্রচারের দ্বারা সংখ্যাগুরু ভোটকে বিপরীত মেরুতে একত্রিত করা হচ্ছে। তাই কোনো তোষণ নয়, প্রকৃত উন্নয়নই হবে মুসলমানদের প্রতিষেধক। সত্যি কথা, মুসলমানেরা সবসময় যেকোনো ক্ষমতাসীন সরকারের “ভোটব্যাঙ্ক”।শুধু তাই নয়; মুসলমানরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতির শিকার।