অসময় বলে কিছু নেই,
মায়ের বুকের ঘ্রাণে, প্রেয়সীর ঠোঁটে ঠোঁট রাখো, দেখবে বিষন্ন ছায়া, অব্যক্ত বিদ্রোহের সুর
গর্জে ওঠে, মিলনের শেষ রাতে মৃত্যুর চেয়ে
ঢের বেশি আলিঙ্গনে বেঁধে নাও বুক, তারপর— একসাথে গর্জে উঠো—
‘গণতন্ত্র নিপাত যাক’
Latest News
-
-
ক্লাস সেভেন থেকে ঘটলো ছন্দপতন। যে ছেলের ইংরেজি খাতায় একটা লাল দাগ দিতে পারতেন না জীবনবাবু, সেই ছেলের পড়াশোনায় মন নেই একদম। এত ব্রিলিয়ান্ট একটা ছেলে এভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চোখের সামনে! অনেক বোঝালেন।কোন লাভ হয় নি।ঠাকুমাকে, বাবাকে ডেকেও বলা হলো। বাবা ভ্রুক্ষেপহীন। আর ঠাকুমার চোখের জল ফেলা ছাড়া আর কী বা করার আছে!
-
এসব কথা ঠিক, কিন্তু এত পঙ্গপালের ভিড়ে প্রকৃত প্রতিভা কি মারা যাচ্ছে না ? কলকাতায় বসবাস না করলে, টাকা না থাকলে, বই ছাপাতে না পারলে, সম্পাদককে শরীর বা টাকা না দিতে পারলে —সেই কবি যে এই সমাজে মানসম্মান পাবেন একথা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। কষ্ট হয় তখনই, যখন রবীন্দ্রসদনে দাঁড়িয়ে সত্তর দশকের বহুল প্রসবা এক কবি আমাকে বললেন, নিজের পত্রিকায় কার লেখা ছাপব, কার ছাপব না সেসব আমার ব্যাপার। নিজের পাঁঠা আগায় কাটব না গোড়ায় কাটব তা আমিই ঠিক করব।
-
বখতিয়ার বিহার ও পরবর্তীতে বাংলায় অভিযান চালিয়েছেন সত্য এবং সেটা তিনি করেছেন বৌদ্ধদের আহবানে। সেটা করতে গিয়ে তাঁর বাহিনীর হাতে উদন্তপুরী ও বিক্রমশীলা মহাবিহার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং সেই সঙ্গে বহু মানুষও মারা গিয়েছিল। কিন্তু বখতিয়ার ঐতিহাসিক নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধবংসের সংগে কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। বরং বখতিয়ারের সময় ও পরবর্তী মুসলিম শাসনে নালন্দা সহ অনেক বৌদ্ধ বিহারে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূর্বের মতোই জ্ঞানচর্চা চলেছিল। কিন্তু দেশীয় ও বিদেশীয় রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতা সত্ত্বেও মূলত অষ্টম শতকের শেষভাগ থেকে নালন্দার গৌরব-সূর্য ধীরে ধীরে অস্তমিত হতে থাকে, বিশেষ করে ৮১০ সালে বিক্রমশীলা মহাবিহার প্রতিষ্ঠার পরই।
-
দিন শেষের সমস্ত আলো মুছে গিয়ে সন্ধে নামছে।একটা অস্পষ্টতায় ঢাকতে শুরু করেছে চারিদিক।বনবাবলার মাথার ওপর থেকে কখন উড়ে গেছে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙারা।দিগন্তের রক্তিমাভা ঢেকে যাচ্ছে ঝাঁপসা অস্পষ্টতায়।আমি তাকিয়ে আছি সুপ্রিয়ার দিকে।বারে বারে ফিরে যেতে ইচ্ছে হচ্ছে সেইসব দিনগুলোয়।সেই বিকেল।সেই নদীপাড়।সেই সন্ধে নামা।সেই বনবাবলার মাথার উপরে বসে থাকা বক,পানকৌড়ি, আর মাছরাঙা।সেই ঝিঁঝিঁর ডাক।সেই –
-
কবি সুন্দর ও সরল ভাবে স্মৃতিচারণার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন বাংলাদেশে শৈশব ও কৈশোরের যাপনের দিনগুলোকে। পরবর্তীকালে ভালোবাসার টানে যতবার তিনি গিয়েছেন সেই জন্মভূমিতে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ স্নেহ মমতা ও ভালোবাসা মাখানো বর্ণনা ফুটে উঠেছে তাঁর কলমে।দেশভাগের নিয়তিকে মাথায় নিয়ে ভিটেমাটি ছেড়ে একদিন চলে এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু যার সাথে রয়েছে নাড়ির সম্পর্ক সেই সম্পর্ক ছেদ করে সত্যিই কি আপন ভেবে ছেড়ে চলে আসা যায়? মুছে যাওয়া দিনগুলো পিছুটানে, স্মৃতি যেন হৃদয়ে বেদনার রঙে রঙে ছবি আঁকে।
-
কিন্তু অপারেশন সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই রোগী মারা যায়। স্বামীর মতো একদিন রহিমা বিবিও। মা-বাপের মতো একদিন লাল্টুও। তবে লাল্টুর চলে যাওয়াটা মা-বাপের মতো মুখ দিয়ে রক্ত তুলতে তুলতে নয়। অন্য রকম ভাবে। প্রথমে সে জায়গাটা খুঁড়তে শুরু করে। জিনিস গুলো তখন নীচের দিকে নামতে শুরু করে। যত খুঁড়ে তত নামে। যত খুঁড়ে তত নামে। তবু লাল্টু খোঁড়া বন্ধ করে না। সে বলে—পাতালে গ্যালেও পাতাল থিক্যা তুলে আনবো। কতো নীচে নামতে পারিস নাম না! তারপর আমি দেকছি। লাল্টুর জেদ ধরে যায়। জেদের বশে সে হুক হুক করে খুঁড়ে যায়। খুঁড়তে খুঁড়তে মাথার ওপর খোঁড়া হলে দুই দিকের মাটি এসে ঢেকে যায়। মন্টু এসব দেখে সাহস করে আর ও ঘরে কোনো দিন ঢোকেনি। ঘরটা এখন তালাবন্ধ।
-
ভাড়াটিয়া পরাধীন যাপন ভাল্লাগে না
আমি বাড়ি যাবো, আমার মাটিতে,
যারা দৌড়ে জিতবে তারা থাকুক।
কৃত্রিম এ জীবন ছেড়ে একদিন আমি,
আমার ছোট্ট আটপৌরে মাটির ঘরে
চিরদিনের জন্য চলে যাবো! -
মদই হোক বা মিছরি, প্রবাদ-প্রবচন হোক বা ভোজন, বাঙালি গ্রাম্যজীবনে তাল-সংস্কৃতির ছাপ খুব গভীর। তালগাছ বাঙালির ফ্যানগাছ। তালপাখার ঠান্ডা বাতাস যুগ যুগ ধরে বাঙালিকে ফ্যানের আরাম দিয়েছে। প্লাস্টিকের সর্বগ্রাসী ব্যবহার আসার আগে তালপাতার চাটাই, মাদুর, বসার আসন, তালপাখা গ্রামবাংলার মাটির সংসারের স্থায়ী সদস্য ছিল। তালপাতার পুতুল, চরকা ছিল বাংলার শিশুর খেলার সাথী। একসময় শিশুর হাতের-লেখার খাতা ছিল তালপাতা। বহু প্রাচীন তালপাতার পুঁথিও আবিষ্কৃত হয়েছে। তালগাছের কাণ্ড দিয়ে তৈরি ডিঙি, নৌকায় ভাটিয়ালি গানের ঢেউ উঠত বাংলার নদীতে। সিমেন্ট আবিষ্কারের অনেক আগেই তালগাছের লম্বা আর শক্ত কাণ্ড ধনীদের কড়িবরগার দালানকোঠা উপহার দিয়েছিল। আর দরিদ্রের কুটিরে দিয়েছিল তালপাতার ছাউনি।
-
গভীর অরণ্যের আলোছায়ায়, স্বপ্নীল উপত্যকায়,
সমুদ্রের ফেনিল উর্মিমালায় ভেসে জানলাম
জোর করতে নেই, প্রভাবিত করতে নেই কাউকে
প্রবলভাবে না চাইলে কিছুই প্রকাশ করতে নেই
বাক্যালাপে, সম্পর্কে এমনকি ভালোবাসায় ।